শ'খানেকের বেশি মানুষের লাশ | পাঠক ভাবনা | DW | 08.08.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

শ'খানেকের বেশি মানুষের লাশ

পাঠক সোহেল রানা লিখেছেন, ‘‘বেশ কিছুদিন পর ‘পাঠক ভাবনা' পাতায় নিজের লেখা দেখে ভালোই লাগলো, ধন্যবাদ৷ ‘খোঁজ মেলেনি লঞ্চের' শিরোনামের লেখা পড়ে জানলাম আসলে কি হচ্ছে...৷''

বন্ধু সোহেল রানা লিখেছেন, ‘‘সকালে বিবিসির খবরেও নানা তথ্য পেলাম৷ বাংলাদেশি একটি টিভি চ্যানেলেও সকালের খবরে বেশ কয়েকটি লাশের খবর দেখলাম৷ আমার কাছে এ খবরগুলো খুবই কষ্টকর৷ এখন হারিয়ে যাওয়া লঞ্চ পাওয়া যাবে, শ'খানেকের বেশি মানুষের লাশ পাওয়া যাবে, কিছু মানুষের সন্ধান সারা জীবনেও পাওয়া যাবে না, ইত্যাদি খবরগুলো সুস্থ মানুষের জন্য কষ্টকর না হয়ে পারে না৷ এত খবরের মাঝেও মানুষের মন খারাপ৷ পদ্মা থেকে এখন পানির স্রোতে লাশগুলো ভেসে যাচ্ছে প্রত্যন্ত নদীতে৷ হয়ত কিছু লাশ বালির নীচে চাপা পড়ে যাবে বা যাচ্ছে.... যা হোক মৃত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি আর পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা৷''

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘বর্তমান গাজা পরিস্থিতিতে আমরা নয়, সারা বিশ্বের মুসলিমরা শঙ্কিত৷ কিন্তু কেউই কিছু করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না৷ সেখানে বাংলাদেশের হামিদুর রহমান ভাই যুক্তরাজ্য থেকে গাজার পক্ষে যুদ্ধ করতে এসে শহিদ হয়েছেন শুনে খুবই ভাল লাগলো৷ হয়ত তাঁর পরিবারের জন্য বিষয়টি খুবই কষ্টের, কিন্তু ইতিহাসে তিনি সাক্ষী হয়ে থাকবেন৷ আল্লাহ যেন তাঁকে হাশরের মাঠে শহিদের মর্যাদা দান করেন৷ আমীন৷''

‘‘এই সুন্দর ভালো লাগার মতো খবরগুলো আপনাদের কাছ থেকে নিয়মিত পাচ্ছি৷ আপনারা ভালো থাকবেন৷ আবার লিখবো এই আশায় মো. সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা-১২০৬, বাংলাদেশ৷''

এবারের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন পাঠক বিধান চন্দ্র টিকাদার, জলিরপাড়, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ থেকে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলা বিভাগের বিভিন্ন পাতায় সুন্দর সুন্দর একাধিক ছবি দেখে ভালো লাগলো৷ প্রতিটি বিভাগের লেখাগুলি পড়ি, যা আমার জ্ঞানের ভাণ্ডারকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ ‘পাঠক ভাবনা' পাতায় সুভাষ চক্রবর্তী ও সোহেল রানা হৃদয়ের লেখা ভালো লাগলো৷ আশা করি অন্যান্য পুরনো শ্রোতাবন্ধুরাও পাঠক ভাবনায় ফিরে আসবেন৷''

পরের লেখাটি পাঠিয়েছেন এমএ বারিক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া ঘাটে যাওয়ার সময় পদ্মায় ডুবে যায় লঞ্চ এমএল পিনাক-৬৷ এই লঞ্চটি ডোবার প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী বহন৷ এই দুর্ঘটনা আমাদের দেশে আজ নতুন নয়৷ কোনো উৎসব আসলেই তো জলে, স্থলে মানুষ মরার এ দৃশ্য যেন আমাদের খুব পরিচিত৷ এ খবরটি আমার হৃদয়কে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে৷ আমি খুব কষ্ট পেয়েছি এ মানুষগুলোর কান্না দেখে৷ খুবই দুঃখজনক ঘটনা, এতে কত মানুষের অসহায়ের মতো মৃত্যু হয়েছে৷ যাঁরা সাঁতার কেটে উপরে উঠে আসতে পেরেছেন, তাঁরা হাজার চেষ্টা করেও তাঁদের প্রিয়জনকে নিয়ে আসতে পারেননি৷ এ যেন এক করুণ কাহিনি৷ একসঙ্গে এতগুলো মানুষের প্রাণ পানিতে ডুবে মরলো – ভাবতেই যেন শরীর শিউরে ওঠে৷ এ বিষয়ে ডয়চে ভেলে থেকে অনেক তথ্য পাচ্ছি৷ ডয়চে ভেলে যেন সারাজীবন আমাদের পাশে থাকে – এই কামনা করি৷ এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ৷''

‘‘সুপ্রিয় ডয়চে ভেলে, আজও আমি তোমায় খুব মিস করি৷ শর্টওয়েভ বা এফএম-এ আর তোমায় শুনতে পাই না বলে৷ ফেসবুকের পাতায় ও ওয়েবসাইটে দেখা হলেও মন ভরে না৷ আমার অনুরোধ ইনবক্স অনুষ্ঠানটি অডিও আকারে ওয়েবসাইটে রাখবেন৷'' মো. নুরুজ্জামান ইসলাম মাদু, গ্রাম বাদাউচ্চ, পোস্ট পাঁচগ্রাম, কালাই, জয়পুরহাট, বাংলাদেশ থেকে এভাবেই লিখেছেন৷

- লেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ৷ সবাই ভালো থাকবেন আর আমাদের সাথে থাকবেন৷ আপনাদের পাঠানো মতামত নিয়ে আমরা আবারো ফিরবো আগামী সোমাবার৷ আর হ্যাঁ, অন্বেষণ কুইজে অংশগ্রহণ করতে যেন ভুলবেন না! সপ্তাহান্ত ভালো কাটুক সবার, আমাদের সেটাই তো প্রত্যাশা৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন