1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দিচ্ছে বহু এনজিও: এনআইএ

২৯ অক্টোবর ২০২০

একাধিক এনজিও-র দফতরে তল্লাশি চালালো এনআইএ। অভিযোগ, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিচ্ছে ওই সংস্থাগুলি।

https://p.dw.com/p/3ka1R
ছবি: Mukhtar Khan/AP/picture alliance

কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দিচ্ছে দেশের একাধিক এনজিও এবং গোষ্ঠী। এই অভিযোগে বুধবার দিনভর বেঙ্গালুরু এবং জম্মু ও কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযান চালালো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ)। ছাড়া হলো না দিল্লির সাবেক সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধান জাফারুল ইসলাম খানকেও। এনাইএ-র এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির অভিযোগ, বিজেপির পোষা এজেন্সিতে পরিণত হয়েছে এনআইএ। দেশের বিরুদ্ধ স্বরকে দমনের জন্যই তারা এই কাজ করছে।

দীর্ঘ দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ করছে, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে পিছন থেকে সমর্থন দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন এনজিও এবং সংস্থা। শুধু কাশ্মীর নয়, নকশালবাদ নিয়েও একই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে করছে তারা। ভিমা কোরেগাঁও মামলায় এ ভাবেই দেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বার কাশ্মীর প্রসঙ্গ সামনে রেখে একাধিক অধিকাররক্ষা সংস্থা এবং এনজিও-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বুধবার বেঙ্গালুরুতে একটি এবং কাশ্মীরের শ্রীনগরে ১০টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনাইএ। এর মধ্যে ছয়টি এনজিও রয়েছে। তার আগে দিল্লির সাবেক সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধানের বাড়িতেও রেড করা হয়েছে। এনআইএ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে প্রতিটি জায়গা থেকেই বহু কাগজপত্র এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলেই এনআইএ সূত্র জানিয়েছে।

যে সংস্থাগুলিতে এনআইএ রেড চালিয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, জম্মু কাশ্মীর ইয়েতিম ফাউন্ডেশন, জম্মু ও কাশ্মীর ভয়েস অফ ভিকটিম। হারিয়ে যাওয়া কাশ্মীরীদের নিয়ে যে সংগঠনগুলি আন্দোলন করে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের একাংশের মানুষের অভিযোগ, সেনা এবং পুলিশ বিভিন্ন সময় গ্রামে ঢুকে পুরুষদের তুলে নিয়ে যায়। পরে আর তাদের খবর পাওয়া যায় না। এই ধরনের মানুষদেরই হারিয়ে যাওয়া কাশ্মীরী বলা হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা। পরিবারগুলিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কাজও তারা করে। তেমন কিছু সংস্থার অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। এনআইএ জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরো রেড করা হবে।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইট করে তিনি বলেছেন, বিরোধী স্বর থামানোর জন্যই সরকার এ কাজ করছে। এনআইএ বিজেপির পোষ্যে পরিণত হয়েছে। বিজেপির কথা মতো এনআইএ কাজ করছে।

প্রবীণ সাংবাদিক এবং অধিকাররক্ষাকর্মী আশিস গুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজেপি সরকার। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় পুরনো মামলায় ফের তাঁকে ইডি নোটিস দিয়েছে। অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ভাবে বিরোধী স্বর বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।''

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)