ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে বন্ধু এম.এ বারিক ডিডাব্লিউ-র নতুন ওয়েবসাইট সম্পর্কে মতামত জানিয়ে নিজের ই-মেলটি শুরু করেছেন ঠিক এভাবেই৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ডয়চে ভেলের এ পরিবর্তন যথার্থ এবং সময়োপযোগী৷ আমি আশা করি, আপনাদের ওয়েবসাইটের এ পরিবর্তনের ফলে পাঠক সমাজের কাছে ডিডাব্লিউ-র মান অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং আপনারা আপনাদের হারানো শ্রোতাবন্ধুদের ফিরে পাবেন৷ যাই হোক, এবার আসা যাক ১লা অক্টোবর থেকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো আপনাদের ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে৷ এর মাঝে আপনারা অনেক প্রতিবেদন ‘পাবলিশ' করেছেন৷ সেই প্রতিবেদনগুলোতে পাঠকবন্ধুরা তাঁদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন৷ আপনারা এখন আমাদের মন্তব্যকে গুরুত্বও দিচ্ছেন৷ আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে গুরুত্বের সাথেই তুলে ধরছে ডয়চে ভেলে৷ থাকছে জার্মান ও ইউরোপীয় দৃষ্টিভঙ্গিও৷ এ সবই আমরা ডিডাব্লিউ-র কাছে আশা করি৷ তবে আপনারা খেয়াল রাখবেন যে, একই প্রতিবেদন যেন বার বার ‘পোস্ট' না হয়৷ কারণ আমরা আপনাদের কাছে নতুন নতুন খবর আর মজার মজার ‘টিপস' চাই৷ তাই প্রতিদিনই নতুন পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন৷''
-
বিভাগ ও কর্মীরা
বাংলা বিভাগ
আমাদের কর্মীদল – প্রতিদিন আমরাই আপনাদের সামনে তুলে ধরি নিত্যদিনের খবর, ঘটনা৷ তৈরি করি প্রতিবেদন, নানা বিষয় ও মেজাজের পটভূমি ভিত্তিক ফিচার৷ আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান, ওয়েবসাইট, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব চ্যানেলের মধ্য দিয়ে আপনাদের সঙ্গে এক অচ্ছেদ্য সংযোগ গড়ে তুলতে আমরা সদা সচেষ্ট৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
দেবারতি গুহ
দেবারতি গুহ ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান৷ কলকাতা-ঢাকায় শৈশব-কৈশোর কাটানোর পর তিনি নতুন দিল্লির জওয়াহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ও এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে জার্মান দৈনিক ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং-এর সঙ্গে কর্মরত থাকেন৷ ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সমন্বয়কারী সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের মে মাস অবধি বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
খালেদ মুহিউদ্দীন
ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। এক দশকের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা ও অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমন কাহিনি লিখেছেন, ঘুরে বেড়িয়েছেন নানা দেশে।
-
বিভাগ ও কর্মীরা
সঞ্জীব বর্মন
সঞ্জীব বর্মন ডয়চে ভেলেতে যোগদান করেন ১৯৯৯ সালে৷ এর আগে তিনি কলকাতার গ্যোটে ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষায় শিক্ষকতা করেছেন এবং কলকাতার জার্মান কনস্যুলেটের প্রেস ও জনসংযোগ অফিসার হয়ে কাজ করেছেন৷ ভারত ও জার্মানির মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রীসুলভ সম্পর্ক গড়ে তোলাও তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ত৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
আশীষ চক্রবর্তী
আশীষ চক্রবর্তী বাংলাদেশের একাধিক মুখ্য দৈনিকে কাজ করেছেন: যেমন প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ ও যায় যায় দিন৷ পরে তিনি বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমেও ছিলেন৷ স্নাতকোত্তর পর্যায় অবধি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র৷ পেশাগত জীবন শুরু করেন শিক্ষক হিসেবে, পরে ধারা বদলে হন সাংবাদিক৷ অপরদিকে গায়ক হিসেবে জলসা করেছেন এবং মঞ্চে অভিনয় করেছেন৷ সংগীত আজও তাঁর জীবনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
জাহিদুল হক
জাহিদুল হক ২০১০ সাল থেকে ডয়চে ভেলের হয়ে কাজ করছেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জাহিদ ২০০১ সালে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ তখন তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরিজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর বিজনেস রিপোর্টার৷ জার্মানিতে আসা পর্যন্ত তিনি পত্রিকাটির সাব এডিটর হিসেবে কাজ করছিলেন৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বাধুনিক চমক হল জাহিদের নেশা৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
নুরুননাহার সাত্তার
বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নুরুননাহার সাত্তার বাংলা বিভাগের চিঠিপত্র বিভাগের দেখাশোনা করছেন এবং আজ facebook.com/dw.bengali-র দেখাশোনা করতে তাঁর ঠিক ততটাই ভালো লাগছে৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
আরাফাতুল ইসলাম
আরাফাতুল ইসলাম তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু করেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার তথ্য প্রযুক্তি প্রতিবেদক হিসেবে৷ পরবর্তীতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক ২০০০-এর হয়ে কাজ করেছেন৷ ২০০৭ সালে তিনি ‘অফ দ্য রাডার’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন৷ ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটের বিকাশে আরাফাতের বিশেষ অবদান আছে৷ তাঁর অবসর সময় কাটে ব্লগ লিখে৷ এবং আরো অনেক ব্লগারের মতো তিনিও বেড়াতে ভালোবাসেন৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
অমৃতা পারভেজ
অমৃতা পারভেজ বাংলা বিভাগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক অনুষ্ঠান অন্বেষণের সঞ্চালক এবং সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন৷ দিনাজপুরে শৈশব-কৈশোর কাটানোর পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে বাংলাভিশন এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে সংবাদ পাঠিকা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
যুবায়ের আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান ও অ্যাটেনিও ডি ম্যানিলা ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা পড়েছেন তিনি৷ প্রায় এক যুগ কাজ বাংলাভিশন ও মাছরাঙা টিভিতে৷ মূলত রাজনীতি, জ্বালানি খাত, অর্থনীতি ও খেলা কাভার করেছেন৷ আবৃত্তি ও অভিনয় করতেন৷ লিখতে, ছবি তুলতে ও পড়তে ভালোবাসেন৷
-
বিভাগ ও কর্মীরা
অনুপম দেব কানুনজ্ঞ
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগে যোগ দেয়ার আগে এক দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও নিউ এইজে৷ ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাতত্ত্বে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ ঘুরতে ভালোবাসেন৷ বিভিন্ন দেশের, সংস্কৃতির মুখোশের সংগ্রহ রয়েছে তাঁর৷ টুইটার: @anupamdkan
-
বিভাগ ও কর্মীরা
ফয়সাল শোভন
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডয়চে ভেলেতে যোগ দেন তিনি৷ এর আগে আট বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশের মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে৷ সাংবাদিকতায় আগ্রহ ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি৷ ইমেইল: faisal.ahmed@dw.com
এছাড়া তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনারা নতুন ধরণের কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন জেনে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে৷ এবার আপনাদের কাছে থেকে আমরা অসংখ্য পুরস্কার জিততে পারবো৷ তবে পুরস্কারের মান যাতে পাঠকদের আকৃষ্ট করে, সে বিষয়টিও ভেবে দেখবেন৷ পাঠকদের পাঠানো ছবি দিয়ে ছবিরঘর তৈরির উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়৷ ডয়চে ভেলে যেমন চায় উচ্চমানের সাংবাদিকতা, ঠিক তেমনি চায় ভালো মানের ফটোগ্রাফারও৷ এর ফলেই এই উদ্যোগ৷ ই-মেলে ছবি পাঠাতে কিন্তু বেশ সময় লাগে৷ তাই এ বিষয়ও মাথায় রাখবেন৷ যাতে সবাই ছবি পাঠাতে পারে৷ আপনাদের ওয়েবসাইট নিয়ে মাসিক কুইজও শুরু করতে পারেন৷ আর আপনারা নিয়মিত ই-মেলের মাধ্যমে পাঠকদের ই-মেলের প্রাপ্তিস্বীকার করবেন৷ আপনাদের কাছে থেকে ই-মেল আসলে যে কোনো পাঠকেরই ভালো লাগবে৷ ‘নিউজলেটার' পাঠানো অব্যাহত রাখবেন৷ আপনাদের যে সব নিয়মিত পাঠক সবচেয়ে বেশি ই-মেল, ছবি, মন্তব্য ইত্যাদি পাঠাবেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর তাঁদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন৷ কারণ হতে পারে এটাও একটা প্রতিযোগিতা এবং ঐ পাঠকের কাজের স্বীকৃতি৷ আপনাদের টিভি অনুষ্ঠান #অন্বেষণও চালিয়ে যাবেন৷ আপনাদের সাইটটিতে অনেক পুরানো কিছু কিছু পোস্ট রয়েছে৷ আমার অনুরোধ, সেই পোস্টগুলো মুছে ফেলবেন এবং তাতে নতুন কিছু অ্যাড করবেন৷ পরিশেষে বছরে একবার পাঠক সমাবেশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি৷ পাঠকদের সাথে ডয়চে ভেলের সম্পর্ক যাতে আরও ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় হয় – এই শুভকামনায় এখানেই শেষ করছি৷''
- ধন্যবাদ ভাই বারিক আপনার মতামতের জন্য৷ আমাদের ভালো লাগতো যদি আপনি আমাদের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কোনো প্রস্তাব পাঠাতেন৷ আপনার মতামতে পুরস্কারের বিষয়টি জোড়ালোভাবে স্থান পেলেও প্রস্তাব সেভাবে স্থান পায়নি৷ গতকালের চিঠিতে কিন্তু আমরা প্রস্তাব পাঠানোরই অনুরোধ করেছিলাম পাঠক বন্ধুদের কাছে৷ আগামী ই-মেলে জানাবেন, কেমন?
পরে ই-মেলটি লিখেছেন বর্ধমান থেকে পুরনো বন্ধু অজয় কুমার৷ তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘‘বিশেষ সূত্র থেকে জানতে পারলাম, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলা পরিবেশনা আবারো মিডিয়াম ওয়েভে প্রচার হতে যাচ্ছে৷ এই তথ্য কতটা সত্য, অবশ্যই মেলের উত্তর মেলে দেবেন৷ অজয় কুমার সরকার, হটুদেওয়ান নাগেরপাড়া, বর্ধমান, ভারত৷''
- এমনটা হলে কিন্তু আমারাও কম খুশি হতাম না৷ না ভাই, এই তথ্য মোটেও সত্য নয়! কেমন আছেন আপনারা? আপনার স্ত্রী তপতী ও আপনি আমাদের অনেক শুভেচ্ছা নেবেন৷ তাঁকে বলবেন, আমরা তাঁর কাছ থেকে আগের মতো মতামত পেতে চাই৷ সকলের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন – এটাই আমাদের প্রত্যাশা৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ