একদিকে আগুন, অন্যদিকে গুলি – মানুষ মরছে দু’দিকেই৷ মৃত্যুর এই মিছিল থামানোর উপায় কী? এর উত্তর ডিডাব্লিউ-র ফেসবুকে পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো৷ ফেসবুকে এই পোস্টটি দেখেছেন প্রায় ৩০ হাজার পাঠক৷ লাইক করেছেন দেড় হাজারেররও বেশি পাঠক৷ আর মতামত জানিয়েছেন, মন্তব্য করেছেন দু’শোর অধিক ফেসবুক বন্ধু৷
মাসুম প্রধান মনে করছেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগুন, গুলি আর অসহায় মানুষদের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব৷ এই একই মত আরো অনেকের৷ যেমন সৈয়দ মোর্শেদের মন্তব্য, ‘‘সবদলের অংশগ্রহণে মধ্যবর্তী একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন৷'' এবং তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের জনগণের একটি কাজ হবে, যে নতুন কোনো একটি দলকে নির্বাচিত করা৷''
জিয়াউর রহমান আবার নির্বাচন চান৷ আর কেন চান তার কারণও তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘দু দলই ক্ষমতার মোহে উন্মাদ, ক্ষমতাই এখানে মূখ্য৷ তাহারা জনগণকে মূল্যায়ন করে না, আর কোনো দেশ এভাবে চলতে পারে না৷ তাই সবদলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কাম্য৷ যেহেতু বিগত নির্বাচনটা প্রশ্নবিদ্ধ, তাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই একটি সর্বগ্রহণযোগ্য নির্বাচন জরুরি৷ তবে ক্ষমতাসীন দলেরই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার৷ তা না হলে একটা তৃতীয় মাত্রা যোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ সেটা হলো সামরিক শাসন৷''
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
-
অস্থির বাংলাদেশ
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আলী হোসেন তরুণ প্রজন্মের পক্ষে মত দিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘খালেদা আর হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বনবাসে পাঠাতে হবে, নতুন প্রজন্মের তরুণদের দ্বারা দেশ পরিচালনা এক মাত্র শান্তি লক্ষণ৷''
পাঠক মোখলেসের মতে ‘হাসিনার পদত্যাগ এবং একটি সুস্থ নির্বাচন৷'
আল ইসলাম একেবারে নিশ্চিত যে ‘‘এই দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে হবে৷''
আগুন, গুলি আর মৃত্যুর মিছিল থামাতে শাহাব উদ্দীনের পরামর্শ, ‘‘সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দ্রুত একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা৷''
বন্ধু মোস্তাক আহমেদ মুনসি একটু ভিন্ন মত পোষণ করেন৷ তাঁর আশা, ‘‘আগামী ৩ বছর সেনাবাহিনী দ্বারা দেশ পরিচালনা দেখতে চাই এবং সকল অপরাধীদের সঠিক বিচার চাই৷ তিন বছর পরে জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী তাদের নিজ কর্মে ফিরে যাবে, এটাই আমার আশা৷
আবুল হানিফের সোজা কথা৷ তিনি মনে করছেন, হাসিনা সরে গেলে সব বন্ধ হয়ে যাবে৷ সাইদুল ইসলামের পরামর্শ যে ‘‘সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন দেওয়া হবে বিবেকমানদের মত বড় একটি কাজ৷'' পাঠক মুন্না, রাজু আহমেদ রঞ্জুও নতুন করে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন৷
তাপস মজুমদার বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সন্দীহান৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আমাদের দেশ একটি বিশাল বিপদের মুখে পতিত হয়৷ সমস্যা হল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে না, আবার সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে গেলে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন দেখা দেয় এই দেশে৷ তাই গণভোট করা প্রয়োজন৷ তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি গ্রহণ করলে তা সংবিধানে পরিণত হবে৷ আর নির্বাচন পদ্ধতি কোনো সরকার পরিবর্তন চাইলে তা গণভোট করতে হবে৷''
রওশন হোসেন, কার্তিক ধর, মো. জসিম উদ্দিন সুমন এবং রনি সরকারের মতে ‘‘ চাই দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপ৷'' মো.আবদুল হালিমও নতুন নির্বাচন চায়, তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷
শান্ত রায় লিখেছেন ফেসবুকে, ‘‘গণভোটের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করুক, দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে৷''
অন্যদিকে ইমরান খান সতু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এতটাই অস্থির যে তিনি আর চান না যে, নারী নেতারা দেশের কর্ণধার হোক৷ তিনি এবার পুরুষ নেতার পক্ষে৷ লিখেছেন, দুই নেত্রীকে সরিয়ে দাও, নতুন দল তৈরি করো৷ নেতা হতে হবে পুরুষ, তাহলে দেশে শান্তি আসবেই, ইনশাআল্লাহ৷''
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
হামলার শিকার সাংবাদিক
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনা আগেও ঘটেছে৷ এখনো সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি৷ তবে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের আহত হওয়ার ঘটনা চলমান আন্দোলনেই প্রথম ঘটছে৷ এ বছর হেফাজত-এ-ইসলামের সমাবেশে প্রহৃত হন সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন৷ গত দুই সপ্তাহে হরতাল এবং অবরোধের সময় ককটেল হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক৷ ছবিতে নাদিয়া শারমিনের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতেচ্ছেন নারী সংগঠন কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
যানবাহনে আগুন, রেললাইন উপড়ানো
হরতাল-অবরোধ মানেই রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ৷ কর্মসূচির এ লক্ষ্য পূরণের পথে বাধা হলে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই স্বাভাবিক ঘটনা৷ তবে গত এক বছরে জ্বালাও-পোড়াওয়ের এই ধ্বংসলীলা অন্য মাত্রা পেয়েছে৷ হরতালের আগের রাতেই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ৷ তাই বিরোধী দল ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন শুরুর আগেই জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ ছবিতে মোটর সাইকেলে পেট্রোল ঢালছেন জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
শিশুরাও অসহায়, নিরাপত্তাহীন
যানবাহনে ঘুমন্ত চালক, হেল্পার বা চালকের সন্তানের আগুনে ঝলসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে৷ ঢাকা শহর দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে কাভার্ডভ্যান চালকের সন্তান মুনির৷ এমন হতভাগ্যদের তালিকায় আরো নাম যোগ হয়েছে৷ স্কুলে, রাস্তায়, এমনকি বাড়িতেও শিশুদের জীবন সংকটাপন্ন দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷ছবিতে সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে স্লোগানরত জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
নিরাপত্তা কর্মীদেরও নিরাপত্তার অভাব
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের কারণে রায় ঘোষণার পর নেতাদের শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে জামায়াত-ই-ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে৷ হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী৷ রাজশাহীতে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যের মাথা ইটের আঘাতে থেতলে দেয়া হয়৷ বিরোধী দলের সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচিতেও কর্মরত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন দায়িত্বরত অবস্থায়৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
সংখ্যালঘুদের বাড়ি-মন্দিরে আগুন
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক সময়৷ তবে শীর্ষ নেতাদের শাস্তি ঘোষণার পর জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর-মন্দির-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালায়৷ ছবিতে নিজের শিশুসন্তান কোলে সাতক্ষিরার অমিয় দাশ৷ ঘরবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় শিশুটিকে আগুনে ছুড়ে মারতে চেয়েছিল শিবির কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
কবে হবে অবসান!
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের শরিক কয়েকটি দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছে৷ ফলে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বেড়েছে৷ ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তারপর থেকে বিরোধী দলের হরতাল, অবরোধ চলছে প্রায় বিরামহীনভাবে৷
লেখক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
পাঠক সাহাদাত উল্লারও প্রায় একই মত৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘নারীদেরকে রাজনীতি থেকে বাদ দিলে অবশ্যই ভালো হবে৷''
মো.মাসুমও মনে হয় অতিষ্ঠ বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপে৷ তিনি বলছেন, ‘‘দুই দলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হোক৷''
সুমন আক্তার মনে করছেন হাসিনা গদি ছাড়লেই সব সমস্যার সমাধান হবে৷ তাঁর মন্তব্য ‘হাসিনার গদি ছাড়তে হবে৷'
মাসুদ খান প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে পেতে চান, যদি দু'হাজার মানুষের জীবনের বিনিময়ে হয় তাতেও তাঁর আপত্তি নেই৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ক্ষতি যা হয় একবারেই হয়ে যাক৷ এপার না হয় ওপার৷ দুই হাজার লাশের বিনিময়ে যদি আমি আমার ভোটাধিকার ও প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে পাই তাতে মন্দ কিসের !''
শাহীন হাসান ও এয়াকুব আলী প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পদত্যাগের পক্ষে মত দিয়েছেন৷
বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের উপায় হাবীব শেখ জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন করে নির্বাচন দিলে বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব৷''
আমাদের পুরনো বন্ধু সুহৃদ ব্যানার্জি জানিয়েছেন তাঁর মত এভাবে, ‘‘এই মৃত্যুর মিছিল বাংলাদেশে জনগণের কল্যাণের জন্য দুই নেত্রীকে এক সমান্তরাল পথে আসতে হবে৷ পৃথিবীর ইতিহাস দেখেছি, দুই নারী কখনো এক হতে পারেনা, কিন্তু এটা রাজনীতির ব্যাপার৷ বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য দুই নারী রাজনীতিতে দণ্ডায়মান৷''
জাফর খান মনে করেন, সন সমস্যার সমাধান হলো সংলাপ, অন্যথায় দুই নারীকে রাজনীতিবিদদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া৷
জুয়েল সাদিক, রিয়াজ উদ্দিন, শরীফ ইমামেরও মত দুই নারীকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়া হোক৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন