1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ তরুণ প্রতিভা বিকাশে উদীয়মান চলচ্চিত্র কর্মীদের জন্য ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস কর্মসূচি৷ এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ছবি নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন৷

https://p.dw.com/p/145hU
Text:   Regisseur Kamar Ahmad Simon aus Bangladesch Datum: 07.01.2012 Eigentumsrecht: Kamar Ahmad Simon, Dhaka, Bangladesch
ছবি: Kamar Ahmad Simon

বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রায় দশ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস৷ এবছর এ কর্মসূচিতে ৯৯টি দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ' উদীয়মান চলচ্চিত্রকার অংশ নেন৷ অংশগ্রহণকারীদের জমা দেওয়া ছবিগুলোর মধ্য থেকে সেরা বারোটি ছবি বাছাই করা হয় আলোচনা - পর্যালোচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে সেগুলোকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তোলার জন্য৷ সেজন্য বার্লিনালেতে রাখা হয় এডিটিং ল্যাব বা সম্পাদনাগার নামে বিশেষ বিভাগ৷ সেখানে বিশ্লেষক ও সমালোচক হিসেবে হাজির থাকেন বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের প্রখ্যাত পরিচালক, প্রযোজক ও সম্পাদকবৃন্দ৷ এবছরই প্রথমবারের মতো এ ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসের এডিটিং ল্যাবের জন্য বাছাইকৃত নয়টি ছবির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশের কোন ছবি৷ ছবিটির নাম ‘শুনতে কি পাও?' নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন৷

বার্লিনালে চত্বরে কথা হলো পরিচালক সাইমনের সাথে৷ ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘উদীয়মান চলচ্চিত্র কর্মীদের উৎসাহিত করতেই এ ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস৷ মূল আয়োজনের পাশাপাশি এটি চলতে থাকে৷ এখানে উপস্থিত বিশ্বের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কলা-কুশলীদের সাথে আমাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ হয়েছে৷ এছাড়া এডিটিং ল্যাবে আমাদের বাছাই করা ছবিগুলোর নানা দিক নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করার সুযোগ হয়েছে৷''

এডিটিং ল্যাবে'র জন্য মনোনীত নিজের ছবি সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘‘আমার এ ছবিটা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া গ্রামীণ মানুষের প্রতিচ্ছবি৷ ঐ গ্রামের একটি ছোট্ট শিশু ও তার মায়ের প্রায় দু'বছরের যে সংগ্রাম, জমি ফিরে পাওয়ার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের একটি ঘটনা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে৷ ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ‘আইলা' নামে যে জলোচ্ছ্বাসটা হয় সেসময় ঐ অঞ্চলের প্রায় দশ লক্ষ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি, জমি-জমা হারায়৷ তখন থেকে আমি ঐ অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে আন্তর্জাতিক পরিভাষায় একটি সৃজনশীল প্রামাণ্যচিত্রের ধারায় ছবিটি তৈরির চেষ্টা করছি৷''

এছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগত এবং তাঁর বেশ কিছু কাজের কথা তুলে ধরেন কামার আহমাদ সাইমন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ধারায় আমি কাজ করছি না৷ বরং আর্ট হাউস ফিল্ম এর ধারায় আমার ছবিটা পড়ে৷ আমরা আসলে তরুণ যারা আছি তারা চেষ্টা করছি চলচ্চিত্র জগতের একটা নতুন ভাষা তৈরি করতে৷ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জন্য একটি সম্ভাবনা তৈরির স্বপ্ন নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷ আর আমার ছবির কথা বলতে গেলে, এটিই আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি৷ এর আগে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি আমি তৈরি করেছি৷ সেটির নাম ‘স্টোরিজ অফ চেঞ্জ' বা ‘দিন বদলের পালা'৷ ২০০৮ সালে আমি এটির কাজ সম্পন্ন করি৷ এছাড়া আমি তারেক মাসুদের সাথে তাঁর ‘কাগজের ফুল' ছবিটা নির্মাণে প্রধান সহকারী হিসেবে দু'বছর কাজ করেছি৷ এরপরেই আমি বর্তমান ছবিটির কাজ শুরু করি৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য