হাইভোল্টেজ ভবানীপুরে ভোটের হার কম

কলকাতার ভবানীপুরে উপনির্বাচন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম-এর শ্রীজীব বিশ্বাসের সঙ্গে। মমতা জিততে না পারলে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

ভোটের আগে প্রচারের সময় এই কেন্দ্র বহু উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। তবে বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। বিজেপি দুই একটি অভিযোগ করলেও বড় কোনো ঝামেলা হয়নি।

সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে তিনি ভোট দিতে যান। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরেছেন বিজেপি প্রারথী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। দুই একটি জায়গায় রিগিংয়ের অভিযোগ করেন তিনি। ভবানীপুরের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই ঘুরে ঘুরে ভোট দেখেন তিনি।

সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও সারা দিন ঘুরেছেন। তিনি বিভিন্ন বুথে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন কেমন ভোট হচ্ছে।

তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বাড়ি ভবানীপুর। মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় না থাকলেও মদন রাস্তায় ছিলেন। বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেন তিনি।

ভোট ঘিরে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী ভোটের দায়িত্বে ছিল। ছিল কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তাবাহিনীও।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় সপরিবার ভোট দিতে যান। এলাকায় কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভাবশালী ব্যক্তি।

ভোটের হার কম হলেও বহু তরুণ ভোটার এবার ভোট দিয়েছেন। আঙুল তুলে ভোটের চিহ্ন দেখাচ্ছেন তেমনই একজন।

নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু উপনির্বাচনে জিততে না পারলে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না মমতা।

তৃণমূলনেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুরের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আসন ছেড়ে দিয়েছেন।

ভোটের ফলাফল জানা যাবে রোববার। ওইদিনই চূড়ান্ত হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন কি না।