1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি হেজবোল্লাহকে নিষিদ্ধ করায় ক্ষুব্ধ ইরান

১ মে ২০২০

লেবাননের হেজবোল্লাহ গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করায় জার্মানির তীব্র সমালোচনা করেছে ইরান৷ তেহরানের মতে, আইএস-এর মতো ‘আসল' সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে এর ফল ভোগ করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/3betM
ছবি: Reuters/H. Hanschke

জার্মানিতে হেজবোল্লাহর কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে এই গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দেবার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে ইরান৷ এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের স্বার্থসিদ্ধি করছে বলে শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে৷ জার্মানিকে এই সিদ্ধান্তের পরিণাম ভোগ করতে হবে বলে ইরান হুমকি দিয়েছে৷ বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ায় আসল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সংগ্রামে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে ইরান৷

উল্লেখ্য, অ্যামেরিকা ও ইসরায়েল বেশ কিছুকাল ধরে জার্মানির কাছে এই পদক্ষেপ দাবি করছিল৷ দুই দেশই জার্মানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে এবং শুধু ইসরায়েলের জায়নিস্ট প্রচারণা যন্ত্র ও অ্যামেরিকার বিভ্রান্ত প্রশাসনের লক্ষ্যকে গুরুত্ব দিয়ে ইউরোপের কিছু দেশ নিজস্ব অবস্থান স্থির করছে বলে মনে হচ্ছে৷’’ জার্মানির সরকার হেজবোল্লাহর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী পদ্ধতিতে সশস্ত্র সংগ্রামে মদত' দেবার যে অভিযোগ এনেছে, মুসাভি সেই অবস্থানেরও সমালোচনা করেন৷ তিনি বলেন, এই গোষ্ঠী লেবাননের সরকার ও সংসদের ‘আনুষ্ঠানিক ও আইনসঙ্গত’ সদস্য এবং ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’ রক্ষা করার অন্যতম শক্তি৷ তাই এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লেবানন রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি চরম অসম্মান দেখানো হয়েছে বলে ইরান দাবি করছে৷ ইরান মনে রিয়ে দিয়েছে, যে, তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট’-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে হেজবোল্লাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷

বৃহস্পতিবার জার্মানির পুলিশ সারা দেশে হেজবোল্লাহর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মসজিদ ও সমিতি ভবনে তল্লাশি চালিয়েছে৷ জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো সমাবেশ, প্রকাশনা এবং সংবাদ মাধ্যমে হেজবোল্লাহর প্রতীক আর দেখানো যাবে না৷ এই গোষ্ঠীর বিষয়সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে৷

ইউরোপে হেজবোল্লাহ গোষ্ঠী সম্পর্কে এখনো কোনো সাধারণ নীতি গ্রহণ করা হয়নি৷ এই গোষ্ঠীর সামরিক শাখাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তালিকায় স্থান দিয়েছে বটে, তবে হেজবোল্লাহর রাজনৈতিক শাখা সম্পর্কে কোনো একক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ ইইউ ত্যাগ করার আগে গত বছর ব্রিটেন হেজবোল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় স্থান দেয়৷ নেদারল্যান্ডসও এই গোষ্ঠীর সব কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করেছে৷  

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য