1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিস চুক্তি ত্যাগ করছেন ট্রাম্প, তবে...

৫ নভেম্বর ২০১৯

ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করলো৷ তবে তিনি নির্বাচনে হারলে সেই সিদ্ধান্ত বদলে যেতে পারে৷ ওয়াশিংটনের ঘোষণার ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে হতাশা দেখা দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3STMv
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/C. Barria

জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে মানুষের হাত রয়েছে, এমন বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবতা মানতে মোটেই রাজি নন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এসেই তাই কার্বন নির্গমন কমানোর সব উদ্যোগ থেকে সরে আসছিলেন ট্রাম্প৷ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও অ্যামেরিকাকে বার করে নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি৷ এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হলো৷ ফলে এক বছর পর বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে প্যারিস চুক্তি ত্যাগ করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তখন সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ হিসেবে অ্যামেরিকা লাগামহীনভাবে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানী ব্যবহার করতে পারবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তরে এই মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছে৷

এমন সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি সেই ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতি৷ দেশের শিল্পক্ষেত্রকে লাল ফিতের ফাঁসে জড়িয়ে না ফেলে ‘মুক্ত' পরিবেশে অবাধে কার্বন নির্গমন করতে দিতে চায় ওয়াশিংটন৷ প্যারিস চুক্তির আওতায় চীনের মতো দেশ এ ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা ভোগ করছে বলেও ট্রাম্প অভিযোগ করেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইট বার্তায় তাঁর সরকারের এই সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন৷ তাঁর মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অ্যামেরিকা জ্বালানী উৎপাদন বাড়ানো সত্ত্বেও কার্বন নির্গমন যথেষ্ট কমিয়েছে৷

ট্রাম্প প্রশাসনের এই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হতাশা প্রকাশ করেছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ চীনে রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করছেন৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে আলোচনার সময় জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে বলে ফ্রান্স মনে করছে৷ বুধবার দুই দেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির ‘অপরিবর্তনশীলতা' সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে৷ 

ট্রাম্প প্রশাসন প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালেও দেশ হিসেবে অ্যামেরিকার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো এই অঙ্গীকার মেনে চলতে চায়৷ একাধিক রাজ্য ও নগর প্রশাসন কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে উদ্যোগ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর৷ তাছাড়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জয়লাভ করলে অ্যামেরিকা আবার প্যারিস চুক্তির আওতায় ফিরে যেতে পারে৷ দলের সব সম্ভাব্য প্রার্থীই সেই অঙ্গীকার করেছেন৷ অর্থাৎ ওবামা প্রশাসন ২০১৫ সালে যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, ক্ষমতাকেন্দ্রে পালাবদল হলে তা আবার কার্যকর হতে পারে৷

প্যারিস চুক্তি থেকে অ্যামেরিকার আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ফলে উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনাহবে৷ চিলির বদলে স্পেন সেই সম্মেলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে৷ সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রী টেরেসা রিবেরা এক টুইট বার্তায় লেখেন, অপ্রত্যাশিত না হলেও এই সিদ্ধান্ত প্যারিস চুক্তির জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)s