1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শক্তিশালী টাকা

১০ আগস্ট ২০১২

ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকা আবার তার দাম ফিরে পাচ্ছে৷ আমদানি ব্যয় কমা আর রেমিটেন্স বাড়ার কারণে শক্তিশালী হচ্ছে টাকা৷ তবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে টাকার মান বাড়ার এই প্রবণতা ধরে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/15n84
ছবি: DW

গত অর্থ বছরে আমদানি রপ্তানির ভারসাম্যহীনতার মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকাকে৷ রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ায় টান পড়ে ডলারের রিজার্ভে৷ ফলে ডলারের তুলনায় টাকার অবমূল্যায়ন ঘটতে থাকে৷ দেড় বছর আগে যেখানে ১ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬৯ টাকা, গত ডিসেম্বরে তা ৮৫ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়৷

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি কমাতে নানা উদ্যোগ নেয়৷ গ্রহণ করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি৷ আমদানি ব্যয় কমাতে এলসি খোলার ওপর নানা ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে৷ আর এর ফলে গত অর্থবছরে এলসি খোলার পরিমাণ শতকরা ৪ ভাগেরও বেশি কমে যায়৷ জ্বালানি তেল ছাড়া সবক্ষেত্রে কমে আমদানি ব্যয়৷ প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানো ১০ ভাগ বেড়ে যায়৷ আর রপ্তানি বাড়ে প্রায় ৬ ভাগ৷ আর তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলারে৷ আর এর ফলে গত ৬ মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৫ শতাংশ বেড়েছে৷ এখন ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ৮২ টাকার নীচে৷ যাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাফল্য হিসেবে দেখছেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান৷

তবে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ মনে করেন, আমদানি কমিয়ে টাকার মান ঠিক রাখা সব সময় ইতিবাচক ফল দেয় না৷ তিনি জানান গত অর্থ বছরের শেষে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ২১ ভাগ আর শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ৬ ভাগ৷ যা উৎপাদন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে৷

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন মুদ্রানীতি হওয়া উচিত বিনিয়োগ বান্ধব৷

তাঁর মতে, শিল্প উৎপাদন এবং সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি না হলে টাকার এই মূল্য বৃদ্ধি স্থায়ী নাও হতে পারে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য