1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাধীনতা বিরোধী চক্র প্রশাসনের ভিতরে যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করছে

২৭ মার্চ ২০১১

সরকারের ভেতরে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সক্রিয়৷ আর সে কারণেই যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া কাঙ্খিত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ তারা নানাভাবে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/10i2g
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক চারজনছবি: Harun Ur Rashid Swapan

এ তথ্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম৷ তিনি বলেন, তবুও তাঁরা মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রায় শেষ করে এনেছেন৷ এখন চূড়ান্ত অভিযোগ গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন৷

গত বছরের ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল গঠন করা হয়৷ কাজ শুরু করে জুলাই মাসে৷ এরই মধ্যে তারা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে যুদ্ধাপরাধ মামলায়৷ গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে আব্দুল আলিমকে৷ আর নিজামী মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে৷ কিন্তু ট্রাইবুন্যালের কাজের এই গতিতে সন্তুষ্ট নন অনেকেই৷ এর জবাবে ট্রাইবুন্যালের প্রসিকউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম ডয়চে ভেলেকে বলেন, স্বাধীনতার পর অধিকাংশ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল৷ এখন তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকলেও তাদের লোকজন এখনো প্রশাসন সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে৷ তারা নানাভাবে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে৷

প্রসিকউটর বলেন, তবুও তাঁরা বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রায় শেষ৷ এখন পেপার ক্লিপিং, ডকুমেন্ট , অডিও, ভিডিওসহ দলিল সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে৷ তারপরই চূড়ান্ত অভিযোগ গঠন করে শুরু হবে বিচার৷ এতে বিভিন্ন দেশের সহায়তা নেয়া হচ্ছে৷ এমনকি সাক্ষী হিসেবে আদালতে অনেক বিদেশি নাগরিকও সাক্ষ্য দেবেন বলে তিনি জানান৷

তিনি জানান, গোলাম আযম এবং মীর কাশেম আলীসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধেও তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়