1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরিয়ান তদন্তে 'ইচ্ছাকৃত' ফাঁক!

৩০ মে ২০২২

শাহরুখ পুত্রকে 'ফাঁসানো'র জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। সমস্যায় পড়তে পারে এনসিবি।

https://p.dw.com/p/4C1cB
আরিয়ান খান
ছবি: Rajanish Kakade/AP/picture alliance

গত শুক্রবার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মাদক-মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে মুম্বইয়ের আদালত। আদালত জানিয়েছে, আরিয়ানের কাছে মাদক ছিল, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। বস্তুত, মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে তাতে আরিয়ানের নাম ছিল না।

মাসআটেক আগে মুম্বইয়ের একটি প্রমোদতরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরিয়ানকে। সব মিলিয়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এনসিবি-র অভিযোগ ছিল সকলের কাছ থেকেই মাদক মিলেছে। যদিও আদালতে আরিয়ান এবং তার আইনজীবী জানান, তাদের কাছে মাদক ছিল না। এরপর এনসিবি কিছু হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখিয়ে দাবি করে, শাহরুখপুত্র মাদক নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু আদালত সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দেয়।

সে সময় আরিয়ানকে তিন সপ্তাহ হাজতবাস করতে হয়। বিভিন্ন মহল থেকে তখনই অভিযোগ উঠেছিল, ফাঁসানোর জন্যই আরিয়ানের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে। পরবর্তীকালে এনসিবি-র দলও বদলে দেয়া হয়। গঠিত হয় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। সম্প্রতি সেই সিট জানিয়েছে, তদন্তে অনেক ফাঁক ছিল। যা থেকে মনে হতেই পারে শাহরুখ পুত্রকে ফাঁসানোর জন্যই ওই ফাঁকগুলি তৈরি হয়েছিল।

সিট জানিয়েছে, তদন্তের প্রথম গাফিলতি হলো, আরিয়ানের কোনো শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। মাদক সেবন এবং মাদক রাখার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তাদের শারীরিক পরীক্ষা হবে না কেন? পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ত তারা মাদক নিয়েছে কি না। শুধু তা-ই নয়, প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর সময় এনসিবি কোনো ভিডিও রেকর্ডিং করেনি। এত হাইপ্রোফাইলে মামলায় কেন ভিডিও রেকর্ডিং হলো না, সে প্রশ্নও উঠেছে।

বস্তুত, চার্জশিট পেশ হওয়ার পরেই এনসিবি-র সাবেক কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার নেতৃত্বেই ওই দিন অভিযান হয়েছিল।

শাহরুখ পুত্র গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ ফাঁসানোর তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন। রাজনৈতিক মহলেও এনিয়ে বিপুল জলঘোলা হয়েছিল। শাহরুখপুত্র বেকসুর মুক্তি পাওয়ার পরেও বিতর্ক চলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)