1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সিন্ধুর বিন্দুই কেবল স্বীকার করেছে তারা’

১০ জানুয়ারি ২০১৮

মিয়ানমার সেনাপ্রধানের অফিস বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে ১০ জন রোহিঙ্গা হত্যার কথা স্বীকার করেছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করে বলছে, বার্মিজ সেনারা নামমাত্র অপরাধ স্বীকার করেছে৷

https://p.dw.com/p/2qdZL
Myanmar Soldaten
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Longstreath

ফর্টিফাই রাইটস, অ্যামনেস্টি ইন্টারনাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এমন বক্তব্য দিয়েছে৷

ফর্টিফাই রাইটসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ম্যাথs স্মিথ দাবি করেছেন, মিয়ানমার সেনারা যে ঘটনাটির কথা স্বীকার করেছে, উত্তর রাখাইন জুড়ে তেমন অসংখ্য ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আছে তাদের কাছে৷ 

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ‘‘এমন অসংখ্য তথ্যপ্রমাণ আছে যে, মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে এবং তাদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছে৷’’ 

বিদ্রোহ দমনের কৌশল – হত্যা, ধর্ষণ, আগুন

জাতিসংঘ কর্তৃক নিয়োজিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনকে মিয়ানমারে প্রবেশ করে বিষয়গুলো তদন্তের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ 

এর আগে বুধবার দেশটির সেনাপ্রধানের অফিস কর্তৃক প্রকাশিত এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, গ্রামবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কতিপয় সদস্য মিলে ইনদিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছে৷ 

তবে মৃতদের ‘বাঙালি জঙ্গি' বলে অভিহিত করে তারা৷

‘‘ইনদিন গ্রামের কয়েকজন গ্রামবাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য স্বীকার করেছে যে, তারা ১০ জন বাঙালি জঙ্গিকে হত্যা করেছে৷''

রোহিঙ্গাদের বাঙালি জঙ্গি বলায় আবারো সমালোচনায় পড়ে তারা৷ যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গারা দেশটিতে বাস করে এলেও তাঁরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী' বলে চালিয়ে দিচ্ছে মিয়ানমার৷

ফেসবুক পোস্টে আরো বলা হয়,নিহত রোহিঙ্গাদের প্রথমে আটক ও পরে হত্যা করা হয়৷

গত ২ সেপ্টেম্বর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে৷ পরে এই গণকবরটি খুঁজে পাওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত মাসে তদন্ত শুরু করে মিয়ানমার৷ সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই এ তথ্য জানানো হলো সেনাপ্রধানের ফেসবুক পোস্টে৷

গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন' বলে আখ্যা দিয়েছে৷ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে৷

জেডএ/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য