1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনীতিতে ভাড়াটে প্লেয়ার কারা?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৬ জুন ২০১৯

ড. কামাল হোসেনকে ভাড়াটে খেলোয়াড় বললেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলের সদস্য মোহাম্মদ নাসিম৷ তাঁর মতে,  বিএনপি নির্বাচনের আগে ড. কামালকে ভাড়া করেছিলেন৷ তা সত্ত্বেও ড. কামাল আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/3L86L
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka Nachtaufnahme
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় জনাব নাসিমের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতার সঙ্গে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘বিএনপি বলেছিল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না৷ পরে নির্বাচনে আসলো৷ বিনা শর্তেই আসলো৷ কামাল হোসেন সাহেব তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন৷ তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসলেন৷ আমরাও চেয়েছিলাম তারা নির্বাচনে আসুক৷ আবার নির্বাচন যখন শুরু হলো তখন কামাল হোসেন সাহেব মাঠ থেকে সরে গেলেন৷ বিএনপিও মাঠে থকালো না৷ আমাদের সুবিধা হলো, আমার মনে হয়েছে বিএনপি তাদের স্বার্থে কামাল হোসেন সাহেবকে আনলো আর তিনি কাজ করলেন আমাদের স্বার্থে''৷

বিএনপির স্বার্থে কামাল হোসেনকে আনলো, তিনি কাজ করলেন আমাদের স্বার্থে:মোহাম্মদ নাসিম

ড. কামালের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ নিয়ে জানতে চাইলে নাসিম বলেন, ‘‘না, নির্বাচনের সময়ও ছিলো না, আগেও ছিলো না, কখনোই ছিলো না৷''
তার মতে, ‘‘বিএনপি কামাল হোসেন সাহেবকে প্লেয়ার হিসেবে ভাড়া করেছে নির্বাচনের আগে৷ মনে করেছে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী৷ কিন্তু তার নিজের দলেতো কেনো লোক নাই৷ ভালো প্লেয়ার মনে করে ভাড়া করেছে কিন্তু খেলতে পারেনি৷ সংসদে না যাওয়ার কথা বলে ড. কামাল সাহেবের দলের লোকরাই আগে সংসদে গেলেন৷ এখন বিএনপির ৬-৭ জনও গেছে৷ তারা এখন সব নির্বাচনেও যাচ্ছে৷''

এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘‘তিনি সংসদে বলেছেন, আমরা সংসদে গিয়েতো আর প্রতিবাদ করতে পারি না৷ তবে আমার মনে হয় নাসিম সাহেব মজা করেছেন৷ তিনি কৌতুক করেছেন, তিনি সিরিয়াস কিছু বলেননি৷ ড. কামাল সাহেব একজন সম্মানিত লোক৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান অনেক বড়৷ ভাড়া করা লোক তিনি নন৷''

ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘‘ভোটের আগের রাতেই যে ভোট হয়ে গেছে এর দায়তো সরকারের৷ আর সরকার নির্বাচন কমিশনের বাজেট কমিয়ে দিয়েছে, তাতেই বোঝা যায় নির্বাচন কমিশনের কাজ কে করে৷ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা তৈরির জন্য৷ আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা বুঝতে পারিনি নির্বাচনের আগের রাতেই ভোট হয়ে যেতে পারে৷ আমরা ভাবতে পারিনি আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভরে ফেলা হবে৷ ফাঁকা মাঠতো আমরা করিনি, তারাইতো ভোটের কোনো মাঠ রাখেনি৷ ড. কামাল সাহেবতো ভদ্রলোক৷ তিনিতো এসব চিন্তাই করতে পারেননি৷''

ড. কামাল আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট, এখন গণফোরামের সভাপতি: শামসুজ্জামান দুদু

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন,‘‘ড. কামাল আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট৷ তিনি এখন গণফোরামের সভাপতি৷ নাসিম সাহেবের কথামতো আওয়ামী লীগে থাকলে ভালো৷ বাইরে গেলে খারাপ৷ ড. কামাল যদি অবিশ্বস্ত হন তাহলে আওয়ামী লীগও সন্দেহের বাইরে না৷ নির্বাচনের আগে বৈঠকে শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছিলেন ভালো নির্বাচন হবে৷ বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে না, ‘আমাকে বিশ্বাস করেন'৷ কিন্তু তিনি বিশ্বাসের কাজ করলেন না৷''
‘‘ড, কামাল হোসেনের সঙ্গে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ঐক্য করেছি৷ এটাকে যদি নাসিম সাহেব ভাড়া বলেন তাহলে পতিত রাজনীতিবিদ হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননদেরও কি আওয়ামী লীগ ভাড়া করেছিল''-প্রশ্ন রাখেন বিএনপি এই নেতা৷

১৪ দলের সমন্বয়ক মো. নাসিম সংসদে ২৫ জুন বলেন, ‘‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত নেতা ও দলের সঙ্গে চক্রান্ত করে ব্যর্থ কামাল হোসেনকে ভাড়া করে সামনে দাঁড় করালেন৷ ওরা কামাল হোসেনকে ওদের জন্য ভাড়া করলেন, আর কাজ করলেন আমাদের জন্য৷ তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে মাঠ খালি করিয়ে দিলেন আর আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিলাম৷ সমস্ত মাঠ খালি হলে গেলো, ফাঁকা মাঠে গোল দিলাম৷ এই হচ্ছে বিএনপির মুরোদ৷''

তবে যাকে নিয়ে এতো কথা, সেই ড. কামাল হোসেন এখন আছেন দেশের বাইরে৷ তাই এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য জানা যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য