কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে হলে, ‘‘সকলকে শিক্ষার আলো দেখাতে হবে''৷ এই মন্তব্য ফেসবুক বন্ধু সরকার চন্দনের৷ পাঠক জসিম উদ্দিন অবশ্য ‘কিশোর অপরাধের' জন্য সমাজের প্রভাবশালী মানুষদেরই দায়ী করেছেন, যারা কিশোরদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়াতে বাধ্য করছেন৷
মো. সালাউদ্দিন মনে করেন তিনটি বিষয়ের দিকে গুরুত্ব দিলেই কিশোর অপরাধ বন্ধ হতে পারে৷ এই তিনটি বিষয় হলো, ‘‘কিশোরদের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিতে হবে, বিশেষ করে ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল/কম্পিউটার৷ ডিশ দেখা বন্ধ করে দিতে হবে৷ আর ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে৷''
‘‘ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে৷ দারিদ্রতা নিশ্চিহ্ন করতে হবে৷ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে৷ শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে, শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে৷'' আল-ইমরানও মনে করেন এগুলো বন্ধ করলেই নাকি কাজ হবে৷ অর্থাৎ কিশোর অপরাধ আর থাকবে না বাংলাদেশে৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
সাত মাসে ৬১ গণধর্ষণ
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন ২৬৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম’ এর হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৬১টি শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য জানায় ফোরামটি৷ একই সময়ে ধর্ষণ, উত্ত্যক্তসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয় ৩৪৭টি শিশু৷ এর মধ্যে চারটি ছেলেশিশুও রয়েছে৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
বয়স ১৫ হওয়ার আগেই বিয়ে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে৷ আর ৬৫ শতাংশের বিয়ে হয় বয়স ১৮ পার হওয়ার আগে৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত৷ এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশুর বাস খোদ ঢাকা শহরে৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
কিশোর অপরাধী
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর কমপক্ষে দুই হাজার শিশুকে নানা অপরাধে আটক করা হয়৷ শিশু অধিকার ফোরামের হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭৬ জন শিশুকে অস্ত্র ও মাদক বহনসহ নানা অভিযোগে আটক করা হয়৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
মাত্র তিনটি
আইন অনুযায়ী শিশু-কিশোর অপরাধীদের বিচার করা হয় কিশোর আদালতে৷ এরপর বিচার শেষে শাস্তি ভোগের জন্য তাদের শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা৷ কিন্তু বাংলাদেশে এমন কেন্দ্র আছে মাত্র তিনটি৷ গাজীপুরে দু’টি এবং যশোরে একটি৷ এর মধ্যে গাজীপুরের একটি মেয়েদের জন্য৷ সব মিলিয়ে এই তিনটির ধারণ ক্ষমতা ৬০০৷ অর্থাৎ আটক শিশুদের বড় একটি অংশের জায়গা উন্নয়ন কেন্দ্রে হয় না৷ ফলে তাদের কারাগারে থাকতে হয়৷
লেখক: জাহিদুল হক
তবে সুকেশ সাহা অবশ্য পুরোপুরি ভিন্ন কথা বলছেন৷ তিনি মনে করেন, যাদের বাচ্চা মানুষ করার ক্ষমতা নেই, তাদের বেশি সন্তান নেয়ার প্রয়োজনও নেই৷
কিশোর অপরাধের সাথে নারীদের কী সম্পর্ক তা ঠিক বোঝা গেলো না বন্ধু মাহমুদ হাসানের মন্তব্যে থেকে৷ কারণ তিনি লিখেছেন ‘‘কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে মহিলা প্রধানমন্ত্রী বর্জন করতে হবে৷''
যে কোনো দেশেরই সার্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে সে দেশে যে কোনো অপরাধই কম হয়, যা স্বাভাবিক৷ আর সে'কথাটাই পাঠক সামসুল হক লিখেছেন এভাবে, ‘‘বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে সব অপরাধই কমে যাবে৷'' এর কারণও তিনি লিখে জানিয়েছেন এভাবে: ‘‘ঢাকা বা অন্য কোনো শহরে একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ৮ থেকে ১৪-১৫ বছরের বাচ্চারা প্রকাশ্যে পলিথিনে করে নেশা সেবন করছে৷ তাদেরও পালের গোদা আছে, যারা পূর্ণবয়স্ক এবং তারাই এ পথের গুরু৷ নেশা করার পর ওরা যে কোনো অপরাধ করতে পারে৷ প্রকাশ্যে নেশা করলেও ওদের নিবৃত করতে দায়িত্বশীল কোনো মহল এগিয়ে আসে না৷ তাদের কোনো গরজ আছে বলেও মনে হয় না৷''
পড়াশোনা, খেলাধুলা, ধর্মীয় শিক্ষা ও নানা নিয়ম-কানুন শেখানোর মধ্য দিয়ে কিশোরদেরঅপরাধ প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তানভীর আহমেদ৷
জিয়ায়ুল হকেরও প্রায় একই মত৷ ‘‘মূল বিষয় হচ্ছে শিক্ষা আর সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই অপরাধ কমে আসবে৷''
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
বেলুন কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি বেলুন তৈরির কারখানায় কাজ করছে দশ বছরের এক শিশু৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত, যার প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশু শ্রমিক খোদ রাজধানীতেই৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
নেই কোনো নজরদারি
কামরাঙ্গীর চরের এই বেলুন কারখানায় খোলামেলাভাবে নানা ধরনের রাসায়নিকের মাঝে কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
সিংহভাগই শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে কমপক্ষে দশটি বেলুন তৈরির কারখানা আছে, যেগুলোর সিংহভাগেই শিশু শ্রমিক কাজ করে৷ সড়ক থেকে একটু আড়ালে ভেতরের দিকেই কাজ করানো হয় শিশুদের৷ সপ্তাহে সাত দিনই সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে হয় তাদের৷ তবে শুক্রবারে আধাবেলা ছুটি মেলে৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে সিলভারের তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় কাজ করে শিশু শ্রমিক আলী হোসেন৷ মারাত্মক উচ্চ শব্দের মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয় তাকে৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
ট্যানারি কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার হাজারীবাগের একটি ট্যানারি কারখানায় বাইরে কাজ করে নোয়াখালীর আসিফ৷ বয়স মাত্র বারো৷ রাসায়নিক মিশ্রিত চামড়া শুকানোর কাজ করে সে৷ দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি কাজ করে সামান্য যে মজুরি পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে মাকে সাহায্য করে আসিফ৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
মায়ের সঙ্গে রাব্বি
কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে মায়ের সঙ্গে কাজ করে চাঁদপুরের রাব্বি৷ এই কেন্দ্রের মালিক নাকি শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিরোধী৷ মায়ের অনুরোধে রাব্বিকে কাজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর৷ কারণ রাব্বির মা সারাদিন খেটে যে মজুরি পান তাতে সংসার চলে না৷ সংসার চালাতে তাই কাজ করতে হচ্ছে রাব্বিকে৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
হিউম্যান হলারে শিশু হেল্পার
ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী হিউম্যান হলারগুলোতে শিশু শ্রমিক চোখে পড়ার মতো৷ বাহনগুলো দরজায় ঝুলে ঝুলে কাজ করতে হয় এ সব শিশুদের৷ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকারও হয় এসব শিশুরা৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
ব্রিক ফিল্ডে শিশুরা
ঢাকার আমিন বাজারের বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডেও কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ প্রতি হাজার ইট বহন করে পারিশ্রমিক পায় ১০০-১২০ টাকা৷ একটি কাঁচা ইটের ওজন কমপক্ষে তিন কেজি৷ একেকটি শিশু ৬ থেকে ১৬টি ইট এক-একবারে মাথায় নিয়ে পৌঁছে দেয় কমপক্ষে ৫০০ গজ দূরে, ইট ভাটায়৷ তাদের কোনো কর্মঘণ্টাও ঠিক করা নেই৷ একটু বেশি উপার্জনের আশায় রাত পর্যন্ত কাজ করে তারা৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
লেদ কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা
পুরনো ঢাকার লালবাগের একটি লেদ কারখানায় কাজ করে ১১ বছরের শিশু রহিম৷ সারাদিন লোহা কাটা, ভারি যন্ত্রপাতি মেরামত, হাতুরি পেটানোসহ নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে সে৷
লেখক: মোস্তাফিজুর রহমান (ঢাকা)
শাসক এবং রক্ষককে সৎ হতে হবে তবেই কিশোর অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন বেলাল উদ্দিন নাহিদ৷
রিয়াজ উদ্দিনের ধারণা, টাকার তাড়নায়-ই কিশোররা এ সব অপরাধ করে থাকে৷
‘‘বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে'' মন্তব্য ফেসবুক বন্ধু আনিসুরের৷
পরেশ নাথ কিশোর অপরাধ বন্ধের ব্যাপারে পরিবারকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন৷ পরেশ নাথের মতে, ‘‘কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে পরিবারের সকলকে আলোচনায় বসতে হবে ৷ কিশোরদের বাবা-মা, আত্মীরা মিলে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু রিজওয়ান কিশোর অপরাধের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিকদেরই দায়ী করছেন৷ তাঁর মতে,
‘‘বাংলাদেশের সংসদ সদস্যগণ এবং পুলিশ, ব়্যাব, বিজিবি যতদিন পর্যন্ত আন্তরিক না হবে এবং ঘুস না ছাড়বে, ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো দুর্নীতিবাজ লোকদের চরিত্র সংশোধন হবে না৷ তা সে শিশু বা কিশোর যুবক – যে ই হোক না কেন এবং বাংলাদেশের উন্নতিও হবে না, শান্তিও আসবে না৷''
‘‘শিশুরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পড়া শেষে কর্মসংস্থান করতে হবে৷'' কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে আলমগীর হোসেনের মন্তব্য৷
যেসব কিশোররা অপরাধ করে তারা বেশিরভাগই পথশিশু, তাই ওদের পুনর্বাসন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে৷ এই মন্তব্য জাহাঙ্গীর আলমের৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
লেখক: এস্থার ফেল্ডেন/ জেডএইচ
বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে ‘‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা, আইনের সংশোধনী, মন-মানসিকতার পরিবর্তন এগুলো সবার আগে নিশ্চত করতে হবে'', বলে মনে করেন বন্ধু শাকিল৷
কিশোর অপরাধ দমনে পরিবার প্রধান৷ কারণ পরিবারের বড়রা যদি ছোটদের সিগারেট কিনতে না পাঠায়, তাহলে অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে৷ কারণ চারদিন অন্যের জন্য সিগারেট কিনতে কিনতে সে একদিন নিজের জন্যও কিনবে আর এরপর শুরু হলো মাদক গ্রহণ, তার সাথে অপরাধ৷ ধীরে ধীরে যখন টাকা কাছে থাকবে না শুরু হবে চুরি করা৷'' এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু এ বি জায়েদের৷ অর্থাৎ অন্যান্য পাঠকদের মতো জায়েদেরও একই কথা – ‘‘কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে হলে সবচেয়ে আগে পরিবারকেই সচেতন হতে হবে৷''
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ওমর পারভেজের মন্তব্য এরকম, ‘‘ছাত্রদের জন্য পড়াশোনা ফ্রি করতে হবে এবং প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে ওদের থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে তবেই কিশোর অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব৷''
‘‘কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে সুশিক্ষা আর অভিবাবকদের সচেতনতাই যথেষ্ট'' – মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ইমরান খানের৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ