‘উত্তর কোরিয়া নিয়ে ছবিঘরটি ভীষণ ভালো লাগলো' | পাঠক ভাবনা | DW | 07.11.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘উত্তর কোরিয়া নিয়ে ছবিঘরটি ভীষণ ভালো লাগলো'

নতুন দিল্লির পাঠক সুভাষ চক্রবর্তী লিখেছেন, লিঙ্গ বৈষম্য সূচক নিয়ে ডয়চে ভেলের হিন্দি বিভাগের মানসী গোপালকৃষ্ণানের লেখা সংবাদভাষ্যটি ছিল খুবই তথ্যবহুল আর বাস্তবসম্মত৷

তাঁর মতে, ‘‘শিক্ষার ক্ষেত্রে, সম্পত্তির মালিকানায়, শ্রমের বিনিময়ে অর্থ, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিবার পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সীমিত৷ লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ যদিও এখনও অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ, লিঙ্গভিত্তিক সমতা অর্জনের প্রক্রিয়ার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে উন্নত বিশ্ব এখনো সক্ষম হয়নি৷ বিষয়টির ওপর ডয়চে ভেলের আলোকপাত ভালো লাগলো৷''

উত্তর কোরিয়ার কিছু ছবি নিয়ে সাজানো ছবিঘরটিও তাঁর ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন সুভাষ চক্রবর্তী৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কারিগরি দক্ষতা আর বাণিজ্যিকভাবে যেহেতু দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার একটি উন্নত দেশ, তাই সেই দেশটি সম্পর্কে আমরা নানাভাবে অনেক তথ্য পেয়ে থাকি৷ তুলনামূলকভাবে, উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা৷ তাই ‘উত্তর কোরিয়ার কিছু বিরল ছবি' নিয়ে ছবিঘরটি ভীষণভাবে নজর কাড়লো৷''

আগামী ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীর পতনের ২৫ বছর৷ এই দিনটিকে স্মরণ করে সুভাষ চক্রবর্তী এবারের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘২০১৪ সাল জার্মানি তথা বার্লিনের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর, কারণ ২০১৪-র ৯ নভেম্বর সাম্প্রতিক জার্মান ইতিহাসে সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনার ২৫তম বার্ষিকী৷''

তিনি এই বিষয়কে ঘিরে ওয়েবসাইটের পাঠকদের জন্য একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব করেছেন৷ এতে কি পুরস্কার দেয়া যেতে পারে তারও একটা পরামর্শ দিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘পুরস্কার হিসাবে থাকুক না কেন স্মারক ডাকটিকিট, ফার্স্ট ডে কভার বা এ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ভিউ কার্ড, যা আমরা সযত্নে লালন করে রাখব আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য৷ আমার প্রস্তাব, ভেবে দেখার অনুরোধ আপনাদের কাছে৷''

এবার একটি স্বরচিত কবিতা৷ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর থেকে মাসুদ রহমান৷

মানুষ হিসেবে চলি তিনটা বৈশিষ্ট্য নিয়ে
প্রথমত ভাবি, সৃষ্টিজগতের সেরা প্রাণীটি হয়ত আমি৷
যদিও আমি নিশ্চিত না, কেন যে আমি সেরা!
ভালো খাবারগুলো কিন্তু আমি খাই
দু'পায়ে দৌড়াতে পারি আবার কথাও হরদম বলি
মাঝে সুযোগ পেলে ঘুষও খাই৷
জানি না এর জন্যই আমি ব্যতিক্রম কিনা৷

দুঃখিত, মানুষ হিসেবে ইতোপূর্বে আমারও লেজ একটা ছিল৷
তাই বলে আমাকে আবার বনের পশুদের সাথে মিলাবেন না৷
অবশ্য লেজ কিন্তু খারাপ কিছু না
লেজ অনেক গুণাবলী সমৃদ্ধ৷
দেখে থাকবেন হয়ত, গরু মশা তাড়াতে লেজ খুব কাজে লাগায়৷
ইশশ যদি থাকত একটা লেজ৷
তবে এটা নিয়ে যে খুব একটা চিন্তা করি তা কিন্তু না৷
কারণ চিন্তা হচ্ছে সকল রোগের মূল- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন৷

তবে ভেবেই ভেবে খুন
আকাশের ওপারে চাঁদে মানুষ গেল কেমন করে৷

অত বৈশিষ্ট্যই জানায় আমার পরিচয়৷
তবে কি করে পারি মানুষ হয়ে বন-জঙ্গলে গিয়ে
পশুর সাথে মিশে তৃণভোজন করতে৷

এরপরও যদি বল মানুষ হতে আমি ব্যর্থ
তবে আগামীতে পশুজাতির সাথে একাত্ম হয়ে থাকতে পারি৷
কিন্তু তাতে একটা লেজ চাই৷

-ধন্যবাদ আপনাদের দু'জনকে৷ সবাই ভালো থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

নির্বাচিত প্রতিবেদন