1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভেলায় ভেসে সাগরে ৪৯ দিন

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঝড়ের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে যাওয়া একটি মাছ ধরার ভেলায় থাকা তরুণ দিনাতিপাত করছিলেন সাগরের নোনা জল ও মাছ পুড়িয়ে খেয়ে৷ কোনো জাহাজের চোখ পড়েনি তার দিকে, নিদারুণ পরিস্থিতিতে চোখের জলে ৪৯ দিন পর উদ্ধার পান তিনি৷

https://p.dw.com/p/35Rz3
Indonesien Teenager Indonesien Aldi Novel Adilang gerettet
ছবি: picture-alliance/dpa/Indonesian Consulate General In Osaka

ইন্দোনেশিয়ার ওই তরুণের নাম আলদি নভেল আদিলাং (১৯)৷ সাগর থেকে উঠে পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন তিনি৷

ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় ভাষায় ‘রমপং' নামে পরিচিত কুঁড়েঘরের মতো দেখতে মাছ ধরার ওই ভেলা উপকূল থেকে সমুদ্রের ১২৫ কিলোমিটার গভীরে বাঁধা ছিল৷

দেশটিতে ছয় মাস গভীর সাগরে নোঙর করে কাঠের তৈরি এসব ভেলায় বাতি জ্বালিয়ে রাতে মাছ ধরা হয়৷ ওই আলোতে আকৃষ্ট হয়ে মাছ ফাঁদে ধরা পড়ে৷

সুলাবেসি দ্বীপের বাসিন্দা আলদির কাজ ছিল ‘রমপং'-এ আলো জ্বালানো, যাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ কাজের একটি' হিসেবে বর্ণনা করেছে জাকার্তা পোস্ট৷ তিনি মানুষের দেখা পেতেন সপ্তাহে একদিন, তার জন্য কেউ খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে গেলে৷ এর বাইরে ওয়াকি-টকিতে যোগাযোগ করতে পারতেন তিনি৷

গত ১৪ জুলাই ঝড়ো বাতাসে দড়ি ছিঁড়ে ভেলাটি সমুদ্রে ভেসে যায়৷ এতে কোনো ইঞ্জিন বা প্যাডল ছিল না৷ বাতাসে কয়েক হাজার মাইল ভাসতে ভাসতে সেটি চলে যায় যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণাধীন গুয়াম দ্বীপের কাছে৷

খাবার শেষ হয়ে গেলে আলদি সাগরে মাছ ধরা শুরু করেন৷ ভেলার থেকে কাঠ নিয়ে তাতে আগুন দিয়ে ওই মাছ পুড়িয়ে খেয়ে চলতে থাকে তার দিন৷ এ সময় অনেকগুলো জাহাজ তার কাছাকাছি এলাকা দিয়ে চলে যায়৷ তবে কারো মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হন তিনি৷

অবশেষে ৩১ অগাস্ট পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রেডিওতে তার সাহায্যের আকুতি শুনে আলদিকে উদ্ধার করে৷ তবে এই উদ্ধারও ততটা সহজ ছিল না৷ অনেক ঝামেলা পেরিয়ে আলদির কাছাকাছি পৌঁছানোর পর তার ভেলায় দড়ি ফেলা হয়৷ সেই দড়িতে ঝুলে ওই জাহাজে ওঠেন তিনি৷

এরপর জাহাজ থেকে বেতারে গুয়াম দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে যোগাযোগ করা হলে তারা তাঁকে তাদের গন্তব্য জাপানে নেওয়ার পরামর্শ দেন৷ জাপানে পৌঁছানোর পর ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাঁকে৷ ৯ সেপ্টেম্বর মানাদাও শহরে পরিবারের কাছে যান তিনি৷

অথৈ সাগরের এই পরিবেশে আলদি অনেকবারই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান ওসাকায় ইন্দোনেশিয়া কনস্যুলেটের কূটনীতিক ফজর ফিরদৌস৷

‘‘প্রতিবারই বড় জাহাজ দেখে তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেতন৷ কিন্তু ১০টির বেশি জাহাজ তার পাশ দিয়ে চলে যায়৷ সেগুলোর কোনোটিই থামেনি বা আদলিকে দেখেনি,'' বলেন তিনি৷

এএইচ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য