1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হালাল মাংস ‘অর্গানিক' নয়: ইসিজে

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অচেতন না করে জবাই হওয়া প্রাণীর মাংসে ‘অর্গানিক' ট্যাগ লাগানো যাবে না বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-র শীর্ষ আদালত৷ ফলে হালাল মাংসকে আর ‘অর্গানিক' বলা যাবে না৷

https://p.dw.com/p/3EFtN
Frankreich - Halal
ছবি: picture-alliance/maxppp/J. PELAEZ

‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস' বা ইসিজে মঙ্গলবার এক রায়ে জানিয়েছে, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী জবাই হওয়া প্রাণীর মাংসে অর্গানিক ট্যাগ লাগানো যাবে না৷

ইসিজে বলছে, ইইউর অর্গানিক মানদণ্ডে প্রাণীর কল্যাণের বিষয়টি অনেক গুরুত্ব পায়৷ কিন্তু ধর্মীয় রীতিতে জবাই করলে সেই মানদণ্ড বজায় থাকে না৷

ধর্মীয় রীতিতে সাধারণত কোনো প্রাণীকে অচেতন না করে এক ঝটকায় জবাই করা হয়৷ ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রাণীটি অচেতন হয়ে পড়ে৷ ধর্মচর্চার স্বাধীনতা আইনে এটি সিদ্ধ হলেও অ্যানেস্থেসিয়ার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণী অনেক বেশি কষ্ট পায়, যা অর্গানিক মানদণ্ডের সঙ্গে যায় না, বলে মনে করছে আদালত৷

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সংস্থা ওএবি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কসাইখানায় প্রাণীদের কল্যাণ ও অধিকার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে৷ ইউরোপের বাজারে যে সব মাংসদ্রব্য হালাল নামে বিক্রি হয়, তাদের গায়ে ‘অর্গানিক' তকমা লাগানোর বিরোধিতায় নেমেছিল তারা৷ তাদের আন্দোলনেরই ফসল এই রায়৷

হালাল-বিতর্কে ক্ষুব্ধ ইহুদিরাও

ইসিজের রায়ের চরম বিরোধিতা করেছে ইউরোপের ইহুদি সংগঠন ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ জিউস'৷ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ইওসেফ শুস্টার বলেন, ‘‘এই রায় ইহুদিবিরোধী৷ ইহুদিমতে পবিত্র মাংস, যাকে ‘কোশার' বলা হয়, তাতেও প্রাণীকে অচেতন করার কোনো নিয়ম নেই৷ এতে করে ইউরোপে ইহুদি জীবনযাপন বিষয়ে মানুষের অজ্ঞতাই প্রমাণিত হচ্ছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘সৌভাগ্যবশত ইউরোপে বিশাল সংখ্যায় ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন, যাঁরা প্রাণীকে অজ্ঞান করা আর হালালের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখেন না৷ তাঁদের কাছে জবাই হতে চলা প্রাণীর স্থিতি ও মুসলমান কসাইয়ের উপস্থিতিই গুরুত্বপূর্ণ৷''

তবে ইউরোপের একাধিক প্রাণীকল্যাণ বিষয়ক সংগঠন এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে৷

এসএস/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি, ইপিডি, কেএনএ)