1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যানসার চিকিৎসা

২৮ জুন ২০১৯

ক্যানসারের চিকিৎসা, বিশেষ করে কেমোথেরাপি অত্যন্ত কষ্টকর এক প্রক্রিয়া৷ টিউমারের কোষ শনাক্ত করাও কঠিন কাজ৷ নতুন এক পদ্ধতির আওতায় শুধু রক্ত পরীক্ষা ও সুনির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসার উন্নতির চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/3LDWe
Palästina Der Clown der Kinder mit Krebs in Gaza
ছবি: DW/S. Latefa

উটে বুক্সেল ক্যানসারের রোগী৷ এক বিশেষ রক্ত পরীক্ষার কল্যাণে তাঁর মতো ক্যানসারের রোগীরা টিউমার থেকে তন্তু বার করার মতো অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া এড়িয়ে যেতে পারেন৷ তাছাড়া তাঁর ক্ষেত্রে প্রচলিত বায়োপ্সি কাজ করতো না৷ কারণ সেই ক্ষুদ্র বিন্দুগুলি ফুসফুসের এমন কঠিন অংশে থাকে, যে তার নাগাল পাওয়া কঠিন৷

লিকুইড বায়োপ্সি পদ্ধতির কল্যাণে তিনি এখন আরও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার আশা করছেন৷ কারণ এখনো পর্যন্ত কেমোথেরাপি তাঁর গোটা শরীরকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে৷ উটে বুক্সেল বলেন, ‘‘শুরুর দিকে আমার সত্যি খুব কষ্ট হতো৷ কেমোথেরাপি আমাকে পুরোপুরি কাবু করে ফেলেছে, আমার রক্ত নষ্ট করে দিয়েছে৷''

যে হাসপাতালে উটে বুক্সেল-এর চিকিৎসা চলছে, সেটির মালিক আসলে বিশেষজ্ঞদের এক নেটওয়ার্ক৷ তাঁরা রোগীদের রক্তের নমুনার মধ্যে টিউমারের ডিএনএ শনাক্ত করার চেষ্টা করেন৷ এভাবে তাঁরা ক্যানসারের সঠিক গোত্র জানতে পারেন৷ এর মধ্যে কয়েকটির চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে৷ উটে বুক্সেল-এর ক্ষেত্রেও এমন এক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ চিকিৎসক হিসেবে ড. উলরিশ মালক্নেশ্ট বলেন, ‘‘কোনো ট্যাবলেট কাজ করবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের সত্যি ভাবনাচিন্তা করতে হবে৷ তবে তার আগে স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানির কাছে অনুমোদন নিতে হবে৷''

একমাত্র ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রেই এই রোগের ছাড়পত্র রয়েছে৷ ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই ওষুধ দেওয়ার অনুমতি নেই, উটে বুক্সেল যে রোগে ভুগছেন৷ ড. মালক্নেশ্ট বলেন, ‘‘কোনো এক সময়ে এমন এক পরিস্থিতি আসবে, যখন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রায় সব টিউমারের চিকিৎসা করতে পারবেন৷ স্তন ক্যানসার, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার বা যাই হোক না কেন৷ আরও সূক্ষ্মভাবে টিউমারের কোষ শনাক্ত করা জরুরি৷ যখনই সম্ভব কেমোথেরাপির বদলে ওষুধ প্রয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ ফলে রোগীদেরই কল্যাণ হবে, তাদের আর বেশি চুল পড়বে না৷ এমন অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷ টিউমারের কোষের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার কারণেই এমনটা সম্ভব হতে পারে৷ তখন রোগীর জীবন অনেক সুখকর হয়ে উঠবে৷'' 

উটে বুক্সেল পুরোপুরি কেমোথেরাপি ছাড়াই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে চান৷ যদিও তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাঁর কেমোথেরাপি চলছে৷ উটে বলেন, ‘‘পরিবার, আমার স্বামী, আমার মেয়ে, নাতিনাতনিরা আমার পাশে রয়েছে৷ হয়ত সে কারণেই এমনটা হচ্ছে৷ যখনই অবসাদ এসেছে, তখনই তারা আমাকে টেনে বার করেছে৷''

অদূর ভবিষ্যতেই তিনি নতুন ওষুধের ভিত্তিতে চিকিৎসা শুরু করার আশা করছেন৷

ইয়োসেফিন কারোল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য