1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ফিরিয়ে আনছে লেজার

২৩ আগস্ট ২০১৬

প্রকৃতি ও মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন আজ বিপন্ন হয়ে উঠেছে৷ ঠিক সময়ে ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে তা চিরকালের জন্য হারিয়ে যেতে পারে৷ লেজার স্ক্যানার সেগুলির সুরক্ষায় বড় অবদান রাখছে৷

https://p.dw.com/p/1Jmxi
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট: পম্পেই
ছবি: High Contrast

লেজার প্রত্নতত্ত্ববিদদের আরও একটি প্রকল্প হলো নর্ডিক আদলের ভালহালা মন্দির৷ গ্রিসের প্যান্থেয়ন মন্দিরের আদলে জার্মানিতে সেটি তৈরি হয়েছিল৷ মাত্র দু'শ বছর পুরানো হওয়া সত্ত্বেও এটিকে ঘিরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ কম নয়৷ ভিতরে-বাইরে তাঁরা পরিমাপের কাজ সম্পূর্ণ করেছেন৷ এবার কাঠামোর ভিত সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে৷ প্রত্নতাত্ত্বিক মার্টিন শাইখ বলেন, ‘‘এই মন্দিরের ওজন ধরে রাখতে বড় আকারের মজবুত ভিত তৈরি করতে হয়েছে৷ কিন্তু এত বছরের আর্দ্রতার ফলে অনেক জায়গা ড্রপস্টোন-এর মতো হয়ে গেছে৷ ফলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক রূপ ও পুনর্ণির্মানের পদক্ষেপ জানা প্রয়োজন৷''

ভিজে মাটি পরীক্ষা করতে বিজ্ঞানীরা আরও নিখুঁত স্টেশানারি লেজার স্ক্যানার প্রয়োগ করছেন৷ অত্যন্ত দ্রুত ও নিপূণভাবে গোটা ভিত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷

কাঠামোর ক্ষতি করতে পারে, এমন অদৃশ্য ফাটল ও ত্রুটি আবিষ্কার করা হচ্ছে৷ কিন্তু স্ক্যানার আরও কিছু দেখতে পেয়েছে৷ প্রত্নতত্ত্ববিদ ইয়ানকে বলেন, ‘‘মন্দিরটি দেখতে অতি সাধারণ মনে হলেও সবার শেষে তার জটিল কাঠামো নজরে আসে৷ অনেকগুলি ঘরের অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছুই জানতাম না৷ লেজার স্ক্যানের মাধ্যমেই সেগুলি চোখে পড়লো৷''

লেজার রশ্মির মাধ্যমে অতীত যুগের আবিষ্কার সবে শুরু হয়েছে৷ দুর্গম কাঠামো সম্পর্কে আরও জানতে প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল নতুন ও ছোট আকারের উড়ালের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন৷

গবেষকদের উড়াল শেষ৷ লক্ষ কোটি নতুন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷ সেই নিখুঁত তথ্য কাজে লাগিয়ে ইতিহাসের কিছু রহস্য উন্মোচন করার আশা করছেন তাঁরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান