1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে কঠোর অভিবাসন আইন

১৯ মে ২০১৭

জার্মান সাংসদরা আশ্রয়প্রার্থীদের বহিষ্কার, নজরদারি ও ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহার সংক্রান্ত আইন পাস করেছেন৷ নতুন আইনের বলে কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আরো তাড়াতাড়ি ও নিয়মিতভাবে ফেরত পাঠাতে পারবে৷

https://p.dw.com/p/2dDyZ
Deutschland Stempel Abgeschoben Symbolbild
ছবি: Reuters/M. Dalder

রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তাঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হলে, তাদের শীঘ্র বহিষ্কার করা যাবে অথবা পায়ে ইলেকট্রনিক বেড়ি পরানো হবে, যাতে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা যায়৷

আরেকটি নূতনত্ব হলো এই যে, খারিজ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর নিজের দেশ যদি সময়মতো পাসপোর্ট বা অন্য কাগজপত্র না পাঠাতে পারে, তা সত্ত্বেও তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া যাবে৷ অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে বহিষ্কারের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না৷ পরিবর্তনটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, টিউনিশিয়া সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় বার্লিনের বড়দিনের বাজারে হামলা চালানো আনিস আমরি-কে বহিষ্কারের নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি৷

নতুন আইন অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচ্য ব্যক্তিবর্গকে ১০ দিনের জন্য ধরে রাখতে পারবে৷ আগে সাকুল্যে চার দিন আটকে রাখা যেতো৷ এ সবের উদ্দেশ্য হলো, সম্ভাব্য সন্ত্রাসী আক্রমণ রোধ৷

আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো, এখন থেকে যেসব রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর আইডি সংক্রান্ত সরকারি কাগজপত্র নেই, অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সংক্রান্ত জার্মান ফেডারাল অফিস (‘বাম্ফ’ বা বিএএমএফ) তাদের স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঘেঁটে দেখতে পারবে ও ঐ পন্থায় তাদের পরিচিতি যাচাই করতে পারবে৷

কোনো অভিবাসনপ্রয়াসী  যদি জার্মানিতে ঢোকার সময় ভুয়া পরিচয় দিয়ে থাকে, তাহলে তার গতায়াতের পরিধি সীমিত করা সম্ভব হবে৷ যেসব অভিবাসনপ্রয়াসীর জার্মানিতে বসবাসের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, অথচ তারা স্বেচ্ছায় জার্মানি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করছে, তাদের ক্ষেত্রেও গতায়াতের পরিধি সীমিত করা সম্ভব হবে৷

এমনকি যেসব রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই, জার্মান কর্তৃপক্ষ তাদের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের ‘রিসেপশন সেন্টার’-গুলিতে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন৷

নতুন আইনে শেষ মুহূর্তে আর একটি বিধান যোগ করা হয়৷ ইতিপূর্বে বিধান ছিল যে, যদি কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর জার্মানিতে সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে, তাহলে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হওয়া সত্ত্বেও সে জার্মানিতে থেকে যেতে পারবে৷ এবার এই ছিদ্রটি বন্ধ করা হচ্ছে৷

এসি/এসিবি

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...