1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরভকে কেন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করলেন মমতা?

২২ নভেম্বর ২০২৩

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হলো।

https://p.dw.com/p/4ZHxF
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ছবি: Satyajit Shaw/DW

কলকাতায় মঙ্গলবার থেকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। সেখানেই বক্তৃতার শেষে নাটকীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ''আমি একটা ঘোষণা করতে চাই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হবেন।''

তারপর মুখ্যমন্ত্রী সৌরভকে মঞ্চে ডেকে নেনে। তিনি বলেন, ''আমি কোনো না শুনব না। সবকিছু ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।'' তিনি এরপর সৌরভের হাতে একটা চিঠিও তুলে দেন।

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার জন্য সৌরভ কোনো অর্থ নেবেন না। এর আগে অভিনেতা শাহরুখ খানকে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার করলেন সৌরভকে

সৌরভ দুই রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর

মাস ছয়েক আগে ত্রিপুরা সরকারও সৌরভকে পর্যটনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছে। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার।  এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাকে রাজ্যের জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করলো।  ফলে সৌরক্ষ একই সঙ্গে দুইটি রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলেন। একটি রাজ্য তৃণমূল শাসনাদীন, অন্যটি বিজেপি-র।

সৌরভকে নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন বশ কিছুদিন ধরেই আছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তাকে দলে পাওয়ার জন্য প্রবল চেষ্টা করেছিল বলে বিরোধীরা অভিয়োগ করেছিলেন।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সৌরভের বাড়িতে এসেছিলেন। নৈশভোজও করেছিলেন তিনি।

কিন্তু সৌরভ বিজেপি-তে যোগ দেননি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী লগ্নি টানার জন্য বিদেশ সফরে গিয়েচিলেন। সৌরভ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেন। তিনি জানান, রাজ্যে তিনি ইতিমধ্য়ে একটা ইস্পাত কারখানা করেছেন। আরেকটি কারখানা করছেন। তারপরই বাণিজ্য সম্মেলনে তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বলে ঘোষণা করে দেয়া হলো।

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের কাজ কী?

এর আগে বলিউড তারকা শাহরুখ খানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়। এবার সৌরভকে করা হলো। কিন্তু ভারতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের কাজ কী?

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''এমনিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের সেরকম কোনো কাজ নেই। কিছু সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকেন। কিছু বিজ্ঞাপনে তাকে ব্যবহার করা যেতে পারে।''

তাহলে কেন এই তারকাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়? শুভাশিস মনে করেন, ''আসলে এই তারকাদের একটা জনপরিচিতি আছে। তাদের এই জনপ্রিয়তাকে রাজ্য সরকার কাজে লাগাতে চায়।''

আরেক প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''এক্ষেত্রে তারকাদের আকর্ষণী ক্ষমতাকে ব্যবহার করাটাই হলো আসল উদ্দেশ্য. কোনো প্রডাক্ট বিক্রি করতে গেলে যেমন ভালো প্যাকেজিংয়ের দরকার হয়, তেমনই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গেলে, এই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরদের কাজে লাগে। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে সৌরভের জনপ্রিয়তা নিয়ে তো কোনো কথা হবে না। তাই তাকে ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসাডর করা হলো।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)