1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেট সমস্যায় কাশ্মীরে অসুবিধায় ছাত্রছাত্রীরা

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইন্টারনেট পরিষেবা এতই মন্থর যে পড়াশোনাই করতে পারছেন না কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীরা। সরকার অবশ্য মানতে নারাজ। 

https://p.dw.com/p/3j5PO
ছবি: AFP/T. Mustafa

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ স্কুল-কলেজে তালা ঝুলিয়েছে। দীর্ঘ লকডাউনের পর নতুন করে তা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনই সব স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাস করছে। কিন্তু কাশ্মীর? কী অবস্থা সেখানকার শিক্ষার্থীদের? গোটা জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকায় মাত্র দুইটি জেলায় ফোর জি ইন্টারনেট কানেকশন আছে। অন্যত্র দীর্ঘদিন ইন্টারনেট ছিল না। এখন এলেও তা টু জি স্পিড। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, টু জি স্পিডের ইন্টারনেটে ঘরে বসে পড়াশোনা করা, ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু সরকার তা মানতে চাইছে না।

সম্প্রতি সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, টু জি ইন্টারনেট ই-লার্নিং বা ইন্টারেনটে পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টু জি ইন্টারনেটে একটি বই ডাউনলোড হতেই বহু সময় লেগে যায়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস বা ওই ধরনের বিষয় তো অনেক দূরের কথা। কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, গত এক বছর তাঁদের পড়াশোনার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই চেষ্টা করছেন কাশ্মীর ছেড়ে দেশের অন্য কোনও রাজ্যে বা বিদেশে গিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে।

২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে উপত্যকা থেকে বিশেষ আইন তুলে দেওয়ার পরে এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার পরে দীর্ঘ লকডাউন শুরু হয় সেখানে। তখনও করোনার প্রকোপ শুরু হয়নি। গোটা বিশ্বে সব চেয়ে বেশিদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল সেখানে। বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, গত এক বছরে কার্যত তাঁরা পড়াশোনাই করতে পারেননি। করোনা কালে দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে শুরু হয় ইন্টারনেটে ক্লাস। কিন্তু কাশ্মীরের মাত্র দুইটি জেলায় ফোর জি ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়। বাকি এলাকায় এখনও টু জি।

সরকারের বক্তব্য, নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্বের কারণেই সেখানে টু জি ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে। যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বাড়তে না পারে। গণ্ডগোল তাতে বন্ধ হয়নি। গোলাগুলিও বন্ধ হয়নি। কিন্তু মাঝখান থেকে সমস্যায় পড়ছেন ছাত্রছাত্রীরা। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, ইন্টারনেট স্লো হওয়ায় হাসপাতালগুলিতেও কাজে সমস্যা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মেশিনগুলি ঠিক মতো আপডেট নিতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য দাবি করেছে, ফিক্সড লাইনে ফাস্ট ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু মোবাইলে টু জির বেশি দেওয়া হচ্ছে না নিরাপত্তার কারণে। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের বক্তব্য, সরকার যাই বলুক, বাস্তবে ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বলেছিল, ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। সরকার তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করতে পারে না। সরকারের বক্তব্য, তারা বঞ্চিত করছে না। টু জি ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, যে ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে, তাতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করা অসম্ভব।

এসজি/জিএইচ (লোকসভা টিভি, পিটিআই)