1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু চুক্তি পক্ষেই ইউরোপ

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)১৬ মে ২০১৮

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনার পরেও পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারলেন না৷ ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে ইউরোপ কীভাবে নিজস্ব সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/2xmmD
ব্রাসেলসে ইরান ও ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
ছবি: picture-alliance/Photoshot

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাতিল করার পর ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ ইউরোপ, চীন ও রাশিয়া এই চুক্তি চালু রাখার সদিচ্ছা প্রকাশ করলেও বাস্তবে তা সম্ভব হবে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়৷ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফ বেইজিং ও মস্কো সফর করে ব্রাসেলসে এসে সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন৷ মঙ্গলবার জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ইইউ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই মর্মে আশ্বাস পেলেও কোনো গ্যারেন্টি আদায় করতে পারলেন না৷

বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেন, ‘‘আমাদের এক আত্মীয় হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার বিভাগে রয়েছেন, এ বিষয়ে আমরা একমত৷ আমরা তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে বার করে আনতে চাই৷'' তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে সবাই মিলে বর্তমান সমস্যার বাস্তব সমাধান খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাবে৷ ইরান কীভাবে তার পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস বিক্রি চালিয়ে যাবে, ব্যাংকিং ক্ষেত্রে লেনদেন কীভাবে চালু রাখা হবে এবং ইরানে ইউরোপের বিনিয়োগ কীভাবে নিরাপদ রাখা হবে, এই সব প্রশ্নগুলি বিশেষ গুরুত্ব পাবে৷ তবে মোগেরিনি স্বীকার করেন, এই মর্মে কোনো আইনি গ্যারেন্টি দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, যাবতীয় সমস্যা সত্ত্বেও পরমাণু চুক্তি রক্ষা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে৷

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বৈঠক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ইউরোপের পক্ষ থেকে গ্যারেন্টি চান৷ তাঁর মতে, সূচনা ইতিবাচক হলেও আগামী কয়েক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহের উপর সবকিছু নির্ভর করবে৷ তবে সেই প্রচেষ্টা বিফল হলে ইরানও চুক্তি বাতিল করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরালোভাবে শুরু করার হুমকি দিয়েছে৷

অ্যামেরিকাকে ছাড়া পরমাণু চুক্তি চালু রাখা কত কঠিন হবে, মার্কিন প্রশাসন এর মধ্যেই তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে৷ ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ঠিক আগে ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন৷ সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও তার আওতায় রয়েছেন৷ অ্যামেরিকা এককভাবে ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ চাপালে সেই ধাক্কা হয়ত সামলানো সম্ভব৷ কিন্তু ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে বিদেশি কোম্পানিগুলিকেও সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনলে ইউরোপের পক্ষে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন খোলাখুলি এই সমস্যার উল্লেখ করেন৷ তবে মার্কিন চাপের মোকাবিলা করতে ইইউ পালটা পদক্ষেপ নিতে পারে৷ বুধবার ইউরোপীয় কমিশনররা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন৷

বুধবার বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনেও পরমাণু চুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে৷ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সরকার প্রধানরা এ বিষয়ে নিজেদের মূল্যায়ন পেশ করবেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি বাতিল করা ছাড়াও জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তর এবং ইউরোপ ও চীন থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর শুল্ক চাপানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার ফলে ইউরোপে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে৷