এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় শেয়ারের সময় পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁরা এই কর্মসূচি সমর্থন করেন কিনা? উত্তরে শুভদ্বীপ বিশ্বাস বিথু লিখেছেন, ‘‘উনিও যদি এই যাত্রায় সবার সঙ্গে অংশ নেন তবে উনার আহ্বানকে সমর্থন করি৷ উনিতো আর রাজপথে নামবেন না৷ তাই উনার কিছু হবে না৷ মরবে হুজুগে জনতা৷''
বিথু শর্তযুক্ত সমর্থনের কথা জানালেও সিরাজুল ইসলাম সরাসরি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন৷ ‘‘অবশ্যই সমর্থন করি৷ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হতে হবে,'' মন্তব্য তাঁর৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
বিরোধী দলের উপর ‘ক্ষিপ্ত’ আকলিমা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার পোশাক শ্রমিক আকলিমা বেগম৷ কাজ করেন ঢাকার রামপুরার একটি পোশাক কারখানায়৷ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অবরোধ দেয়ায় বিরোধী জোটের ওপর ক্ষিপ্ত এই পোশাক শ্রমিক৷ এমনিতেই সামান্য কিছু টাকা বেতন পান৷ তার উপর টানা অবরোধের কারণে নিত্যপণ্যের দাম গেছে বেড়ে৷ ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন আকলিমা৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ভোট দিতে পারবেন না লাকী আক্তার
ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন লাকী আক্তার৷ বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে হলেও ভোটার হয়েছেন ঢাকায়৷ তাঁর এলাকার সাংসদ ইতোমধ্যেই একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন৷ তাই ভোট নিয়ে তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
রুবেলের ভাষায় ‘প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন’
পোশাক শ্রমিক রুবেলের বয়স মাত্র ২৩ বছর৷ কুমিল্লা জেলার তিতাস থানায় তাঁর বাড়ি৷ কাজ করেন ঢাকায়৷ রুবেলের প্রশ্ন, ‘‘প্রতিযোগিতাহীন এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার কী আছে?’’ জীবনের প্রথম ভোটটি নষ্ট করতে রাজি নন তিনি৷ একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেয়াটাও অর্থহীন মনে করেন তিনি৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
এখনো সিদ্ধান্ত নেননি শেফালি
শেফালির বাড়ি ঢাকার পাশে আশুলিয়ায়৷ কাজ করেন, ঢাকার রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে তাঁর অভিমত হচ্ছে, দুই পক্ষই যদি ভোটে আসত তাহলে ভালো হতো৷ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন কিনা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
হোসনে আরার স্বপ্ন ছেলেকে মানুষ করা
গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ফরিদপুরের হোসনে আরা৷ দুপুরের খাবারের বিরতির সময় ছেলেকে নিয়ে বসেছেন পাশের একটি চায়ের দোকানে৷ ভোট নিয়ে তাঁর কোনো চিন্তাভাবনা নেই৷ খেটেখুটে একমাত্র ছেলেকে মানুষ করাই তাঁর স্বপ্ন৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ভোট দেবেন না সাদ্দাম হোসেন
সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে৷ কাজ করেন ঢাকার রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ রাজনীতিবিদদের উপর তাঁর অনেক রাগ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ভোট দিয়া হইবটা কী? যারা দল করেন তারা কোনো না কোনো ভাবেই লাভবান হন, মরি আমরা শ্রমিকরা৷ ভোট দিব না ভাই৷’’
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিতু
জামালপুরের বকশীগঞ্জের মিতু কাজ করেন ঢাকার গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায়৷ কাজের ফাঁকে স্বামীর মোবাইল ফ্লেক্সি লোডের দোকানেও বসেন৷ জীবনের প্রথম ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিতু৷ তবে নিরুত্তাপ নির্বাচন তাঁর ভালো লাগছে না৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ছুটি পেলে ভোট দিতে যাবেন মিজান
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মিজানুর রহমান কাজ করেন গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায়৷ ছোট সময় তিনি নির্বাচন দেখেছেন অনেক উৎসবমুখর৷ কিন্তু এবার নিজে ভোটার হয়ে ভোটের উৎসব দেখতে পাচ্ছেন না৷ তারপরেও ছুটি পেলে পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিজান৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ভোট নিয়ে ভাবার সময় নেই সাথীর
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পোশাক শ্রমিক সাথী৷ কাজ করেন রামপুরার একটি পোশাক কারখানায়৷ নির্বাচন কিংবা ভোট নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর৷ সাথীর একমাত্র চিন্তা কাজ নিয়ে৷ তিনি মনে করেন, ভালোভাবে কাজ করতে পারলেই সন্তানদের মুখে দুই বেলা খাবার তুলে দিতে পারবেন৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ভোট দেওয়া অনর্থক মনে করেন আব্দুল আলীম
পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায় বাড়ি আব্দুল আলীমের৷ কাজ করেন রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ ছুটি নিয়ে এই ধরনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া তার কাছে অনর্থক মনে হয়৷ তাছাড়া তার ধারণা সে ভোট না দিলেও যে প্রার্থী জয়লাভ করার তার জয় হবেই৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
হাসনা হেনার কাছে ‘নিরুত্তাপ নির্বাচন’
ঢাকার মালিবাগের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন হাসনা হেনা বেগম৷ বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে৷ দেশে যে সবচেয়ে বড় ভোট উৎসব চলছে সেটা তাঁর মনেই হচ্ছে না৷ নিরুত্তাপ নির্বাচনে ভোট দিতে চান না হাসনা হেনা৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
ভোট দেয়ার ইচ্ছা ছিল লাইলীর
লাইলী বেগমের বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগরে৷ ভোটার হয়েছেন ঢাকার তেজগাঁও এলাকায়৷ ভোট দেয়ার ইচ্ছাও ছিল তাঁর৷ কিন্তু শুনতে পাচ্ছেন তাঁর এলাকায় নাকি ভোট হবে না৷ একক প্রার্থী হিসেবে একজন ইতিমধ্যেই জিতে গেছেন৷
-
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
পদত্যাগে ভয় কিসের? প্রশ্ন সোহাগের
সোহাগ মিয়া কাজ করেন ঢাকার মালিবাগের একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে৷ তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে বিরোধী দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘ভালো কাজ করলে পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর এতো ভয় কিসের? ভোটতো আমরাই দিব৷’’
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন, ঢাকা
মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেইন লিখেছেন, ‘‘দেশনেত্রী জাতীয় পতাকা নিয়ে যেতে বলেছেন উনার মতো লগি বৈঠা নিয়ে না৷ অবশ্যই সমর্থন করি৷''
এদিকে, এটিএম আব্দুল্লাহ খালেদা জিয়ার কর্মসূচির প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা জানালেও মনে করছেন, ‘‘তিনি (খালেদা জিয়া) যদি বিদেশিদের সমর্থন না পান তাহলে তিনি জিততে পারবেন না৷''
বিরোধী নেত্রীর এই কর্মসূচি সমর্থন না করার কথাও জানিয়েছেন অনেকে৷ যেমন জাহাঙ্গীর আলম বাবলু লিখেছেন, ‘‘না৷ সে ক্ষমতায় গিয়ে তাঁর এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদ আঙুল ফুলে কলা গাছ হবে৷ আম পাবলিক কষ্ট করবে এবং মরবে৷ তাদের পরিবার দূর্বিসহ জীবনযাপন করবে৷''
প্রদীপ রায় বলছেন, ‘‘অবশ্যই না.... গণতন্ত্র শব্দটি বাংলাদেশের তথাকথিত রাজনীতিবিদদের উচ্চারণ করা সমীচিন নয়.... এসব রাজনীতিবিদরা সর্বদাই গণতন্ত্র শব্দটির অপব্যবহার করিতেছে.......৷''
গোলাম কিবরিয়ার মন্তব্য, ‘‘সহিংসতা বৃদ্ধি পাবার মতো কোনো কর্মসূচিই সমর্থন করি না৷'' জাফর শিকদারের প্রশ্ন, ‘‘ভাই ক্যামনে করি৷ রাস্তাঘাট বন্ধ করে দাওয়াত দিলে কাজ হবে?''
মোকাররম রানা খালেদার কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘মার্চ ফর ওয়ার ক্রিমিনালস!' শ্যামল দাস লিখেছেন, ‘‘জঙ্গিবাদকে মাথায় রেখে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সর্ষের মধ্যে ভুত রেখে ভুত তাড়ানো নয় কি?''
বিজন কৃষ্ণ বৈরাগির মন্তব্য, ‘‘এবার দেখা যাবে কত মানুষ আসে আর কত মানুষ আন্দোলন করছে???'' এনকে সেন মনে করেন, ‘‘এটাও আইএসআই-এর প্রেসক্রিপশন৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী