1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনলো ব্রিটিশ সংসদ

২২ জুলাই ২০২০

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে ব্রিটিশ রাজনীতির উপর রাশিয়ার অন্যায় প্রভাব সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এক সংসদীয় কমিটি৷ সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার ‘নিষ্ক্রিয়' ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3ffhc
London Brexit / Flagge vor Uhr am Queen Elizabeth Tower
ছবি: Getty Images/AFP/J. Tallis

২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার অনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগের পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয় নি৷ এবার ব্রিটেনের রাজনীতিতেও এমন কারচুপির অভিযোগ উঠে এলো ব্রিটিশ সংসদের এক রিপোর্টে৷ শুধু তাই নয়, বিষয়টির তদন্ত করতে ব্রিটিশ সরকারের ব্যর্থতা সম্পর্কেও রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে৷ সরাসরি ক্ষমতাসীন টোরি দলের উপর রাশিয়ার অনৈতিক প্রভাবের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ‘অপ্রিয়’ সত্য এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দলের ঘনিষ্ঠতার প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন উঠছে৷ এ বিষয়ে সরকারের ‘কৌতূহলের অভাব’ সম্পর্কে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা৷ রিপোর্ট প্রকাশে প্রায় ১৫ মাস বিলম্বের কারণেও তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন

২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের প্রশ্নে গণভোটের উপর রাশিয়া অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে, এমন সন্দেহের যথেষ্ট কারণ দেখেছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটির সদস্যরা৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে তাঁরা বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও তদন্তের ফলাফল জনসমক্ষে পেশ করার ডাক দিয়েছেন৷ ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের উপরও রাশিয়া অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিল বলে কমিটির সদস্যরা সন্দেহ করছেন৷ এমন সংশয়ের প্রমাণের খোঁজে সংসদীয় কমিটিকে সহায়তা করতে পারে নি ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআইফাইভ৷ এই প্রশ্ন পাঠিয়ে মাত্র ছয় লাইনের উত্তর পেয়েছেন সংসদ সদস্যরা৷

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, যে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হাতে রাশিয়ার প্রভাবের অভিযোগ সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই নাকি সরকারই গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে জলঘোলা না করার নির্দেশ দিয়েছে? না কি এমন তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা হয়েছে? মঙ্গলবার রিপোর্ট প্রকাশের পর বরিস জনসনের সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটের ফলাফল ন্যায্য ছিল৷ তাই নতুন করে তদন্তের কোনো প্রয়োজন নেই৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, সরকার রাশিয়ার হস্তক্ষেপের হুমকি সম্পর্কে দীর্ঘকাল ধরে যথেষ্ট সচেতন৷ ফলে এক মুহূর্তের জন্যও ঢিলেমির কোনো প্রশ্নই উঠছে না৷

ব্রিটিশ সংসদের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নয়, বৈরি শক্তি হিসেবে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বে গুপ্তচরবৃত্তি থেকে শুরু করে সাইবার অপরাধ, অর্থ পাচারের মতো নানা ক্ষতিকর কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে ব্রিটেনকে অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে৷

বলা বাহুল্য, রাশিয়া ব্রিটিশ সংসদের এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে৷ ব্রিটিস সংসদের রিপোর্ট প্রকাশের আগেই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেন, রাশিয়া বিশ্বের কোনো দেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কখনো হস্তক্ষেপ করেনি৷ উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী অ্যামেরিকা ও ব্রিটেনে রাশিয়া-বিরোধিতা তুঙ্গে উঠেছে বলেই এমন সব ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ আনা হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান