1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ানের জনসভা রুখল জার্মানি

৩০ জুন ২০১৭

হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি শীর্যবৈঠক চলাকালীন নিজের সমর্থকদের সমাবেশ আয়োজনের অনুমতির আবেদন করেছিলেন রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এ অনুরোধ নাকচ করেছে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/2ffdy
ছবি: REUTERS/U. Bektas

‘‘আমরা তুরস্ককে বলছি যে, জার্মানিতে এ ধরনের সভা করা যে সম্ভব নয়, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত,’’ বলেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল৷ তিনি এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জার্মান সংবিধানের সূত্রের উল্লেখ করেন৷

‘‘আমাদের দেশ একটি মুক্ত দেশ, কিন্তু আমরা অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিরোধকে আমাদের জনগণের মধ্যে আমদানি করার অনুমতি দেওয়ার অভিপ্রায় রাখি না,’’ বলেন গাব্রিয়েল৷ বার্লিনের জোট সরকারের ভাইস চ্যান্সেলর ইতিপূর্বে মন্তব্য করেছেন যে, জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে বর্তমান ‘রাজনৈতিক আবহাওয়ায়’ তিনি এর্দোয়ানের জনসভা করার পরিকল্পনাকে ভালো প্রস্তাব বলে মনে করেন না৷ ‘‘এ বিষয়ে ফেডারাল সরকারের মনোভাব এক,’’ বলেন গাব্রিয়েল, যার অর্থ, তাঁর অবস্থানের প্রতি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সমর্থন আছে৷

আংকারার প্রতিক্রিয়া

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুসেয়িন মুফতুওগলু একবিবৃতিতে বলেছেন, জার্মানির কিছু রাজনীতিক ‘‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতির লাভালাভের’’ কথা ভেবে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করছেন, সেটা দুঃখজনক৷

এর্দোয়ান আগামী সপ্তাহে জি-টোয়েন্টি শীর্ষবৈঠকে যোগদানের জন্য হামবুর্গে আসছেন৷ যে সাংবিধানিক গণভোট তাঁকে ব্যাপক ক্ষমতা এনে দেয়, তার প্রচারপর্বে এর্দোয়ান ও তাঁর মন্ত্রীবর্গ একাধিকবার জার্মানি ও অপরাপর ইউরোপীয় দেশের বিরুদ্ধে ‘নাৎসিসুলভ’ আচরণের অভিযোগ করেছেন৷ দ্বিতীয়ত, তুরস্কে মিডিয়া ও সরকারবিরোধীদের প্রতি এর্দোয়ান প্রশাসনের কঠোরতা বহু বিদেশি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷ তৃতীয়ত, এর্দোয়ান যে হামবুর্গে তাঁর জনসভায় তুরস্কে পুনরায় মৃত্যুদণ্ড চালু করার পক্ষে বক্তব্য রাখবেন না, জার্মান রাজনীতিক মহলে তা নিয়ে পূর্বাপর অনিশ্চয়তা আছে৷

জার্মান কর্মকর্তারা আগেও বারংবার বলেছেন, তুরস্কের অভ্যন্তরীণ সংঘাত জার্মানিতে ছড়িয়ে পড়ুক, সেটা তারা চান না৷ জার্মানিতে তুর্কি বংশোদ্ভূত বাসিন্দা ত্রিশ লাখ অতিক্রম করেছে৷ এবারের জি-টোয়েন্টি শীর্ষবৈঠকেও এর্দোয়ান সমর্থক ও কুর্দ জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা৷

উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কে তিক্ততা এখন চরমে পৌঁছেছে, যার ফলশ্রুতি একাধিক ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে: যেমন তুরস্ক জার্মান সাংসদদের ইনচিরলিকে নিযুক্ত জার্মান সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার ফলে জার্মান সেনাবাহিনী জর্ডানের একটি বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে চলেছে৷ অপরদিকে ডেনিজ ইউচেল ও আরো একজন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান সাংবাদিককে তুরস্কে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগে কারাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে৷

এসি/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)