ব্যায়াম নিয়ে এত হৈচৈ ! | পাঠক ভাবনা | DW | 11.06.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

ব্যায়াম নিয়ে এত হৈচৈ !

ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্কুলে যোগব্যায়াম বাধ্যতামূলক করতে চান৷ কট্টর মুসলমানদের অনেকেই এই যোগচর্চার বিরোধী৷ বিষয়টি নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুকেও পাঠকদের ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ পেয়েছে৷

মুসলমানদের যোগব্যায়ামের বিরোধিতা করার কারণ হিসেবে পাঠক রাতুল রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মুসলমানদের দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে ভালো ব্যায়াম হয়, তাই আর এর বেশি ব্যায়ামের প্রয়োজন নাই৷''

ফিরোজা খানম নিপারও অনেকটা একই মত৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নামাজের মতো যোগ আসন পৃথিবীতে একটিও নেই৷'' তবে তিনি সনাতন ধর্মের একটা নিয়মকে মুসলমানদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার পক্ষে নন৷

রুশা দাস বলছেন, নামাজ পড়াটাও একা যোগ, আসলে সব ধর্মই এক৷ সৎ পথে থেকে মানুষের পেটে যা খাবার যায়, সেটাই ধর্ম৷

সারা বিশ্বেই আজ যোগাসনের কদর৷ জার্মানিসহ অন্যান্য দেশে যা আজ যোগব্যায়াম বা ‘ইয়োগা' নামেই পরিচিত৷ যদিও ফেসবুক বন্ধু মো.মামুন যোগব্যায়ামকে হিন্দু নীতি বলে মন্তব্য করেছেন৷

ফজলে মনির চৌধুরী খুবই অবাক, ‘‘ব্যায়াম নিয়ে এত হৈচৈ!''

ফেসবুক বন্ধু আবুল হাসেম ‘কট্টর' মুসলিম শব্দটি ব্যবহার করায় তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে একজন অতি সাধারণ মুসলিমও এমনটি সমর্থন করবে না!

‘‘কট্টর হিন্দুদের চাপিয়ে দেওয়া যোগাসন কেন মুসলিমরা মেনে নেবে? সূর্যপ্রণামের মতো কিছু কিছু যোগব্যায়াম ইসলামবিরোধী'' ডয়চে ভেলের ফেসবুকে এই মন্তব্য রোদেলা মল্লিক নীলার৷

সরদার জামান মোহাম্মাদও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্কুলে যোগব্যায়াম বাধ্যতামূলক করতে চাওয়াকে সমর্থন করেন না৷

ব্যায়াম করাটা শরীরের ভালো সেকথা কম-বেশি সবাই জানে, কিন্তু এটার সাথে কোনো ধর্মকে টানা হেচড়া করাটাকে একেবারেই সমর্থন করেন না মাছুম পারভেজ আক্তার৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন