1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে ঢোকার চেষ্টায় বাংলাদেশিসহ হাজারো অভিবাসী

৪ মার্চ ২০২০

তুরস্ক সীমান্ত খুলে দেয়ায় গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে হাজার হাজার অভিবাসী৷ গ্রিক সীমান্তরক্ষীরা অবশ্য তাদের বাধা দিচ্ছে৷ ফলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তে৷

https://p.dw.com/p/3YqQJ
Deutschland Tausende demonstrieren vor dem Kanzleramt für Grenzöffnung
ছবি: Imago-Images/J. Große

গ্রিস-তুরস্ক সীমান্ত সংলগ্ন কাস্তানিয়েসে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ এসময় সীমান্তের উভয় দিকেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে সীমান্ত রক্ষীরা৷

প্রসঙ্গত, গতসপ্তাহে সীমান্ত খুলে দিয়ে দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার হুমকি দেয় তুরস্ক৷ দেশটির প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ানের এই ঘোষণার পর গ্রিস-তুরস্ক সীমান্তে জড়ো হতে থাকে ইউরোপে প্রবেশে আগ্রহী হাজার হাজার অভিবাসী৷ পাশাপাশি নৌকায় করে গ্রিক দ্বীপ লেসবস পৌঁছাতেও চেষ্টা চালায় কয়েকশত অভিবাসন প্রত্যাশী৷

তবে, গ্রিক সীমান্তরক্ষীরা অভিবাসীদের ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা গেছে গ্রিক সীমান্তরক্ষীরা অভিবাসীদের নৌকা ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে৷ এতে এক শিশু ডুবে মরার ঘটনাও ঘটেছে৷

অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে একটি বড় অংশ আফগানিস্তানের বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ এছাড়া বাংলাদেশ, ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার মানুষও রয়েছেন৷

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে কয়েকহাজার মানুষ বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে গ্রিস-তুরস্ক সীমান্তে অবস্থানরত অভিবাসীদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে, জার্মান সরকার সেই আহ্বানে এখনো সাড়া দেয়নি৷ বরং জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরবি ভাষায় এক টুইটে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন৷

তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে গ্রিসকে সাহায্য করবো ৷ তুরস্ক থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত খুলে দেয়া হবে না৷ জার্মান সীমান্তের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য৷''

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েকজন তুর্কি সেনা নিহতের পর সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয় তুরস্ক৷ দেশটির দাবি, ইদলিবে সেনা অভিযানের কারণে অনেক সিরীয় তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করছে৷ রাশিয়া অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে৷

এআই/জেডএইচ (এপি, ডিপিএ)