1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্যবেক্ষক মিশনের মেয়াদ বাড়াবে না ইসরায়েল

২৯ জানুয়ারি ২০১৯

বেসামরিক এই পর্যবেক্ষক মিশন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী৷ তবে মিশনের মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‘উত্তেজনাকর পরিস্থিতি' সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা৷

https://p.dw.com/p/3CMdc
Alltagsszenen in Hebron
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Al Hashlamoun

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার জানিয়েছেন, টেম্পোরারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেজেন্স ইন হেব্রন- টিআইপিএইচকে আর নতুন করে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া হবে না৷ সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করে, এমন কোনো আন্তর্জাতিক শক্তির উপস্থিতি আমরা মেনে নেবো না৷''

এই বিষয়ে নেতানিয়াহু অবশ্য আর বিস্তারিত কিছু বলেননি৷ ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, মেয়াদ না বাড়ানো হলে টিআইপিএইচ-এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে বৃহষ্পতিবার৷ গত মাসে ইসরায়েলের পত্রিকা হারেৎস জানায়, টিআইপিএইচ-এর একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল হেব্রনে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে'৷

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে এই মিশনে থাকার জন্য চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল অথরিটি'র প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলছেন, নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্ত ‘অঞ্চলটিতে একটি উত্তেজনাকর ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি' সৃষ্টি করেছে৷

‘নিরাপত্তার বার্তা'

১৯৯৪ সালে মার্কিন বংশোদ্ভূত এক ইসরায়েলি নাগরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করে৷ সেই নাগরিক উগ্র জাতীয়তাবাদী একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন৷

ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান এমন আরো ভয়াবহ সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় টিআইপিএইচ৷ এর লক্ষ্য ছিল  ‘‘হেব্রন শহরে স্বাভাবিক জীবনযাপনেরপ্রক্রিয়া তদারকি ও এর ওপর প্রতিবেদন দেয়া এবং এর মাধ্যমে বাসিন্দাদের মনে একটি নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করা''৷

কিন্তু গত এক দশক ধরেই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মিশনটির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে আসছেন৷ নিরস্ত্র এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এই মিশনে ৬৪ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন৷ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ছাড়া ইটালি, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কও এই মিশনের সদস্য৷

হেব্রন শহরে ছয়শ' ইসরায়েলি সেটেলার কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে বাস করেন৷ অন্যদিকে শহরটিতে বাস করেন প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান