‘প্রতারক ফিঙে' , ‘১৪ প্রজাতির নাচুনে ব্যাঙের সন্ধান', ‘কলাচাষে জাতিসংঘের সতর্ক সংকেত' ইত্যাদি প্রতিবেদনগুলিও দারুণ৷ এছাড়া বিধান চন্দ্র টিকাদার কয়েকজন পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা করেছেন এবং তাঁদের সাথে তোলা ছবিগুলোও পাঠায়েছেন আমাদের কাছে৷
হঠাত্ করেই চোখ পড়লো ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবসাইটের ফেসবুকে ‘সাগর রুনি হত্যা' নিয়ে সাজানো এক পরিপূর্ণ ছবি ঘরে৷ বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদন সহ ছবিগুলো পেয়ে বেশ ভালোই লাগলো৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় ডয়চে ভেলে বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান মারফত চিরচেনা কণ্ঠ ‘‘আপনাদের সঙ্গে আছি আমি সাগর সরোয়ার'' – সেই সাগর ভাই ও তাঁর সহধর্মিনী রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও সরকার দিতে ব্যর্থ! কিন্তু কেন?
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
ফেসবুক আহ্বানে সমবেত সবাই
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার খুনিদের বিচার চেয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷ একটি ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে সাগর-রুনির বন্ধু, সহকর্মীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন৷
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
প্রতীকী প্রতিবাদ
খুনিদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয়াদের অনেকের মুখ ছিল কালো কাপড় বাঁধা৷ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এটা করেন তাঁরা৷
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
সার্ক ফোয়ারা ঘিরে অবস্থান
সাংবাদিক দম্পতির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে সার্ক ফোয়ারা ঘিরে অবস্থান করেন প্রতিবাদকারীরা৷ বলাবাহুল্য, হত্যাকাণ্ডের পর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও আজও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে কিংবা প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী৷
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
‘জানতে চাই, বিচার চাই’
মানববন্ধনে অংশ নেয়া এক ব্যক্তির হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড লেখা, ‘‘কার ছায়ায়/কার মায়ায়/সাগর-রুনির খুনি? জানতে চাই/বিচার চাই৷’’
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
দীর্ঘতম ৪৮ ঘণ্টা!
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি খুন হওয়ার পরপরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে৷ কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টা আজও শেষ হয়নি বলে মনে করেন প্রতিবাদকারীরা৷ কেননা, সাগর-রুনির খুনিরা আজও গ্রেপ্তার হয়নি৷
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
‘সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
এদিকে, সাগর-রুনির পরিবারের উদ্যোগে ঢাকার দৃক গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷ এই প্রদর্শনীতে লেখা রয়েছে, ‘‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’’৷ লেখাটি পড়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘‘কতটা দুঃখ আর হতাশা থেকে এই লেখা তা আমাদেরও বুঝতে হবে৷’’
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
‘ক্রাইম সিন, ডু নট ক্রস’
‘ক্রাইম সিন, ডু নট ক্রস’ শিরোনামের চিত্র প্রদর্শনীটি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আয়োজন করা হলো৷ সাংবাদিক দম্পতির পরিবারসহ সাংবাদিক নেতারা বারবার হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে আসলেও নিরাপত্তা বাহিনী এখনো প্রকৃত খুনিদের ধরতে পারেনি৷
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
‘আন্দোলন থামিও না’
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মুনীর বলেন, ‘‘আন্দোলন থামিও না, যত সাংবাদিক মারা গেছে সবার বিচারের দাবিতে তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও৷ আমার মেঘের জন্য আমি বিচার চাই৷’’
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
‘সরকার আন্তরিক’
গত দুই বছরে খুনিরা গ্রেপ্তার না হলেও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘‘রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক৷’’
-
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
পেরিয়ে গেল দুই বছর
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিজেদের ভাড়া বাসার বেডরুমে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি৷ সেসময় একই বাসায় অবস্থান করলেও প্রাণে বেঁচে যায় সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মেঘ৷
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন, ঢাকা / আরাফাতুল ইসলাম, বন
এখনো তো সেই সরকার ব্যবস্থাপনায়ই রয়েছে এ দেশে৷ আর কতকাল অপেক্ষায় থাকতে হবে? আমরা ব্যথিত৷ পরিশেষে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, সাগর রুনির একমাত্র পুত্র ‘মেঘ'-এর বর্তমান অবস্থা জানাবেন৷ রাজীব কুমার মন্ডল, নাটোর৷
পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন নতুন দিল্লি থেকে সুভাষ চক্রবর্তী৷ তিনি লিখেছেন, ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে জার্মানির ‘জাবুলানি' বল নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের ‘ব্রাজুকা' বল নিয়েও কি কোনো সমালোচনা শোনা গেছে? এবারের বিশ্বকাপের এই ‘ব্রাজুকা' বলের বিশেষত্ব নিয়ে একটি পরিবেশনার অনুরোধ রইলো৷
এছাড়া ‘কিশোর-কিশোরীদের মৃত্যুর বড় কারণ বিষণ্ণতা' নিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে খুবই উপকৃত হলাম৷ এভাবেই লিখেছেন আমাদের নিয়মিত বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তী৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ