1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুশাররফের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল

১৩ জানুয়ারি ২০২০

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করেছে দেশটির উচ্চ আদালত৷ সেই সঙ্গে বিশেষ আদালতের দেয়া পূর্বের রায়কেও অসাংবিধানিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3W8d1
Pakistan Ex-Präsident Pervez Musharraf
ছবি: picture-alliance/dpa

গত মাসে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল দেশটির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল৷ এই রায় অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করে তা বাতিল করে দিয়েছে উচ্চ আদালত৷ সোমবার লাহোরের উচ্চ আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়৷

‘‘অভিযোগ দায়ের, কোর্টের সংবিধান, এবং তদন্ত দলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সমস্তই অবৈধ৷ এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রায়কে খারিজ করে দেয়া হয়েছে,'' বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের প্রসিকিউটর ইশতিয়াক এ খান৷ তবে তদন্তকারীরা ফেডারেল কেবিনেটের অনুমোদন সাপেক্ষে মুশাররফের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন৷

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মুশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল দেশটির বিশেষ আদালত৷ ২০০৭ সালের নভেম্বরে অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছিল৷ তার বিরুদ্ধে দেয়া ১৬৭ পাতার ওই রায়ের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশের পর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়৷ কারণ, রায়ের এক অংশে অভিনব এক আদেশ দেয়া হয়েছে৷ বলা হয়, যদি মুশাররফকে জীবিত ধরা সম্ভব না হয় বা সাজা কার্যকরের আগেই তার মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে ‘‘মৃতদেহ রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চক-এ নিয়ে গিয়ে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখা (উচিত) হবে৷'' দেশটির পার্লামেন্টের বাইরেই ডি-চক এলাকা৷

সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা পোশোয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ‘মানসিকভাবে অক্ষম'
ঘোষণা করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার আবেদন করবেন৷ পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীও এ রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷ সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ‘‘এই রায় সব ধরনের মানবতা, ধর্ম এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি৷''

মুশাররফ নিজেও দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে এই রায় ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে' দেয়া হয়েছে৷

এফএস/কেএম (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য