1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকংয়ে বিক্ষোভ

১৮ নভেম্বর ২০১৯

হংকংয়ের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাতভর নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/3TDsS
ছবি: Reuters/T. Peter

বিক্ষোভকারীরা পেট্রোলবোমা, তীর-ধনুক এবং ‘প্রাণঘাতি’ অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করায় তাদের দমনে প্রয়োজনে তাজা গুলি চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে পুলিশ৷

সোমবার সকালে আন্দোলনকারীরা অবরুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে৷

কিছু প্রতিবাদকারী ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে খুব ভয় পেয়েছিলেন৷ পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে কাঁদুনে গ্যাস ছোঁড়ায় তারা একটি বেড়া ডিঙ্গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরে যান৷ প্রায় ২০০ প্রতিবাদকারী ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী৷

ডয়চে ভেলের শার্লোট চেলসম-পিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল৷ তাদের উপর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷’’

পুলিশের মুখপাত্র লুই লাউ বলেছেন, ‘‘দাঙ্গাকারীরা পেট্রোল বোমা এবং তির ধনুক ব্যবহার করলে তাজা গুলি ছোড়ার প্রয়োজন হতে পারে৷ তারা যদি এ জাতীয় বিপজ্জনক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখে, তবে আমাদের গুলি চালানো এবং ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করা ছাড়া উপায় নেই৷’’

এই দাঙ্গার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল হতে পারে বলে বিক্ষোবকারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পুলিশ৷

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক মাটিয়াস বালিনগার জানান, সোমবার উগ্রবাদী বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি হংকংয়ের কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার অফিস কর্মীরাও মধ্যাহ্নভোজনের সময় বিক্ষোভ করেছেন৷

মুখোশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী মুখোশ ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে আদালত৷

সোমবার এক রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলছে, হংকংয়ে মুখোশ পরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞাটি মূল আইনটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷

গণতন্ত্রপন্থিকর্মী জোশুয়া ওয়াং এই রায়কে ‘হংকং প্রতিবাদকারীদের বিরল আইনি জয়’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন৷

চীনের মূলভূখণ্ডে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে একটি প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে গত জুন মাসে হংকংয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল৷

টানা আন্দোলনের মুখে ওই বিল প্রথমে ‘মৃত’ এবং পরে বাতিল ঘোষণা করা হলেও আন্দোলন থামেনি৷ গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা এখন তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের আওতা আরো ‍বিস্তৃত করার দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন৷

এসআই/এসিবি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)