1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউজিল্যান্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে

১৭ মার্চ ২০১৯

ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে অস্ত্রধারীর জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হয়েছে৷ যদিও এখনো কর্তৃপক্ষ কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি, তবে নিহতের স্বজনদের খবর জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3FCou
Neuseeland Trauer nach Terroranschlag
ছবি: picture-alliance/dpa/Kyodo

রোববার সকালে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারের ঐ হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৯ থেকে ৫০ হয়েছে
কিউই পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, আল-নূর মসজিদে লাশগুলো সরিয়ে নেবার সময় বাড়তি লাশটি পাওয়া গেছে৷ সব মিলিয়ে এখানে ৪২টি লাশ পাওয়া গেছে৷ এছাড়া লিনউড মসজিদে আরো সাতজন এবং ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মারা যান৷
এখনো ৩৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, যাদের মধ্যে ২ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুরাও আছে৷
কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে নিহতের তালিকা প্রস্তুত করেছে৷ তবে এখনো তা জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি৷ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন যে, রোববার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের পর বুধবারের মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষে বাকি সবকিছু ফেরত দেয়া হবে৷
মুসলিম ঐতিহ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাশ দাফনের নিয়ম রয়েছে৷ ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল বলেন যে, দাফনের জন্য জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে যেন দ্রুততম সময়ে লাশ কবর দেয়া যায়৷
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব্রেন্টন ছাড়াও আরো কতজন জড়িত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার বুশ৷ তিনি বলেন, ‘‘কতজন এতে জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে আমি এখনই কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাই না৷ তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কিছু একটা জানাতে পারব বলে আশা করি৷''
তিনি বলেন যে, টেরান্ট একাই গুলি করেছে৷ আরো দু'জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হলেও তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেননি৷ একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং আরেকজনকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মামলায় আটক দেখানো হয়েছে৷
তৃতীয় আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছেন বুশ৷
এদিকে, শনিবার আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা৷ এদের বেশিরভাগই সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিযা, তুরস্ক, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের শরণার্থী ও অভিবাসী৷
কালো হেডস্কার্ফ পরা প্রধানমন্ত্রী এ সময় জানান যে, তুরস্ক, বাংলাদেশ ও মালয়শিয়ার দূতাবাস নিজ নিজ দেশের হতাআহতদের পরিবার ও বেঁচে যাওয়াদের সহযোগিতা দিচ্ছে৷
নিউজিল্যান্ডে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা যেন অটুট থাকে তা নিশ্চিত করবেন বলে জানান জেসিন্ডা৷ তিনি আরো বলেন যে, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন৷ বলেন যে, টেরান্ট নিজের নামে পাঁচটি বন্দুক কিনে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেছেন৷
‘‘আগ্নেয়াস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতেই হবে,'' বলেন তিনি৷
নিউজিল্যান্ডের আড়াই লাখ মানুষের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে এবং সামরিক ধরনের সেমি-অটোমেটিক বন্দুকগুলোই কেবল নিবন্ধন করতে হয়৷ বিশ্লেষকরা বলেন, নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১৫ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র মানুষের কাছে রয়েছে৷ তবে সেগুলো ঠিক কোথায়, কার কাছে আছে, তার কোনো তথ্য নেই৷

জেডএ/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)