1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীর্ষ নেতার চীন সফর

৮ জানুয়ারি ২০১৯

মঙ্গলবার এক অঘোষিত সফরে চীনে পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন৷ ওয়াশিংটন ও সৌলের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবেই তিনি এই সফর করছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3BAmH
গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন
ছবি: picture-alliance

গত বছর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হলেও এখনো পর্যন্ত তার কোনো সুফল পাওয়া যায়নি৷ নতুন করে কোনো পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করলেও উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে অগ্রসর হয়নি৷ দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মতান্তর দূর হয়নি৷ এমন প্রেক্ষাপটে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত বছরও ওয়াশিংটন ও সৌলের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগের আগে কিম বেইজিং সফর করেন৷

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম সোমবার রাতেই এই সফরের আঁচ পেয়েছিল৷ তারা জানিয়েছিল, একটি বিশেষ ট্রেন উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে চীনে প্রবেশ করেছে৷ সম্ভবত ৩৫তম জন্মদিনেই কিম পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রধান পরমাণু মধ্যস্থতাকারীকে সঙ্গে নিয়ে চীন সফর শুরু করেন৷

গত বছর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হলেও উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি৷ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ রয়েছেন, গত সপ্তাহে নববর্ষের ভাষণে তার আঁচ পাওয়া গেছে৷ তাতে কিম পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেও অ্যামেরিকা ‘নিষেধাজ্ঞা আঁকড়ে' থাকলে তিনি ‘নতুন পথ' নিতে পারেন বলে সতর্ক করে দেন৷

তবে শান্তির আশা এখনো ছাড়ছেন না কিম জং উন৷ প্রথমে চীন, তারপর দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর চাপ বাড়াতে চান বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক৷ বিশেষ করে চীন ও অ্যামেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ উত্তর কোরিয়ার কার্যত একমাত্র বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে সে দেশের উপর চীনের বিশেষ প্রভাব রয়েছে৷ ওয়াশিংটন তার কড়া অবস্থানে অটল থাকলে কিমের উপর ট্রাম্পের প্রভাব কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এমন অবস্থায় বিভিন্ন বিষয়ে কোণঠাসা মার্কিন প্রেসিডেন্টও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে বড় সাফল্যের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারবেন না৷ আলোচনায় অগ্রগতি হলে ট্রাম্প এমনকি কিমকে হোয়াইট হাউসেও আমন্ত্রণের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ আপাতত ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় তাঁদের দ্বিতীয় বৈঠকের স্থান হতে পারে বলে জল্পনাকল্পনা চলছে৷

প্রায় ৬ বছর ধরে চীনের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ রাখার পর উত্তর কোরিয়ার নেতা গত বছর বেইজিং সফর করেন৷ সেটাই ছিল ক্ষমতায় আসার পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফর৷ তারপর দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অনেক বাড়লেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এখনো পিয়ং ইয়ং সফর করেননি৷ তবে এই সময়কালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তিনটি বৈঠক হয়েছে৷ নিজের প্রশাসনের স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে চীনের গ্যারেন্টি কিম জং উন-এর জন্য অত্যন্ত জরুরি৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)