সূর্যপৃষ্ঠে কেন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে?
২৭ মার্চ ২০১৮যা সূর্য সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে সহায়তা করবে৷
সূর্যপৃষ্ঠে কেন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, যা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরেও কখনো প্রভাব ফেলে? সূর্যের রহস্যময় চৌম্বকক্ষেত্রই বা কেমন আচরণ করে? সূর্যের জটিল কাঠামো এখনো বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে রেখেছে৷ এমনকি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেরেসট্রিয়াল সোলার টেলিস্কোপটিও সূর্যের খামখেয়ালীমনোভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়৷ তবে ইউরোপীয় জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি স্বপ্ন আছে৷
জ্যোতির্পদার্থবিদ ব্যার্না জেলি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট নয়৷ উদাহরণস্বরূপ, কী কারণে সৌর বিস্ফোরণ ঘটে তা বুঝতে হলে এক ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকবার সূর্যের দিকে নজর রাখতে হবে৷ তাই বর্তমানের তুলনায় চার বা পাঁচগুণ বেশি গভীর এবং বিস্তৃত ছবি দিতে পারে এমন একটি বড় টেলিস্কোপ আমাদের প্রয়োজন৷''
আর এ জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নসমর্থিত একটি প্রকল্প বর্তমানে চালু আছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে নতুন এক সোলার টেলিস্কোপ তৈরি – যা দিয়ে সূর্যের ছলনাময় কাঠামো এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে৷
আদর্শ আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে এই টেলিস্কোপও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে স্থাপন করা হচ্ছে৷ এটিতে থাকবে চার মিটার বিস্তৃত এক আয়না৷ ইউরোপিয়ান সোলার টেলিস্কোপ প্রজেক্টের সমন্বয়ক মানুয়েল কোলাডোস বলেন, ‘‘পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাধার কারণে সূর্যের ভালো মানের ছবি আমরা পাই না৷ প্রায়শই আমরা স্বচ্ছভাবে দেখতে পারি না৷ ফলে ভবিষ্যতের ইউরোপিয়ান সোলার টেলিস্কোপে এমন ব্যবস্থা থাকবে, যা বায়ুমণ্ডলের কারণে ছবির মানের যে অবনতি ঘটে, তা তাৎক্ষণিকভাবে ঠিক করে দেবে৷''
গবেষকরা আশা করছেন, নতুন এই টেলিস্কোপটি এবং পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা অন্যান্য টেলিস্কোপের সহায়তায় সূর্যের ভয়াবহ উদগিরণ সম্পর্কে আরো নিখুঁতভাবে আগাম জানা যাবে৷ তবে, প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ ২০২০ সাল নাগাদ ইউরোপিয়ান টেলিস্কোপটি আলোর মুখ দেখতে পারে৷