সেই ২০০০ সালে ডয়চে ভেলেতে লেখা শুরু করি৷ আজ ১৩টি বছর শেষ হয়ে গেল৷ মনের আয়নায় ভেসে উঠে কত ঘটনা, কত কথা! মাঝে মাঝে পেছনে ফিরে তাকাই৷ চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে আপনাদের ছবি৷ কখনো অভিযোগ করেছি, কখনো অনুরোধ করেছি, কখনো অনুষ্ঠান শুনে ভালো লাগার কথা জানিয়েছি, আবার কখনো বা চিঠির জবাব না পেয়ে হতাশ হয়ে দুঃখ ভরা হৃদয় নিয়ে চিঠি লিখেছি৷ আজ সবই স্মৃতি৷ দুঃখের কথাগুলো ভুলে সুখের কথাই হৃদয়ে জমিয়ে রেখেছি৷
তাই আমার প্রিয় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নীল আকাশটার দিকে তাকিয়ে হৃদয়ের দরজা খুলে ডয়চে ভেলের কথা আর আপনাদের কথা ভাবি৷ সত্যি দিনগুলো চলে গেল, কিন্তু স্মৃতিগুলো ঠিকই রয়ে গেল৷ আমার মনের ডায়রিতে ডয়চে ভেলের কথা সব সময় বেঁচে থাকবে যুগ যুগ ধরে, চিরদিন চিরকাল৷ আমার এই জীবন চলার পথে ডয়চে ভেলেকে সঙ্গী হিসাবে পেয়ে আমি ধন্য৷
প্রিয় ডয়চে ভেলে
জীবন চলার পথে
যদি কখনো কালবৈশাখি ঝড় আসে, হাত
বাড়িয়ে দেখো বন্ধু
হয়ে আছি আমি তোমার পাশে৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
নৌকাবাইচ
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে পানিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে নৌকাবাইচ৷ নদীতে নৌকা চালানোর প্রতিযোগিতা প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা যায়৷ বাংলার লোকসংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ নৌকাবাইচ৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
বাইচের বিশেষ নৌকা
নৌকাবাইচের জন্য তৈরি নৌকাগুলো হয় সরু এবং লম্বাটে৷ আর মাঝিরা বৈঠা হাতে সারিবদ্ধভাবে বসেন তাতে৷ গঠনের কারণে পানিতে দ্রুত গতিতে চলতে পারে এগুলো৷ প্রতিযোগিতার সময় নৌকাগুলোকে বিশেষভাবে সাজানো হয় আর মাঝিরা সার গানের তালে তালে দাঁড় টানেন৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
সাঁতার
বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ তবে আঞ্চলিক পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতা তেমন একটা জনপ্রিয় নয়৷ অলিম্পিকেও বাংলাদেশ কোনো সাফল্য পায়নি৷ এই ছবিটি ২০০৪ সালে ইসলামাবাদে তোলা৷ সেবার সাফ গেমসে অংশ নিয়ে রৌপ্য জয় করেন সাঁতারু কারার সামেদুল ইসলাম৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
সাঁতার শেখা জরুরি
ক্রীড়া হিসেবে সাঁতার বিশেষ জনপ্রিয় না হলেও গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ মানুষকে নিত্যদিনের প্রয়োজনেই সাঁতার শিখতে হয়৷ এখনো বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে চলাচলের অন্যতম বাহন নৌকা৷ আর পুকুরে গোসল খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার৷ শিশুরা তাই ছোটবেলাতেই শিখে নেয় সাঁতার৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
পানি দাপিয়ে বড় হওয়া
গ্রামাঞ্চলের শিশু-কিশোররা সাধারণত পানিতে সময় কাটায় বেশি৷ কখনো পুকুরে ডুব দিয়ে শাপলা তোলা, কখনো সেতুর উপর দিয়ে খালে ঝাপ দেয়া – তাদের কাছে এসবই খেলা৷ তারা কলাগাছ দিয়ে ভেলা তৈরি করে ভাসাতে ভালোবাসে, সুযোগ পেলে বিলে গিয়ে ধরে ছোট মাছ৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
নতুন ধারা সার্ফিং
উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে বহু আগে থেকেই সার্ফিং চালু থাকলেও বাংলাদেশে এই ‘‘জলক্রীড়া’’ এখনো নতুনই বলা যায়৷ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সার্ফিং ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘‘বিশ্বের দীর্ঘতম অভঙ্গুর প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত৷’’ দীর্ঘ এই সৈকতে সার্ফিং-এর উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন অনেকে৷
-
পানির দেশে ‘‘জলক্রীড়া’’
পাটের নৌকায় ‘‘সেইলিং’’
পানির দেশে বাংলাদেশের নদীতে পালতোলা নৌকা হরহামেশাই দেখা যায়৷ এরকম এক পাটের তৈরি ছোট পালতোলা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশের কুয়াকাটা থেকে ফ্রান্সের লা সিওতা অবধি পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে৷ ২০১০ সালে কোরঁত্যাঁ দ্য শাতেলপেরঁ নামক এক ফরাসি যুবক এই অসাধ্য সাধন করেন৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
গান্দাছি, বাংগড্ডা বাজার, কুমিল্লা থেকে সোহাগ বেপারী স্বরচিত কবিতাসহ এই লম্বা ই-মেলটি পাঠিয়েছেন৷
অনেক ধন্যবাদ ভাই সোহাগ আপনার লেখা কবিতা এবং ই-মেলের জন্য৷ আপনাদের মতো বন্ধুদের পেয়ে আমরাও ধন্য৷ আপনারা সাথে আছেন বলেই ডয়চে ভেলে আছে৷ আমাদেরও মাঝে মাঝে পুরনো বন্ধুদের কথা খুব মনে পড়ে৷ ডয়চে ভেলের রেডিও অনুষ্ঠান না থাকলেও আছে ওয়েবসাইট এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ'৷
এছাড়াও আছে আমাদের ফেসবুক পাতা, যেখানে আমাদের বন্ধুর সংখ্যা এ মূহূর্তে দুই লাখ ৬৬ হাজার এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে৷ আসুন না আমাদের ফেসবুকে! সেখানে আপনি আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন অন্য বন্ধুদের মতো, জানাতে পারেন ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত৷ অন্য বন্ধুদেরও অনুরোধ করছি নিজেরা আসুন এবং অন্যদেরও বলুন আসতে৷ সপ্তাহান্ত ভালো কাটুক আপনাদের সবার – এই প্রত্যাশা আমাদের সকলেরই৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ