‘‘যে দেশে আইনের শাসন নাই, সে দেশে এ রকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে৷'' এ মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু সাইফুল ইসলামের৷ আর রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ‘‘বার বার শরীর শিউরে উঠছিল৷ চাপা কান্নায় বুক ভেঙে যাচ্ছিল৷ মানুষ এমন নিষ্ঠুর হয়ে কি করে!''
রাজন হত্যার ভিডিওটি দেখে পাঠক মো. আইয়ুব তাঁর আবেগ প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘‘আমি পুরা ভিডিওটা দেখতে পারলাম না৷ আর সহ্য হচ্ছিলো না, হাত পা কাঁপছে৷ এরা মানুষ না পশু?
‘‘অপরাধীকে এমন ভাবে শাস্তি দিতে হবে, যাতে করে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না দেখায়৷'' এই মন্তব্য ইমরান অভির৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
বেলুন কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি বেলুন তৈরির কারখানায় কাজ করছে দশ বছরের এক শিশু৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত, যার প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশু শ্রমিক খোদ রাজধানীতেই৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
নেই কোনো নজরদারি
কামরাঙ্গীর চরের এই বেলুন কারখানায় খোলামেলাভাবে নানা ধরনের রাসায়নিকের মাঝে কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
সিংহভাগই শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে কমপক্ষে দশটি বেলুন তৈরির কারখানা আছে, যেগুলোর সিংহভাগেই শিশু শ্রমিক কাজ করে৷ সড়ক থেকে একটু আড়ালে ভেতরের দিকেই কাজ করানো হয় শিশুদের৷ সপ্তাহে সাত দিনই সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে হয় তাদের৷ তবে শুক্রবারে আধাবেলা ছুটি মেলে৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে সিলভারের তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় কাজ করে শিশু শ্রমিক আলী হোসেন৷ মারাত্মক উচ্চ শব্দের মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয় তাকে৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
ট্যানারি কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার হাজারীবাগের একটি ট্যানারি কারখানায় বাইরে কাজ করে নোয়াখালীর আসিফ৷ বয়স মাত্র বারো৷ রাসায়নিক মিশ্রিত চামড়া শুকানোর কাজ করে সে৷ দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি কাজ করে সামান্য যে মজুরি পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে মাকে সাহায্য করে আসিফ৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
মায়ের সঙ্গে রাব্বি
কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে মায়ের সঙ্গে কাজ করে চাঁদপুরের রাব্বি৷ এই কেন্দ্রের মালিক নাকি শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিরোধী৷ মায়ের অনুরোধে রাব্বিকে কাজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর৷ কারণ রাব্বির মা সারাদিন খেটে যে মজুরি পান তাতে সংসার চলে না৷ সংসার চালাতে তাই কাজ করতে হচ্ছে রাব্বিকে৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
হিউম্যান হলারে শিশু হেল্পার
ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী হিউম্যান হলারগুলোতে শিশু শ্রমিক চোখে পড়ার মতো৷ বাহনগুলো দরজায় ঝুলে ঝুলে কাজ করতে হয় এ সব শিশুদের৷ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকারও হয় এসব শিশুরা৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
ব্রিক ফিল্ডে শিশুরা
ঢাকার আমিন বাজারের বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডেও কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ প্রতি হাজার ইট বহন করে পারিশ্রমিক পায় ১০০-১২০ টাকা৷ একটি কাঁচা ইটের ওজন কমপক্ষে তিন কেজি৷ একেকটি শিশু ৬ থেকে ১৬টি ইট এক-একবারে মাথায় নিয়ে পৌঁছে দেয় কমপক্ষে ৫০০ গজ দূরে, ইট ভাটায়৷ তাদের কোনো কর্মঘণ্টাও ঠিক করা নেই৷ একটু বেশি উপার্জনের আশায় রাত পর্যন্ত কাজ করে তারা৷
-
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
লেদ কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা
পুরনো ঢাকার লালবাগের একটি লেদ কারখানায় কাজ করে ১১ বছরের শিশু রহিম৷ সারাদিন লোহা কাটা, ভারি যন্ত্রপাতি মেরামত, হাতুরি পেটানোসহ নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে সে৷
লেখক: মোস্তাফিজুর রহমান (ঢাকা)
কী পাশবিক নির্যাতনই না চালানো হয়েছে রাজনের ওপর! ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণই রাজনের মৃত্যুর কারণ৷ তার শরীরে নাকি ৬৪টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷'' এ ব্যাপারে ডয়চে ভেলের ফেসবুক-বন্ধু দীপ্র ফরিদের কিছু প্রশ্ন, ‘‘কেন আমাদের শিশুরা এখনও নিরাপদ নয় সমাজে? কেন আমরা বার বার হেরে যাই? এই অমানুষগুলি সমাজে থাকে কী ভাবে?''
আমাদের পুরনো বন্ধু অসিত কুমার দাস মিন্টুর স্পষ্ট কথা, ‘‘রাজন হত্যার বিচার হতে হবে৷ কেউ নিজের ইচ্ছায় আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবেন না৷ দেশবাসী তাকিয়ে আছে রাজন হত্যার কী বিচার হয়, সেই দিকে৷ আমরা ন্যায়বিচার আশা করছি৷''
ন্যায়বিচার আশা করছেন মহসিন প্রধান, মো. শফিকসহ আরো অনেক বন্ধু৷
ওদিকে জাকারিয়া আহমেদ শকিল তো অপরাধীর শুধু ফাঁসি নয়, একেবারে জবাই করা লাশ দেখতে চান৷ তবে সোহেল রিপুর মতে বাঙালি কোনো কিছু ঘটার পর মাথা নাড়াচাড়া দিয়ে উঠে৷ এখানে প্রশ্ন এসে যায়, ‘‘কোনো কিছু ঘটার আগে কেন বাঙালি সচেতন বা সাবধান হয় না?''
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
যৌন ব্যবসার উপর নির্ভরশীলতা
একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে সুযোগের অভাব – এই দুটো কারণে ফিলিপাইন্সের ওলোনগাপো শহরে তরুণীরা বেছে নিচ্ছেন যৌনবৃত্তিকে৷ অন্য জায়গা থেকেও এখানে মেয়েরা আসে বার এ কাজ করতে৷ প্রতি বছর যৌন পর্যটনের কারণে জন্ম নিচ্ছে কয়েক হাজার শিশু৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
পিতৃহীন প্রজন্ম
চার বছরের ড্যানিয়েলের বাবা অ্যামেরিকান ছিলেন বলে ধারণা করা হয়, আর তার অন্য ভাই-বোনরা ফিলিপিনো বাবার সন্তান, যিনি পরিবার ত্যাগ করে চলে গেছেন৷ ড্যানিয়েলের মা অনেক বছর ধরেই বার-এ কাজ করছেন৷ চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে সন্তানদের ভবিষ্যতটা ভালো হয়৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
যৌন পর্যটকদের লালসার শিকার
ছোট্ট রায়ান (মাঝে) বাস্কেটবল নিয়ে খেলতে ভালোবাসে৷ তার বাবা জাপানি৷ তার মা এখনও একটি বার-এ যৌন পেশায় নিয়োজিত৷ রায়ানের আরো চার সহোদর রয়েছেন, যাদের বাবা ভিন্ন৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
পেশার সুযোগ
সাদা চামড়ার শিশু যেমন সাবরিনা – তাদের ফিলিপাইন্সের ভাষায় বলা হয় বাঙ্গুস অর্থাৎ মিল্ক ফিশ৷ এ ধরনের শিশুরা পরবর্তীতে অভিনেত্রী বা মডেলের পেশা বেছে নেয়৷ সাবরিনার বাবা জার্মানিতে থাকেন, তবে তার সাথে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
প্রজাপতি
লায়লা প্রতিদিন ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়৷ আগামী বছর স্কুলে ভর্তি হওয়ার সব চেষ্টা করবে সে৷ পড়ালেখায় তার ব্যাপক আগ্রহ৷ লায়লার মা জানালেন, লায়লার বাবা অ্যামেরিকান৷ লায়লার জন্মের আগে তাকে একথা জানানো হলো৷ একথা শোনামাত্র ‘প্রজাপতির’ মতই চলে গিয়েছিলেন তিনি৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
জীবনভর বয়ে বেড়ানো
আফ্রিকা বা আফ্রো অ্যামেরিকান বাবার সন্তানেরা ফিলিপাইন্সে ‘নিগ্রো’ হিসেবে সমাজে পরিচিত হয়৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
একমাত্র সন্তান
ছোট্ট লেস্টারের বয়স যখন এক বছর তখন তার বাবা মারা যায়৷ মায়ের সাথে তার বাবা ৭ বছর জীবন কাটিয়েছিলেন৷ কিন্তু বর্তমানে শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত৷ চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেয়া তার মা জেসিকার পক্ষে সম্ভব নয়৷
-
পর্যটকদের যৌন বিলাসে জন্ম যাদের
নতুন পরিবার
অ্যাঞ্জেলার ছেলে স্যামুয়েলের বাবা সুইস৷ কিন্তু তার জন্মের আগেই বাবা তাদের ফেলে চলে যায়৷ তবে এখন অ্যাঞ্জেলা ফিলিপাইন্সের এক নাগরিককে বিয়ে করেছেন৷ সে পরিবারে নতুন এক সন্তান এসেছে যার বয়স মাত্র এক সপ্তাহ৷ বিয়ের পর বার-এর চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলা৷
লেখক: রোক্সানা ইসাবেল ড্যুর/এপিবি
ঠিক সেই কথাটাই তুলে ধরেছেন পাঠক মাহমুদা খানম মৌসুমী৷ তিনি রাজন হত্যার ভিডিওটি দেখার পর আরো একটু খোলাসাভাবে লিখেছেন, ‘‘যারা ভিডিও করেছে, তারা ওই মাসুম বাচ্চাটাকে কেন মারতে দিয়েছিল৷ কেন বাধা দেয়নি সবার সামনে যখন ওই শয়তানরা বাচ্চাটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলল৷ ও আল্লাহ, আমরা এ কোন পৃথিবীতে বাস করছি?'' রাজন হত্যাকারীদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হোক-আকুল আবেদন তাঁর৷
জীবন লিখেছেন ফেসবুকে অপরাধীকে সৌদি আইনের আওতায় এনে যেন মাথা কেটে হত্যা করা হোক৷ অন্য পাঠকরা তাঁর সাথে একমত কিনা তিনি জানতে চেয়েছেন৷
রাজন হত্যার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাইছেন সামসুল হক, ‘‘যেন কেউ আর এমন সাহস না পায়৷''
পাঠক লাভলু দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘খুব কষ্ট লাগে যখন ভাবি, কী একটা অসভ্য দেশে বাস করি৷''
মাহবুব আলম রাজন হত্যাকরীদের ফাঁসি চান৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ওদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দলন চালিয়ে যেতে হবে৷ অনতি বিলম্বে অপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক৷'' মো.নাসিমেরও একমত৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
-
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
লেখক: এস্থার ফেল্ডেন/ জেডএইচ
শহীদুল ইসলাম বাঁধন চাইছেন যে, ‘‘প্রকাশ্যে অপরাধীর শিরশ্ছেদ করা হোক, কারণ সে জানোয়ারের মতো কাজ করেছে৷''
বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে সন্দিহান ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু তানভির আলম লিংকনের মন্তব্য, ‘‘যতদিন দেশে আইন সবার জন্য সমান না হবে, যতদিন দেশে আইন টাকার কাছে নত থাকবে, যতদিন আমরা কাজ না করে বয়ান দিতে থাকব, যতদিন অমরা সত্যিকার অর্থে দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে না পারব, যতদিন আমরা ভালো কিছু না করে খারাপ কিছুকে আকড়ে ধরে রাখব, ততদিন রাজন কাঁদবে, হারবে বাংলাদেশ৷''
ফিলিপ হাসান শুধু দেশের আইন ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে না দিয়ে শিশু নির্যাতন বন্ধের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন এভাবে: ‘‘আসুন যে যেভাবে পারি, যেখানে থাকি, আমাদের আশেপাশে এ রূপ অনাচার-অত্যাচার হচ্ছে সেগুলো প্রকাশ করি৷''
সুহৃদয় একজন অ্যাডভোকেট৷ তিনি এ কাজে সহায়তা দেয়ার জন্য নিজেকে সামনে এনেছেন৷ বলেছেন, চলুন ‘লিস্ট' করে আমরা উনার ওয়ালে সব শিশু নির্যাতনের প্রমাণসহ অভিযোগ পাঠিয়ে দেই৷''
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
শিশুদের অবসর সময়
সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ছোট বয়স থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের অনেক কিছু শিখতে হয়, অনেক কিছু করতে হয়৷ তাই শিশুরা যাই করুক না কেন ওদের খেলার সময় প্রয়োজন৷ বন্ধুদের সাথে খেলার মধ্য দিয়েই যে ওরা সমস্ত স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
টিভির সামনে আধঘণ্টার বেশি নয়!
টেলিভিশন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট – এগুলো বিনোদন আর তথ্য দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ বাড়ায়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, একঘণ্টা কম্পিউটার বা টিভির সামনে বসে থাকার চেয়ে খোলা বাতাসে খেলাধুলা বা ব্যায়াম শিশুদের বেশি দরকার৷ আর তিন বছরের কম বয়সি শিশুদের দিনে আধঘণ্টার বেশি টিভি দেখা উচিত নয়৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
অ্যান্টি স্ট্রেস
বাড়ি স্ট্রেমুক্ত করতে ঘরে ফেরার পর সবাই কিছুক্ষণ সোফায় বসে আড্ডা দিন৷ তারপর খাবার টেবিলে সারাদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা বা জরুরি কিছু থাকলে, তা নিয়ে আলোচনা করুন৷ যে কোনো সমস্যা সমাধান একত্রে করলে অনেক সহজ হয়৷ শিশুরা ছোট থেকেই যেন এটা শেখে, তার চেষ্টা বড়দেরই করা উচিত৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
শিশুদের শিশুর মতো বড় হতে দিন
কিন্ডারগার্ডেনে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে৷ নিজেকে চেনা এবং অন্যে সাথে সম্পর্ক তৈরি করা সেখানেই শেখে শিশুরা৷ পায় সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ৷ তাই লক্ষ্য রাখতে হবে তারা যেন নির্ভয়ে সব কিছু বলতে ও করতে পারে৷ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়াটা মূল লক্ষ্য নয়, জরুরি হলো আত্মবিশ্বাসী হতে পারা৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
খুঁজে বের করতে হবে...
প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে পড়াশোনা বা হোমওয়ার্ক করতে শিশুর মনোযোগ কখন সবচেয়ে বেশি৷ সরাসরি স্কুল থেকে আসার পর নাকি কিছুক্ষণ খেলার পর? সবচেয়ে বড় কথা – শিশুরা যাই করুক না কেন, মাঝে মাঝেই বিশ্রাম নিতে হবে তাদের৷ অর্থাৎ যে কোনো কাজের মাঝে কিছুক্ষণ হাঁচটাচলা, গান শোনা বা মুক্ত বাতাস সেবন করা৷ যা শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে নয়, বড়দেরও প্রয়োজন৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
শিক্ষার ধরন
আজকের দিনের চাকরিজীবী মা-বাবার জীবন চলে অতি দ্রুতগতিতে এবং তাঁদের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে শিশুরা হাঁপিয়ে ওঠে৷ শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সব কিছুই সন্তানদের শেখানোর চেষ্টা থাকেন বাবা-মা৷ তাই তাঁরা নামি-দামি আধুনিক কিন্ডারগর্ডেনগুলোতে সন্তানকে ভর্তি করেন৷ তবে কিন্ডারগার্টেন বা স্কুল ভবিষ্যত জীবনে শিশুর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে একটা পাথেও মাত্র৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
খেলার ছলে শিক্ষা
জার্মানির বোখুম শহরের একটি স্কুলে পড়াশোনাটা নতুনভাবে বা খেলার ছলে সেখানো হয়৷ সেখানে ‘প্রোমোশন’ বা ভালো রেজাল্টই বড় কথা নয়৷ ছোট ছেলে-মেয়েরা কারিগরি ক্লাসে তরোয়াল তৈরি করতে শেখে সেখানে৷ খেলার ছলে শেখে নানা কায়দাকানুন৷ তাছাড়া প্রতিটি শিশুর কাজ করার ধরনও আলাদা৷ তাই শিশুরাই প্রস্তাব দেয়, তারা কী করতে চায় বা না চায়৷ শিশুদের ইচ্ছেকে পুরো দাম দেওয়া হয় এখানে৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
ভয় ছাড়া শিক্ষা
স্কুলে খুব ভালো ফল করতে হবে – এর জন্য কোনো চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়৷ কারণ এতে শিশুদের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হয় আর ভয় মানুষের আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে সবচেয়ে বড় বাধা৷ তবে একটি কথা বাবা-মাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি শিশুই আলাদা৷ অর্থাৎ সবার গ্রহণযোগ্যতা সমান নয়৷ ‘আমাদের সন্তানের চেয়ে অন্য বাচ্চার রেজাল্ট ভালো কেন?’ – এ প্রশ্ন কখনই করা উচিত নয়৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
ভয় মস্তিষ্ককে বিগড়ে দেয়
পরীক্ষার হলে সব কিছু ভুলে যাওয়াটা মোটেই নতুন নয়৷ একে আমরা ‘ব্ল্যাকআউট’ বলে জানি৷ এমনটা কিন্তু শুধুমাত্র ভয়ের কারণেই হয়ে থাকে৷ ‘‘ভয়ের সময় মানুষের শরীরে স্ট্রেস হরমোন ছড়িয়ে পড়ে এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যায় বা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়৷ অর্থাৎ শেখা বা জানা বিষয়ও মনে পড়ে না৷’’ বলেন জার্মানির মস্তিষ্ক গবেষক৷
-
শিশুরা খেলার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়
শিশুদের আত্মবিশ্বাস গড়তে বড়দের ভূমিকা
বর্তমানে আমরা, অর্থাৎ বড়রা যে মানসিক চাপের মধ্যে জীবনযাপন করছি, তা ইচ্ছে করে নয়৷ পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করছে৷ তাই যতটা সম্ভব শিশুদের মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখা প্রয়োজন৷ কারণ শিশু বয়সেই তৈরি হয় ব্যক্তিত্ব, তাদের আত্মবিশ্বাস, যা বড় হতে, সুস্থ মানুষ হতে অনেক বেশি প্রয়োজন৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লিখেছেন, ‘‘ঘটনাটা ঘটার পর পরই সব জায়গায় হইচই পরে যায়৷
অপরাধী কী করে আরবে পালাতে পারলো? সে পালিয়েছে না তাকে পালাতে সাহায্য করা হয়েছে?'' এটাই ওনার প্রশ্ন৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু মোকসেদ আলী দোয়া করছেন পবিত্র মাহে রমজান মাসে আল্লাহ যেন শিশু রাজনকে জান্নাত দান করেন৷
ফেসবুক বন্ধু রানা বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে খুবই বিরক্ত, হতাশ, নিরাশ৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘সরকার কিছু করতে পারবেনা, বিনা ভোটে সরকার, ভাবেন তাহলে কী হবে! যেই পশুরা এভাবে রাজনকে মারছে তারা দেখেন কেউ না কেউ আওয়ামী লীগের এমপির ভাই, ভাতিজা বা চামচা৷ বিচার করতে হবে জনগণকে, ফাঁসি ছাড়া কোনো কথা হবে না? এই সরকার তো দোষ না করলেও ফাঁসি দেয়, তাহলে এরা তো দোষ করছে৷'' সরকারের প্রতি তাই তাঁর আবেদন, ‘‘এদের ফাঁসি চাই৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ