1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাবি শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের রায়

১৫ এপ্রিল ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল৷ তবে নিহতের সন্তান মনে করেন, তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি৷

https://p.dw.com/p/3Gm5u
Proteste gegen Wahl in Bangladesh
ছবি: Reuters/Andrew Biraj

সোমবার বাকি আট আসামিকে খালাস দিয়ে  রায় ঘোষণা করেন বিচারক অনুপ কুমার৷

দণ্ডিতরা হলেন রাজশাহীর কাটাখালি পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম মানিক, আবদুস সামাদ পিন্টু ও সবুজ শেখ৷ এর মধ্যে সবুজ শেখ পলাতক, অন্য দু'জন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷

পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার পর ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দিকেই ছিল সন্দেহের তির৷

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপককে ক্যাম্পাসের পাশে চৌদ্দপাই এলাকায় বাড়ির সামনে হত্যা করা হয়৷ হত্যাকাণ্ডের পর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছিল৷ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের তদন্তও সেদিকে এগোচ্ছিল৷ পরে র‌্যাবের মাধ্যমে তদন্তের মোড় ঘুরে যায়৷

র‌্যাব ওই বছরই যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর দাবি করে, বিভাগের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক' আচরণের প্রতিশোধ নিতে শফিউলকে হত্যা করা হয়৷ দণ্ডিত পিন্টু ঐ নারীর স্বামী৷ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি৷

মানিক রাজশাহীর কাটাখালি এলাকার চোরাচালান, বালুমহাল ও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণে বিএনপি নেতাদের ভাড়াটিয়া হিসাবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ পিন্টুর সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় যুক্ত হন তিনি৷

র‌্যাব জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর অধ্যাপক শফিউল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হলে পিন্টু তাকে অনুসরণ করেন এবং মোবাইল ফোনে তার গতিবিধি অন্যদের জানান৷ সেদিন মোটর সাইকেলে এক সহকর্মীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েছিলেন শফিউল৷ ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুরে সহকর্মীকে নামিয়ে দিয়ে চৌদ্দপাই এলাকায় বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি৷ মহাসড়ক থেকে ২০০ গজ দূরে বাড়িতে যেতে কাঁচা রাস্তায় নামার পর তিনি হামলার মুখে পড়েন৷ শফিউলের ছেলে জঙ্গিদের দায়ী করলেও র‌্যাবের বক্তব্যের পর তাদের দেখানো পথেই এগোয় পুলিশের তদন্ত৷

শফিউলের ছেলের বক্তব্য

 শফিউল ইসলামের  ছেলে সৌমিন শাহরিদ অবশ্য দাবি করেছেন, হত্যা মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি৷ তিনি মনে করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল৷ তিনি বলেছেন, সেসময় এসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে তাকে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছিল প্রশাসন৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা ঘটনাটি ঠিকমতো আমলেই নেয়নি এবং যারা এই ঘটনায় আসলে দায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে৷'' সৌমিনের দাবি, র‌্যাব এই মামলায় যুক্ত হয়ে মামলাটিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করেছে৷

২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন৷ অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, পিন্টুর স্ত্রী রেশমার নামও ছিল৷ তখন আটক হওয়ার পর রেশমা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিলেন৷ তবে রায়ে তিনি খালাস পেয়েছেন৷

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রারের করা এই মামলায় গত ১৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিল৷ এ মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত৷ যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় দিলো৷

এপিবি/এসিবি (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য