1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেন্সরশিপের কবলে মিয়ানমারের ব্যঙ্গাত্মক কবিতা

১৫ এপ্রিল ২০১৯

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহরের উপকণ্ঠে এক ক্লাসরুমে চশমাপরা এক শিক্ষার্থী ডজনখানেক সহপাঠীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা ‘‘সেন্সরশিপ লজ্জার'' এবং ‘‘আমরা সেন্সরশিপে বিশ্বাস করিনা'' বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন৷ এক অনুষ্ঠানের মহড়া এটি৷

https://p.dw.com/p/3GnId
Myanmar Aung San Suu Kyi
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Khin Maung Win

মিয়ানমারের কয়েকশত বছরের পুরনো প্রথা, যা শাসকদের বিদ্রুপ করতে ব্যবহার করা হতো, থাংগিয়াট বা বার্মী ভাষায় থ্যান্চা'র মহড়া দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা৷ দেশটিতে নতুন বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানে দলগতভাবে থ্যান্চা পরিবেশন করাই তাদের উদ্দেশ্য৷

থ্যান্চায় সাধারণত ঢোলের তালে তাল মিলিয়ে নাচ ও  ব্যঙ্গাত্মক কবিতা আবৃত্তি করা হয়৷ চলতি বছর এই আয়োজন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কেননা, দেশটির গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার থ্যান্চার কবিতা এক সেন্সর প্যানেলে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে৷

বিশ বছর বয়সি শিক্ষার্থী থ্যান্ট জিন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা জনগণের বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে থ্যান্চা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম৷''

‘‘তারা কেন দেশের জনগণ, শিক্ষার্থীদের কথা শোনার সাহস পাচ্ছে না?'' প্রশ্ন করেন দলের আরেক সদস্য ২৩ বছর বয়সি অং মিন থ্যু৷

থ্যান্চা নিয়ন্ত্রণের এই চেষ্টার বিরোধিতা করে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরব হয়েছেন৷ তাঁদের মতে, মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সূ চি'র সরকারের আমলে বাকস্বাধীনতা সীমাবদ্ধ পর্যায়ে রয়েছে৷ আগামী বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে৷

সূ চি'র ক্ষমতাসীন দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি'র এক মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, থ্যান্চার উপর এই কড়াকড়ি সাময়িক, কেননা, মিয়ানমার গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হচ্ছে৷ ড. মিয়ো নিউন্ট বলেন, ‘‘আমাদের দেশ এখনো গণতন্ত্র অর্জন করেনি৷ আমরা উদ্বিগ্ন যে থ্যান্চাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটতে পারে৷ তাই কর্তৃপক্ষ সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে৷''

উল্লেখ্য, সামরিক জান্তা  মিয়ানমারকে কয়েক দশক শাসন করেছে৷ তখন থ্যান্চা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল৷ পরবর্তীতে ২০১৩ সালে দেশটিতে আধাবেসামরিক শাসন শুরু হলে থ্যান্চা চর্চা ফিরে আসে৷ তবে চলতি বছর নববর্ষ শুরুর আগে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে এই চর্চায় সরকারবিরোধী কোনো কিছু না বলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স)