1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্যটকদের প্রিয় গ্রিসের করফু

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গ্রিসের করফু দ্বীপ পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় গন্তব্য৷ অপূর্ব নিসর্গের পাশাপাশি মনোরঞ্জনেরও নানা উপকরণ সেখানে পাওয়া যায়৷ প্যাডেলবোর্ডিংয়ের মতো ক্রীড়ার জন্যও অনেকে সেই দ্বীপে যান৷

https://p.dw.com/p/35HLi
ছবি: fotolia

গ্রিসের দ্বীপগুলির মধ্যে আয়তনের বিচারে সপ্তম স্থানে রয়েছে করফু৷ গাছপালা দিয়ে ঢাকা করফুকে সবুজ দ্বীপও বলা হয়৷ করফু শহরের দক্ষিণে কানোনি-তে ‘দ্য রয়েল ক্যাফে’ থেকে ‘ইঁদুর দ্বীপ’ বলে পরিচিত জনবসতিহীন পন্ডিকোনিসি ও ভ্লাচেরনা বা মঠ দ্বীপ সুন্দরভাবে দেখা যায়৷

প্লেনস্পটার, অর্থাৎ শখের বশে যাঁরা বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণ করেন, তাঁদের জন্যও এটা দারুণ জায়গা৷ এখান থেকে তাঁরা সহজেই বিমানবন্দরের রানওয়ের উপর নজর রাখতে পারেন৷ 

আধ ঘণ্টা অন্তর একটি নৌকো কানোনির ছোট্ট বন্দর থেকে মাউস আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়৷ সেখানে একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীর বাইজান্টাইন আমলের চ্যাপেল সত্যি দেখার মতো৷

ইউরোপের রাজপরিবারগুলি বহুকাল আগেই করফু দ্বীপের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল৷ যেমন, অস্ট্রিয়ার সম্রাজ্ঞী এলিজাবেথ ঊনবিংশ শতাব্দীতে সেখানে নিজের গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ তৈরি করিয়েছিলেন৷

যাঁরা খেলাধুলা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই দ্বীপ ও তার দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্রতট স্বর্গরাজ্যের মতো৷ বালিয়াড়িগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত৷ প্রায় অনন্ত চালিকুনাস বিচ প্যাডেলবোর্ডিংয়ের জন্য আদর্শ৷

এখানকার সূর্যাস্ত দেখলে মুগ্ধ হতে হয়৷ জলক্রীড়া প্রশিক্ষক ক্রিস্টিনা কিলিকিডি বলেন, ‘‘সূর্যাস্তের সময় অপূর্ব বর্ণচ্ছটার মধ্যে সমুদ্রের বুকে প্যাডেল করতে দারুণ লাগে৷ সে সময় সমুদ্রও সাধারণত অনেক শান্ত থাকে৷ সমুদ্রতটও খালি থাকে৷ ফলে আরো গভীরভাবে সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়৷

করফু শহরের পুরানো অংশে মোমবাতির আলোয় নৈশভোজ চলছে৷ খাদ্যতালিকায় দ্বীপের নানা ঐতিহ্যগত খাবার রয়েছে৷ সবচেয়ে বিখ্যাত পদ হলো সোফ্রিটো, যা আসলে গরু বা বাছুরের মাংসের স্টু৷ রেস্তোরাঁর রাঁধুনি টেওডোরা কুলুরি বলেন, ‘‘করফুতে এলে অবশ্যই সোফ্রিটো চেখে দেখা উচিত৷ অসাধারণ! এটা আমাদের নিজস্ব পদ, যার স্বাদ অনবদ্য৷’’

টেওডোরা মাভ্রোপুলুস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য