1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায় না ডরে জার্মান তারুণ্য

২৪ আগস্ট ২০২০

মুখে নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দূরত্ব – ঠিক এভাবেই একদল তরুণ গ্রীষ্মের মধ্যরাতে বার্লিনের বারে বসে আনন্দ উল্লাস করে বিয়ার পান করছে৷ তরুণদের কি করোনার ভয় নেই? এরই উত্তর খুঁজতে বার্লিন গিয়েছিলেন ডয়চে ভেলের টোমাস স্পারো৷

https://p.dw.com/p/3hPum
ছবি: DW/T. Sparrow

গ্রীষ্মের গরম আবহাওয়ায় বার্লিনের বারে বাভারিয়ার একদল তরুণ পর্যটক কাঠের বেঞ্চে কাছাকাছি বসে হৈচৈ করছে আর বিয়ার পান করছে৷ ঠিক যেন অন্যান্য বছরের গ্রীষ্মের মতোই এক স্বাভাবিক দৃশ্য৷ করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রামের বারগুলো বন্ধ থাকায় এই তরুণরা আনন্দ করতে চলে এসেছে রাজধানী বার্লিনে৷ করোনা সংক্রমণের ভয় নেই কিনা  জানতে চাওয়া হলে তরুণদের একজন উত্তর দেয়, করোনাকে একদমই ভয় করে না সে৷ সাথে সাথে অন্য বন্ধুরাও সুর মিলিয়ে বলে ‘‘করোনার ভয়ে আমরা ভীত নই, আমরা তরুণ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী৷’’

কিছু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত পার্টি করার কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলায় তরুণদের একজন বলে ওঠে, ওর মতে এটা ‘ভিত্তিহীন’ আরেক বন্ধু লাফিয়ে ওঠে বলে এটা ‘‘শুধুই জল্পনা -কল্পনা৷’’

গত কয়েক মাস যাবত বার্লিনের নাইটক্লাবগুলো বন্ধ ছিল, বার্লিনবাসী এবং পর্যটকরা কিন্তু করোনাকালীন আনন্দের জন্য অন্যান্য পথ ঠিকই খুঁজে বের করেছে৷ বার এবং রেস্তোরাঁগুলোতে প্রায় সবসময়ই মানুষ থাকে বিশেষকরে বাইরে বসার জায়গাগুলোতে৷ তবে বার বা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ খুব ভালো করেই জানে যে মদ্য পান বা পার্টিতে কখনোই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয় এবং পরবর্তীতে তা জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে৷

সাম্প্রতিককালে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে৷ এর কারণ হিসেবে করোনা নিয়ে মানুষের অবহেলাকেই আংশিকভাবে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা৷ জার্মান জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের হিসেবে করোনায় নতুন সংক্রমিতদের গড় বয়স ৩২ আর কয়েকমাসে আগে জার্মানিতে এই হিসেব ছিলো ৫২ বছর৷ আর বার্লিনে সংক্রমিতদের গড় বয়স ৩০ থেকে ৩৯৷

পরিসংখ্যান বলছে বর্তমান সংক্রমিতদের কেউ কেউ ছুটি কাটিয়ে ফেরত এসেছে, কিংবা পার্টি করার পর সংক্রমিত হয়েছে৷ এতে স্পষ্টই বোঝা যায় যে তারা করোনার বিধিনিষেধ মানেনি৷ বার্লিনের মধ্যাঞ্চলের মেয়র স্টেফান ফন ডাসেল বলেন এসব কথা৷

তাছাড়া বায়ার্ন মিউনিখ এবং বার্সেলোনার মধ্যে সাম্প্রতিক চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন সময়ে একটিমাত্র বারেই ফুটবল ফ্যানদের মধ্যে ৮০ জন করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছে৷

টোমাস স্পারো/এনএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য