1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার সেনেটের তদন্তের মুখে ট্রাম্প

১৭ জানুয়ারি ২০২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেনেটে ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু হলো৷ রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেখানে ট্রাম্পকে আড়াল করার চেষ্টা সত্ত্বেও ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/3WLBl
মার্কিন সেনেটে রিপাবলিকান দলের নেতারা
ছবি: picture-alliance/CNP/AdMedia/S. Reynold

মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের পর এবার উচ্চ কক্ষে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু হলো৷ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ আনুষ্ঠানিকভাবে সব নথিপত্র সেনেটের হাতে তুলে দেবার পর আগামী মঙ্গলবার থেকে এই প্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু হবে৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কিনা, সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা৷ অ্যামেরিকার ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্ত চালানো হচ্ছে৷ সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসকে তদন্তের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে৷

সেনেটে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ট্রাম্পকে যতটা কম আড়াল করার চেষ্টা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ দলের ৫৩ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে এ বিষয়ে এখনো ঐক্য অটুট রয়েছে৷ এমনকি সাক্ষীদের তলব করা হবে কিনা বা নতুন তথ্যপ্রমাণ বিবেচনা করা হবে কিনা, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা আছে৷ ট্রাম্পকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে রিপাবলিকান দলের সংসদ সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ জন কর্নিন নামের এক সেনেট সদস্যের মতে, দেওয়ানি পর্যায়ে আইন ভাঙা হয়ে থাকেলেও এ ক্ষেত্রে কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে নি৷ ফলে কোনোমতেই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার কারণ দেখা যাচ্ছে না৷ কর্নিনের মতে, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র দেশদ্রোহ, ঘুষ ও উচ্চ মাত্রার অপরাধের জন্য প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা যায়৷

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে সরকারের দায়বদ্ধতা দপ্তরের একটি সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী হোয়াইট হাউস আইন ভেঙেছে৷ কংগ্রেসের অনুমোদন সত্ত্বেও ইউক্রেনের জন্য ধার্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহায়তা আটকে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন অন্যায় করেছে বলে রিপোর্টে মূল্যায়ন করা হয়েছে৷  সেনেটে ইমপিচমেন্ট তদন্তের ঠিক আগে এমন বিস্ফোরক রিপোর্ট ট্রাম্পের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে৷ উল্লেখ্য, গত ১৮ই ডিসেম্বর সংসদের নিম্ন কক্ষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছিল৷

ইমপিচমেন্ট তদন্ত চলাকালীন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ্যে এলে রিপাবলিকান সেনেট সদস্যদের পক্ষে বাড়তি চাপ উপেক্ষা করা সম্ভব হবে কিনা, তার উপর তদন্তের ফল অনেকটা নির্ভর করছে৷ সে ক্ষেত্রে দলের ঐক্য অটুট রাখা কঠিন হবে৷ সাক্ষী তলবের প্রশ্নে মতপার্থক্য দেখা দিলেও ট্রাম্প বেকায়দায় পড়তে পারেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)