1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুনের আগেই সবার জন্য টিকা চায় জার্মানি

২৭ এপ্রিল ২০২১

চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা করোনা টিকাপ্রাপ্তদের জন্য ছাড় এবং সবার জন্য টিকা নেবার সুযোগের বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷ মে মাসেই এই দুটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/3sccz
TABLEAU | Deutschland  | Coronavirus dritte Welle | Berlin, Intensivstation
ছবি: Fabrizio Bensch/REUTERS

করোনা সংকট মোকাবিলায় জার্মানিতে ‘এমারজেন্সি ব্রেক' সম্ভবত ধীরে হলেও সংক্রমণের হার কমাতে শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে৷ মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল প্রায় ১১ হাজার৷ তবে এই হার ধারাবাহিকভাবে না কমলে পরিস্থিতির উন্নতির দাবি করা যাবে না৷ রাতে কারফিউয়ের মতো পদক্ষেপের পাশাপাশি  টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আসায় করোনার প্রসার আরও কমার আশা করা হচ্ছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জুন মাসের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য করোনা টিকা নেবার সুযোগ দিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে মে মাসের শেষেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হতে পারে৷ এই মুহূর্তে একে একে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের টিকা দেওয়া হচ্ছে৷ তবে ম্যার্কেল বলেন, বয়স অথবা অন্যান্য শর্ত তুলে নিলেও সঙ্গে সঙ্গে সব মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না৷ কিন্তু সবাই টিকা নেবার দিনক্ষণ স্থির করতে আবেদন জানাতে পারবেন৷ সরবরাহের উপর নির্ভর করে তাদের টিকা নেবার সুযোগ দেওয়া হবে৷

করোনার টিকার দুটি ডোজ পাওয়া মানুষদের জন্য ধীরে ধীরে কিছু বাধানিষেধ তুলে নেবার দাবির প্রতিও সহানুভূতি দেখিয়েছেন ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতারা৷ সেইসঙ্গে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েও সেরে উঠেছেন৷ তাদের শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি রয়েছে বলে টিকাপ্রাপ্তদের মতো ছাড় দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷ এই গোষ্ঠীকে  দোকানবাজারে অবাধ প্রবেশ থেকে শুরু করে কিছু পরিষেবার সুযোগ দেওয়া হবে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটও এমন প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান জানিয়েছেন, যে মে মাসের শেষের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ ফেডারেল সরকার আগামী সপ্তাহে খসড়া প্রস্তাবমালা প্রস্তুত করার পর ২৮শে মে সংসদের উচ্চ কক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷

করোনা টিকাপ্রাপ্তদের প্রমাণপত্র হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্তরে একটি অ্যাপ তৈরির উদ্যোগের পাশাপাশি জার্মানিতেও নতুন সার্টিফিকেট তৈরির কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত মাত্র ২৩ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন৷ সাত শতাংশের মতো মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে নির্ধারিত প্রতিরোধ শক্তির অধিকারী হয়েছেন৷

বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য অনেক দেশের মতো জার্মানিতে জোরালো তর্কবিতর্ক চলছে৷ সমালোচকদের মতে, করোনা টিকাকে কেন্দ্র করে এমন ‘বৈষম্য' মোটেই ন্যায্য নয়৷ যে সব মানুষ এখনো টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের প্রতি ‘অন্যায়ের' প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা৷ তাছাড়া টিকাপ্রাপ্ত মানুষ অবাধে ঘোরাফেরার অধিকার পেলে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারেন কিনা, তাও এখনো পুরাোপুরি স্পষ্ট নয়৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য