1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবেগ-অনুভূতি দিয়ে মোড়া এফসি বার্সোলোনা

১৭ মার্চ ২০২১

ফুটবল, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলকে ঘিরে আবেগ কম নেই৷ এফসি বার্সেলোনার ক্ষেত্রে বিষয়টি আত্মপরিচয় এবং কাটালান সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ সদস্যরাই সেই ক্লাবের মালিক৷

https://p.dw.com/p/3qjIo
বার্সেলোনা স্টেডিয়াম
ছবি: Xavier Bonilla/NurPhoto/picture alliance

১৯৫৭ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই ‘কাম নৌ’ বা নতুন মাঠ বার্সেলোনা শহরের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে৷ স্পেনের উত্তর পূর্বে ক্যাটালোনিয়া প্রদেশের রাজধানী সংস্কৃতি ও আকর্ষণীয় জীবনযাত্রার পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এফসি বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের কারণেও পরিচিত৷ ক্লাবের সদস্য ও অনুরাগীরা এই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন৷

মোট ৯৯ হাজার ৩৪৪টি আসনের কারণে ‘কাম নৌ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম৷ বিশেষ করে এফসি বার্সেলোনা ও তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ রেয়াল মাদ্রিদের মধ্যে ‘এল ক্লাসিকো’ ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামের পরিবেশ অনবদ্য হয়ে ওঠে৷ সে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা!

অ্যার্নেস্ট পুখাদা এই স্টেডিয়ামে এফসি বার্সেলোনার প্রায় কোনো ম্যাচই দেখতে ভোলেন না৷ তিনি আজন্ম এই ক্লাবেরই ফ্যান৷ নিজের আবেগ-অনুভূতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অ্যার্নেস্ট বলেন, ‘‘আমার কাছে কাম নৌ-এর মতো কোনো স্টেডিয়াম হয় না৷ শিশু বয়সে বাবা-মার সঙ্গে এখানে আসার স্মৃতি ভোলার নয়৷ আমার কাছে এটা অসাধারণ এক অনুভূতি৷ কাম নৌ আমার কাছে দ্বিতীয় বাসার মতো৷’’

স্টেডিয়াম ভবনে বার্সা মিউজিয়ামে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসের যাবতীয় সাফল্য তুলে ধরা হয়৷ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আনার কৃতিত্বের পাশাপাশি স্পেনের সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব হিসেবে বার্সার ঝুলিতে জয়, সম্মান ও সাফল্যের অভাব নেই৷ মিউজিয়ামের প্রধান জর্ডি পেনাসের মতে, বার্সা আসলে ফুটবল ক্লাব হিসেবে কখনোই সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে, সব খেলোয়াড় আসলে বোঝেন যে মাসের শেষে বেতন পাওয়াই সবকিছু নয়৷ এই শহরে খেলা ও বাস করার মজাই আলাদা৷ কারণ এখানে সত্যি ফুটবল খেলার সুযোগ আছে, খেলাকে কাজ হিসেবে দেখা হয় না৷’’

অন্যান্য অনেক ফুটবল ক্লাবের মতো এফসি বার্সেলোনার মালিকানা বড় বড় বিনিয়োগকারীর হাতে নেই৷ সদস্যরাই ক্লাবের মালিক৷ কাটালুনিয়ার অনেক মানুষ এই ক্লাব ও স্টেডিয়ামটিকে আত্মপরিচয়ের অভিন্ন অংশ হিসেবে দেখেন৷ অদূর ভবিষ্যতেই স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হবে৷ এ প্রসঙ্গে জর্ডি পেনাস বলেন, ‘‘কাম নৌ বাদ দিয়ে এফসি বার্সেলোনা ভাবাই যায় না৷ সেটা চলবে না৷ আমরা যখন স্টেডিয়াম নবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন কিছু লোক শহরের বাইরে আরও বড় ও উন্নত নতুন স্টেডিয়াম গড়ার পরামর্শ দিয়েছিল৷ কিন্তু সেটা সম্ভব নয়, এটা আমাদের ডিএনএ, আমাদের ব্যক্তিত্বের অংশ৷ এটা আমাদের নিজস্ব জায়গা৷ এখানে এলেই মনে হয় বাসায় ফিরলাম৷ নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে আরাম করা যায়৷’’

এফসি বার্সেলোনার ফ্যান হিসেবে অ্যার্নেস্ট পুখাদাও একই রকম অনুভূতি তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অন্য সদস্যদের সঙ্গে এখানে উপস্থিত হলে মনে হয় আমরা যেন একটি দেশের নাগরিক৷ ক্লাবের সদস্য হিসেবে শুধু ম্যাচের সময় টিমকে সমর্থন করলে চলবে না, সদস্য-পরিচালিত ক্লাবের আইডিয়া বা ধারণাকেও সম্মান করতে হবে৷ আমার কাছে এই স্টেডিয়াম সেই আইডিয়ারই প্রতীক৷’’

ফ্যানদের কাছে এফসি বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের থেকে অনেক বড়৷ আর কাম নৌ-ও শুধু একটা স্টেডিয়াম নয়৷

পাট্রিসিয়া শিলাগি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য