1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ‘স্বীকার করেছে' মিয়ানমার

১৬ অক্টোবর ২০১৮

প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে যে আট হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছিল, যাচাই-বাছাই করে তাঁদের নিজেদের বাসিন্দা বলে স্বীকার করে নিয়েছে মিয়ানমার৷

https://p.dw.com/p/36brq
Bangladesch Rohingya Flüchtlinge in Kutupalong Flüchtlingslager
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে৷ তবে এ বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মধ্যে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ পরে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমার৷

গত ডিসেম্বরে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৬৭৩টি পরিবারের ৮ হাজার ২ জন রোহিঙ্গার নাম পাঠানো হয়৷ গত ফেব্রুয়ারিতে এই তালিকা পাঠানো হলেও তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতেই এই সময় লাগল৷

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে সরকারি দলের প্রতিনিধিরা অক্টোবর শেষেই বাংলাদেশে যাচ্ছেন জানিয়ে মাহমুদ আলী বলেন৷ তখন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি৷

প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বলার মতো নতুন কিছু নেই, প্রক্রিয়া চলছে৷''

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নেওয়ার পর সেখানে থাকার জন্য রাখাইন প্রদেশে তাঁদের গ্রামে ঘর তুলতে হবে৷ এক্ষেত্রে ভারত মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে৷

রাখাইনের মংডু এলাকায় যেখানে রোহিঙ্গাদের বাস, সেখানে ঘর তৈরিতে সহযোগিতার জন্য চীনকেও অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি৷

বিভিন্ন সময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল চার লাখের মতো রোহিঙ্গা৷ গত বছরের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে৷

এ মুহূর্তে সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থাকলেও চুক্তি অনুযায়ী শুধু গত বছরের অগাস্টের পর থেকে আসা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে৷

এই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কয়েকটি আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে৷ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় সেখান থেকে একটি অংশকে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷

রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতেনারাজ মিয়ানমারের সরকার চুক্তি করলেও প্রত্যাবাসনে গড়িমসি করে আসছে বলে বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগ৷ তাই মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উপর আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ৷

এএইচ/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য