1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাসমান হাসপাতালে সৌরবিদ্যুতের স্বস্তি

৪ নভেম্বর ২০১৭

২০০৫ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চালু হয় ভাসমান স্বাস্থ্যসেবা৷ সম্প্রতি এতে যোগ হয়েছে সৌরবিদ্যুতের স্বস্তি৷

https://p.dw.com/p/2mxWI
Indien Klinik-Boot in Assam
ছবি: Thomson Reuters Foundation/A. Nagaraj

উত্তরপূর্ব ভারতের আসামের ভেতর বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ের প্রায় আড়াই হাজার দ্বীপাঞ্চলের বেশিরভাগ অধিবাসীই দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে৷ উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত এসব দ্বীপাঞ্চলে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের বাস৷ স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থা চরমে ওঠে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে যখন সেখানকার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়৷ ২০১৫ সালে ভাসমান ক্লিনিক চালু হওয়ার পর এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় স্বাস্থ্যসেবা৷

আসামের১৩ জেলার ৩২টি গ্রামে কাজ করে ১৫টি ভাসমান ক্লিনিক৷ ৩ লাখেরও বেশি মানুষ সরাসরি এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সেবা পেয়ে থাকে৷ ভারত সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ও সেন্টার ফর নর্থ ইস্ট স্টাডিজ অ্যান্ড পলিসি রিসার্চের উদ্যোগে স্থাপিত হয় এসব ক্লিনিক৷

ভাসমান হাসপাতালে সৌরবিদ্যুতের স্বস্তি
ভাসমান হাসপাতালে সৌরবিদ্যুতের স্বস্তিছবি: Thomson Reuters Foundation/A. Nagaraj

তবে বিদ্যুতের অপার্যপ্ততা এসব ক্লিনিকের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে৷ জেনারেটরের উপর নির্ভর করতে হওয়ায় সন্ধ্যা নামার পরেই বেশিরভাগ সময় বন্ধ রাখতে হতো অস্ত্রোপচারের মতো জরুরি সেবাও৷ তবে এ বছরের মে মাস থেকে পাঁচটি ক্লিনিকে দেয়া হয়েছে সোলার প্যানেল৷ ফলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু করায় রোগীদের সেবা দেয়া এখন হয়ে উঠেছে আরো সহজ৷

সোলার প্যানেল লাগানোর ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার যেমন নিশ্চিন্তে করা যাচ্ছে, তেমনি জেনারেটরের বিকট শব্দ আর ধোঁয়া থেকেও মিলেছে মুক্তি৷ নার্স জুলি ফুকান বলেন, আগে বরফ ঢাকা প্যাকে করে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হতো বলে অনেক সময় ওগুলো নষ্ট হয়ে যেতো, এখন নৌকাতেই রাখা হয়েছে রেফ্রিজারেটর যেখানে অনায়াসেই সংরক্ষণ করা যায় ভ্যাকসিন৷ ল্যাবরেটরিতে রোগ পরীক্ষাও হয়েছে সহজ৷

নাটোরে শিশুদের শিক্ষা দিচ্ছে ভাসমান স্কুল

এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার সেলকো ফাউন্ডেশনের বিবেক শাস্ত্রি বলেন, চিকিৎসার অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন৷ যেমন, বেবি ওয়ার্মাস, ডেন্টাল চেয়ার, এক্স-রে মেশিন- এসবের জন্য প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন৷ সৌর বিদ্যুৎ থাকলে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাওয়া সহজ হয়৷

সি-নেস ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ভাসমান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকে৷ প্রতিটি নৌকায় একজন জেলা প্রোগাম অফিসারের অধীনে থাকে  ১৫ জন সদস্য, যার মধ্যে দুজন ডাক্তার,  ৩ জন নার্স ও ১জন ফার্মাসিস্ট৷

সৌর বিদ্যুত ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলার চেষ্টা চলছে৷ বাংলাদেশে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎচালিত ভাসমান স্কুল৷ বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানীর ব্যবস্থা এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা৷

আরএন/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য