‘প্রতিবাদী কিশোরী মালালাকে সমর্থন করি’ | পাঠক ভাবনা | DW | 15.10.2012
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘প্রতিবাদী কিশোরী মালালাকে সমর্থন করি’

পাকিস্তানে মাত্র ১৪ বছর বয়সি প্রতিবাদী কিশোরী ব্লগার মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা৷ যে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে৷ তার অপরাধ, সে নারীশিক্ষার পক্ষে কথা বলতো৷

এই কিশোরী ব্লগার প্রকাশ্যে তালেবানের সমালোচনা করতো৷ মালালাকে নিয়ে লেখা প্রতিবেদনগুলো পড়ে আমাদের ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন অনেক বন্ধু৷ আর অনেকে পাঠিয়েছেন ইমেল এবং এসএমএস৷

মালালার ওপর তালেবানদের নৃশংস হামলার তীব্র প্রতিবাদে সকলের গর্জে ওঠা উচিত৷ ডয়চে ভেলের সকল শ্রোতা মালালার সুস্থ ও আরোগ্য কামনা করি৷ জিয়াগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন তপন ও চৈতালী ব্যানার্জী৷

তালেবানের গুলিতে আহত মালালা ইউসুফজাই একজন মহীয়সী নারী৷ নারী শিক্ষা আন্দোলনে মালালার ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে সমর্থন করি এবং তার কল্যাণ কামনা করি৷ মরণ তার অবদান ম্লান করতে পারবে না, তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন৷ মো.আফজাল আলী খান, নন্দন বেতার শ্রোতা সংঘ , মধ্য আলিপুর , ফরিদপুর থেকে জানিয়েছেন৷

ফেসবুকে লিখেছেন, হত্যা করে কি থামিয়ে রাখতে পারবে? জন্ম নেবে আরো আরো ব্লগার, তাদের থামাবে কী করে ?

ফয়সাল আহমেদ শিপন লিখেছেন, এই ধরনের প্রতিবাদ, অন্যদেরও প্রতিবাদী হতে সাহায্য করবে বলে মনে করছি৷

মালালা ইউসুফজাই এর কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসী স্মরণ রাখবে৷ এম বি ফয়েজ উদ্দিন, হাইলাকান্দি, থেকে লিখেছেন৷

‘দুঃসাহসের মূল্য দিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে মালালা ইউসুফজাই' রাজশাহীর বন্ধু এম আবদুর রশীদ ডি ডাব্লুর ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদনটি পড়ে মন্তব্য করেছেন, ছোট এই মিষ্টি মেয়েটির দুঃসাহসিকতা ও জীবন বাজি সমগ্র বিশ্বের নারীজাতিকে হাজার বছর এগিয়ে নিয়ে গেছে৷

দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শ্রোতাবন্ধু রতন কুমার পাল জানিয়েছেন, আমাদের ওয়েবসাইটে জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলারের সম্পর্কে অনেকদিন পর আবার জেনে খুব ভালো লাগলো৷ এই বন্ধু আরো লিখেছেন, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিস সম্পর্কে ক্যাম্পাস পর্বে সাক্ষাৎকারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানলেন৷

রতন কুমার পাল এ সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ই-মেল করেছেন, টেলিফোন করেছেন৷ এবং কয়েকটি ভয়েসমেলও পাঠিয়েছেন ৷ ধন্যবাদ ভাই রতন৷ অনুরোধ করবো, একই সপ্তাহে কয়েকটি ভয়েসমেল না পাঠিয়ে ভাগ ভাগ করে পাঠাবেন, অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে একটা দুটো করে৷ তাহলে সবগুলোই বাজিয়ে শোনানো সম্ভব হবে৷

গোপালগঞ্জ থেকে শ্রোতাবন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার লিখেছেন, ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে ভাসমান চাষ শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ে সেখানে দেওয়া কিছু ভুল তথ্য আমার চোখে পড়লো৷ গ্রামের নাম ঠিকমতো লেখা হয়নি৷ ৯০০ হিন্দু পরিবারের কথা লেখা হয়েছে , আসলে ৩৫০ থেকে ৪০০ পরিবার আছেন৷ ভাসমান চাষ এখানকার দীর্ঘদিনের চাষাবাদ পদ্ধতি তবে বিসিএস সংস্থাটি এই চাষাবাদে আধুনিক কৌশল ব্যবহার ও ব্যাপকভাবে চাষাবাদে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করছে৷ সমস্যা বন্যা নয়, প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা ইত্যাদি৷

নিয়মিত ডয়চে ভেলের জ্ঞানবর্ধক ওয়েবসাইট দেখছি৷ প্রতিবেদনগুলো পড়ে আমি ও আমার মত কত পাঠক আছেন, যারা অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারছেন৷ একথা লিখেছেন সুমনা দাশ, কাশিমনগর, খুলনা থেকে৷

Malala Yousafzai

মালালা ইউসুফজাই

‘আযম খানের বক্তব্য ছিলো সাজানো নাটক' ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদনটির নিচেই খুলনার আরেকজন নতুন বন্ধু তন্ময় মুখার্জী লিখেছেন, নিয়মিত ওয়েবসাইট দেখলেও এটাই প্রথম ই-মেল৷ আশাকরি উত্তর পাবো৷

-আমরা আশাকরি এভাবেই নিয়মিত লিখবেন সুমনা, তন্ময়সহ সবাই৷

আমাদের একজন নতুন শ্রোতা কাব্য লিখেছে, আমার কোন বন্ধু নাই, তোমরা কি আমার বন্ধু হবে ?

-অবশ্যই৷ কাব্য, আজ থেকে আমরা সবাই তোমার বন্ধু ৷ আবারও লিখবে, কেমন৷

মাদারীপুরের বন্ধু রাসেল শিকদার ফেসবুকে লিখেছেন, আমি বড় একটা সমস্যার মধ্যে আছি৷ আশাকরি সমাধান দেবেন৷ আমি আপনাদের শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক হতে চাই৷ তাহলে ফেসবুকে মন্তব্য লিখলেই কি যথেষ্ট? আপনারা তো বললেন, শ্রেষ্ঠ পত্র অনুষ্ঠানে পড়ে শোনাবেন৷ কিন্তু ফেসবুকের মন্তব্য তো খণ্ড খণ্ড হয় ?

- সেজন্যই ফেসবুক বন্ধুদের অনুরোধ করবো ফেসবুকের মেসেজে বা ডানদিকে একটু নিচে যেখানে রাসেল এই প্রশ্নটি করেছেন ঠিক সেখানেই গুছিয়ে আপনাদের মতামত লিখতে পারেন৷ আর এই মতামত যে বিশাল আকারের হতে হবে তা কিন্তু নয়৷ মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে - যা পরবর্তিতে অনুষ্ঠান বা ওয়েবসাইট সাজাতে আমাদের কাজে লাগতে পারে৷ থাকতে পারে কোন পরামর্শ বা প্রস্তাবও৷

সুঘর, হবিগঞ্জ থেকে মো. রাসেল মিয়া লিখেছেন ডাকে পাঠানো চিঠিতে, আমার সংক্ষিপ্ত চিঠিতে একটি বিষয় উল্লেখ না করে পারছিনা৷ তা হলো পাশ্চাত্যের অন্যান্য শক্তিশালী মিডিয়াগুলি যেখানে মুসলিম বিশ্বের খবাখবরগুলি পক্ষপাতিত্ব করে প্রচার করে, সেখানে আমার বিচারে ডয়চে ভেলে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম৷

মীরপুর, ঢাকা থেকে শ্রোতাবন্ধু সেলিনা আক্তার লিখেছেন, প্রতিদিন দু'বেলায় একঘণ্টার অনুষ্ঠানে খুব তরতাজা খবর পেয়ে থাকেন৷ যা নিজের দেশের বেতারেও পাননা৷ তিনি জার্মানির কিছু খাবারদাবার সম্পর্কে জানতে বা শিখতে আগ্রহী৷

- বোন সেলিনাসহ সবাইকেই অনুরোধ করবো নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন তাহলে জার্মানির রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিনোদন, পরিবেশ, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সবই পাবেন৷ সেখানে জার্মান খাবারের ছবিও থাকে মাঝে মধ্যে৷

ধাঁধায় আইপড বিজয়ী বন্ধু নাজিম উদ্দিন নয়নের প্রশ্ন আইপড দিয়ে কি শুধু গান শোনা যায়, নাকি ভিডিও দেখা যায়?

-আইপড দিয়ে শুধু গানই শোনা যায় ভাই৷ ভিডিও দেখা যায়না৷ তবে পছন্দের অনেক গান কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে যখন এবং যেখানে খুশি নিয়ে গিয়ে গান শোনা যায়৷

ডা. এস এম এ হান্নান, পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাব, হরিপুর, পাবনা থেকে লিখেছেন, পত্র দিয়ে নিয়মিত জবাব পাচ্ছি এফএম তরঙ্গে এবং পাঠক ভাবনায়, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া৷ অনুষ্ঠান নিয়ে বলতে চাই, জনসচেতনতা ও জনকল্যাণমূলক অনুষ্ঠান বেশি বেশি প্রচার করবেন৷ অসহায় নির্যাতিত শিশু ও নারীদের কথা আরো বেশি প্রচার করবেন৷ আমার শ্রোতা জীবনে ডয়চে ভেলেকে বহুরূপে দেখলাম এসবের কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন৷ এ ধারাকে আমি সাধুবাদ জানাই৷

মো.তসলিম উদ্দিন রকেট , মরসুলা গার্লস হাই স্কুলের কম্পিউটার চিচার নওগাঁ থেকে লিখেছেন এখন আপনাদের স্কুলের ১২জন শিক্ষক এবং ৮৫০ জন ছাত্র প্রতিদিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের অনুষ্ঠান শোনেন এবং উপভোগ করেন৷

রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা প্রসঙ্গে অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌসের সাথে আলাপচারিতা ভীষণ গুরুত্ব পূর্ণ ছিল৷ এই ধরনের হামলা চরম নিন্দনীয়৷ এই হামলা বিরুদ্ধে যারা বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছেন , তারা বেশীর ভাগই রোহিঙ্গাদের উপর চরম নির্যাতন বিষয়ে নীরব ছিলেন৷ কেন? লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনারস ক্লাব, ঘোড়াদাইড়, সুলতানশাহি, গোপালগঞ্জের বন্ধু বি এম ফয়সাল আহমেদের প্রশ্ন৷

সোনার বাংলা রেডিও ক্লাব, হরিপুর, ঝিনাইদহ থেকে শ্রোতাবন্ধু গোলাম রসুল লিখেছেন, পশ্চিমের জানালায় অভিবাসন নিয়ে পরিবেশনা, ফেসবুকের সাফল্যের সংবাদ, বাংলাদেশের রাজনীতির নানা খবর এবং খেলার খবরে ফুটবলের খবর শুনে খুব ভাল লাগলো৷ সুরের ভুবন পর্বে মাঝে মাঝে বাংলা গান প্রচার করবেন৷

জার্মানি ও পশ্চিম দুনিয়ার সংস্কৃতি জগতের নানা দিক শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরা এবং প্রাচ্য ও পশ্চিমের সংস্কৃতির মধ্যে মিলনের উদ্দেশ্য নিয়ে পরিবেশিত ‘নন্দন' অনুষ্ঠানের কোন তুলনা নেই৷ নতুন আঙ্গিকের ওয়েবসাইট ভালোই লাগছে তবে রেডিওতে অনুষ্ঠান না শুনতে পাওয়ার কষ্ট ভুলি কী করে? সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি৷

- বিভিন্ন মাধ্যমে মতামত জানানোর জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷

নির্বাচিত প্রতিবেদন