সঠিক উত্তর – স্মার্টফোনের যুগেও ক্যালিগ্রাফির কদর বাড়ছে ৷ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবারের বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ সেলিম৷ প্রিয় সেলিম, আপনাকে অভিনন্দন! আপানার পোস্টাল ঠিকানা আপনি কুইজের উত্তরের সাথেই ফেসবুকে লিখে দিয়েছেন, কাজেই আর পাঠানোর প্রয়োজন নেই৷ আপনার পুরস্কার পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷
বিজয়ী বন্ধুদের কাছে বিশেষ অনুরোধ: পুরস্কার পেতে দেরি হচ্ছে বা পুরস্কার হাতে না পাওয়ার অভিযোগ যাঁদের, তাঁরা সবসময় নামের সাথে নিজেদের পোস্টাল অ্যাড্রেসটিও লিখবেন, কেমন?
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
এটা ঠিক: ‘পার্পেল’
আইফোন তৈরির প্রাথমিক স্তরে, যখন বিভিন্ন আইডিয়া বিবেচনা করা হচ্ছিল, তখন অ্যাপল এই প্রকল্পের সাংকেতিক নাম দেয় ‘পার্পেল’৷ অ্যাপল-এর এক সাবেক নির্বাহী জানান, পার্পেল টিমের অফিস অনেকটা কলেজ ডর্মের মতো ছিল৷ সেখানে পিৎসার গন্ধ থেকে শুরু করে ‘ফাইট ক্লাবের’ নিয়মকানুন সবই ছিল৷
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
সঠিক সময় প্রদর্শন
স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ২৯শে জুন সকাল ৯:৪২-এ প্রথম আইফোন জনসম্মুখে প্রকাশ করেন৷ মজার ব্যাপর হচ্ছে, ‘আই গড’ জবসের পেছনে প্রদর্শিত আইফোন-এর ছবিতে ঠিক এই সময়টাই প্রদর্শন করা হয়েছিল তখন৷ অ্যাপল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সময়ের ব্যাপারে এই সচেতনতা দেখিয়েছে৷ তবে ২০১০ সালে আইপ্যাড প্রকাশের সময় এক মিনিট এগিয়ে গিয়েছিল তারা৷
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি
প্রথম আইফোন-এর দাম ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার৷ তবে সেসময় আইফোন-এ যেসব কাজ করা যেত তা নব্বইয়ের দশকে করা যায় এমন ডিভাইসগুলো কিনতে গেলে খরচ পড়তো ৩,০০০ মার্কিন ডলার৷ এটা একইসঙ্গে ছিল কম্পিউটার, সিডি প্লেয়ার, ফোন এবং আনসারিং মেশিন৷ অ্যাপল যদি গত দশকের বদলে নব্বইয়ের দশকে আইফোন বানানোর চেষ্টা করতো, তাহলে একটি ফোনের পেছনেই খরচ হতো তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
আপনি মনে করছেন স্ক্রিনে চিড় ধরেছে?
অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে পকেট থেকে ফোন নিতে গিয়ে, কিংবা আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গিয়ে আইফোন-এর পর্দায় চিড় ধরতে পারে৷ তবে আপনি কি কখনো ১৩,৫০০ ফুট উপর দিয়ে আপনার ফোনটা নীচে ফেলেছেন? এক স্কাইডাইভার কাজটি করেছেন৷ তারপরও সেই আইফোন দিয়ে কল করা যেত৷
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
আইপ্যাড গড়তে গিয়ে আইফোন
গত দশকের শুরুর দিকে অ্যাপল একটি ভার্চুয়াল কি-বোর্ডযুক্ত ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা করে৷ সেসময় অ্যাপল-এর ইঞ্জিনিয়াররা তাদের ফোনের উপর বিরক্ত ছিল৷ সেই বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে আইডিয়াটা মাথায় আসে৷ আইপ্যাড-এর বদলে ছোট আকারে একই সুবিধাসম্পন্ন ফোন চালু করলে কেমন হয়? এভাবেই আসে আইফোন-এর ধারণা৷
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
অসংখ্য আইফোন
২০০৭ সালে মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা আইফোন বাজারে ছাড়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় নয়শ’ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল৷ কিন্তু চীনের অর্থনীতিতে অস্বস্তি আইফোন-এর বিক্রিতে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা তৈরি করছে৷
-
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
‘লাভ-হেইট’ সম্পর্ক
অ্যাপল এবং স্যামসাং-এর মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের কথা কারো অজানা নয়৷ এমনকি সিরিও জানে তা৷ এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পেটেন্ট ইস্যুতে চলছে মামলা-মোকদ্দমা৷ তবে এক জায়গায় তারা কিন্তু মিত্র৷ জনশ্রুতি রয়েছে স্যামসাং-এর তৈরি কম্পিউটার চিপ হচ্ছে আইফোন-এর চালিকাশক্তি৷
কুইজ প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷ আর বন্ধুদের সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন৷ জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় #অন্বেষণ আর ইংরেজিতে #onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷
ডয়চে ভেলের সকল বন্ধুদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
যত কম বয়সে প্রযুক্তি, ক্ষতি তত বেশি
দ্য অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ও ক্যানাডিয়ান সোসাইটি অফ পেডিয়াট্রিক্সের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কোন বয়সে শিশুকে কতটুকু প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেয়া উচিত, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা দিয়েছেন৷ তাঁরা বলেছেন, দু বছরের আগে শিশুদের সব গ্যাজেট থেকে দূরে রাখাই উচিত৷ ওই বয়সে ইন্টারনেট, আইপ্যাড বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত হলে শিশু স্বভাবে অস্থির হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শোনে৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
কোন বয়সে কতটুকু প্রযুক্তি
বিজ্ঞানীদের মতে, দু বছরের পর অল্প অল্প করে শুরু করলেও ৩ থেকে ৫ বছর বয়সিদের কখনো দিনে ১ ঘণ্টার বেশি মোবাইল, টেলিভিশন, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকা ঠিক নয়৷ ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা সেই জিনিসগুলোর কাছাকাছি গেলে ক্ষতি এড়াতে পারবে৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
খুব মুটিয়ে যাওয়া
এসবে অভ্যস্ত হলে অনেক শিশু অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়৷ এর নানা রকমের ক্ষতিকর প্রভাব জীবনের ওপরও পড়ে৷ ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ও বেড়ে যায় তাদের৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
উগ্রতা, আগ্রাসন এবং....
গ্যাজেট ব্যবহার করার কারণে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি যৌনতা, সন্ত্রাস ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পায়৷ ফলে অনেক শিশু খুব আগ্রাসী স্বভাবের হয়৷ কিছু শিশু বড় হয়ে নানা কিছুতে জড়িয়েও যায় ভালো-মন্দ না বুঝে৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
মানসিক অসুস্থতা
গ্যাজেট বেশি ব্যবহার করার ফলে খুব কম বয়সেই অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে৷ তাতে এক সময় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে৷ ক্যানাডায় এ সমস্যা বেশ প্রকট হতে শুরু করেছে৷ সেখানে ছয় জন শিশুর মধ্যে অন্তত একজনকে বেশি গেজেট ব্যবহার করার ফলে মানসিক স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা
ব্যতিক্রম সব কিছুতেই হয়৷ তাই খুঁজলে এমন কিছু শিশু নিশ্চয়ই পাবেন যারা কম বয়সেই মোবাইল নিয়ে খেলেছে, তা দেখে বাবা তাকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই শিশু সুস্থ, মেধাবী হিসেবেই বড় হয়েছে৷ তবে উল্টো দৃষ্টান্তও অনেক৷ ১২ বছরের আগে মোবাইল জাতীয় উপকরণে অভ্যস্ত হওয়া শিশুর লেখাপড়ায় উন্নতি খুব ধীর গতিতে হয়৷ দেখা গেছে, সেরকম শিশুদের এক তৃতীয়াংশই শিক্ষাজীবনে খুব সমস্যায় পড়ে৷
-
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
ঘুম কম হওয়া
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শতকরা ৬০ ভাগ শিশুর বাবা মা-ই আজকাল কম বয়সি সন্তানের হাতে মোবাইল বা অন্য গ্যাজেট তুলে দেন৷ শতকরা ৭৫ ভাগ শিশুর বাবা-মা তারপর আর খবরই নেন না তাঁদের সন্তান রাতে কখন ঘুমায়৷ বাবা-মায়ের অজান্তেই অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে সন্তান৷
লেখক: এপি/এসিবি
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ