1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে শরণার্থী ফেরাবে ইরাক

১৬ নভেম্বর ২০২১

পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে আটকে হাজার হাজার শরণার্থী। তাদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত ইরাকের। দুবাই-মিনস্ক বিমান বন্ধ করল বিমানসংস্থা।

https://p.dw.com/p/432xu
পোল্যান্ড
ছবি: Leonid Shcheglov/BelTA/AP/picture alliance

পোল্যান্ড এবং বেলারুশ সীমান্তে কার্যত প্রাণের সঙ্গে লড়াই করছেন হাজার হাজার শরণার্থী। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে কোনোরকমে শেল্টার তৈরি করে আছেন তারা। খাবার নেই, জলের সংকট। কীভাবে তাদের সামান্য সুবিধা দেওয়া যায়, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে শরণার্থীরা দেশে ফিরে যেতে চাইবেন, ইরাকের প্রশসান তাদের ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

বস্তুত,বেলারুশসীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন যে শরণার্থীরা, তাদের অধিকাংশই ইরাকের মানুষ। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ কুর্দ। এছাড়াও সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের মানুষও আছেন। ইরাকের বক্তব্য, সব শরণার্থী ফিরে যেতে চান না। যারা চান, ইরাক তাদের ফেরানোর সমস্ত ব্যবস্থা করে দেবে। দ্রুত বেলারুশে বিমান পাঠিয়ে শরণার্থীদের ফেরানোর ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

শরণার্থীরা আদৌ ফিরতে চান কি না, সে প্রশ্ন অবশ্য বার বার সামনে আসছে। বস্তুত, সীমান্তের এই অবস্থা হওয়ার পরেও হাজার হাজার শরণার্থী সীমান্তে এসে পৌঁছচ্ছেন। পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছেন তারা।

এই পরিস্থিতিতে বেলারুশের জাতীয় বিমান সংস্থা জানিয়েছে, দুবাই থেকে মিনস্কগামী বিমানে ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের উঠতে দেওয়া হবে না। পরে সেই তালিকায় আফগানদের নামও যুক্ত করা হয়। ইরাকের জাতীয় বিমান সংস্থাও জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত বাগদাদ থেকে মিনস্কে কোনো বিমান যাবে না। তবে মিনস্ক থেকে বাগদাদে বিমান আসবে। সেখানে শরণার্থীরা চাইলে উঠে পড়তে পারেন। বিমানের সময়ও বলে দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনের সূত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছে, বেলারুশের প্রশাসনও শরণার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। তবে হাজার হাজার শরণার্থী এখনো দেশে ফিরতে চান না।

এদিকে পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপের একাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে বেলারুশের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেলারুশকে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। তবে কোন কোন বিষয়ে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)