1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিকে ব্যবহার করে পরমাণু প্রযুক্তি কিনছে পিয়ংইয়ং

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেছেন, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কিনতে উত্তর কোরিয়া তাদের বার্লিনের দূতাবাস ব্যবহার করেছে৷ এসব যন্ত্রপাতি ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচিতে কাজে লাগিয়েছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/2s8W4
Nordkoreanische Botschaft
ছবি: picture alliance/dpa/S.Schaubitzer

‘‘সেখানে (বার্লিনের দূতাবাস) ক্রয় প্রক্রিয়া চলেছিল বলে আমরা শনাক্ত করেছি৷ আমাদের ধারণা, মিসাইল ও পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টি মাথায় রেখে সেটা করা হয়েছে,'' সরকারি প্রচারমাধ্যম এনডিআরকে এক সাক্ষাৎকারে জানান বিএফভি প্রধান হান্স-গেয়র্গ মাসেন৷

শনিবার ঐ সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ প্রকাশ করে এনডিআর৷ সোমবার তা পুরো প্রকাশ করার কথা৷

অবশ্য ঠিক কী ধরনের প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি মাসেন৷ তবে সেগুলো একইসঙ্গে সাধারণ নাগরিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানান তিনি৷ ‘‘আমরা যখন এসব বিষয় বুঝতে পেরেছি , তখন আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি,'' বলেন গোয়েন্দা প্রধান৷ ‘‘কিন্তু আমরা নিশ্চিত করতে পারিনা যে, আমরা সব প্রক্রিয়াই শনাক্ত কিংবা প্রতিহত করতে পারব,'' যোগ করেন তিনি৷

এনডিআর বলছে, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে বিএফভি৷

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিক রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন ‘মাল্টি-গ্যাস মনিটর' সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল বলে সেই সময় খবর প্রকাশিত হয়েছিল৷

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে দেশটির উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ৷ কিন্তু তারপরও উত্তর কোরিয়া কয়লা, লোহা, ইস্পাত সহ অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানি করছে বলে জাতিসংঘের এক খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সহ কয়েকটি মার্কিন পত্রিকায় ইতিমধ্যে জাতিসংঘের খসড়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ এতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া গতবছর বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে৷

উত্তর কোরিয়া মিয়ানমারের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করেছে, আর সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করেছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়৷

চীন ও রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার অবৈধ বাণিজ্য রুখতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ চীন, রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্য গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এছাড়া চীন ও রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ত্রিশ জনের বেশি প্রতিনিধি কর্মরত আছে বলেও প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে৷

জেডএইচ/এসবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য